শেখ মুজিব স্বাধীনতার দাবি করেন নি।-ইন্দিরা গান্ধি
কথিত আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হবার আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ সাহেবের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই বার্তায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,
“পাকবাহিনী আকর্ষিকভাবে পিলখানাস্থ ইপিআর বেইজ এবং রাজারবাগ পুলিশলাইন আক্রমন করিয়াছে এবং নাগরিকদের হত্যা করিতেছে। ঢাকা চট্টগ্রামে প্রতিটি রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলিতেছে। আমি সাহায্যের জন্য বিশ্বজাতিসংঘের কাছে আহব্বান জানাচ্ছি। মাতৃভূমিকে মুক্ত করিবার জন্য আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুর সহিত বীরের মত যুদ্ধ করিতেছে। আমি সর্ব শক্তিমান আল্লাহর নামে দেশকে মুক্ত করিবার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালাইয়া যাবার জন্য আপনাদের প্রতি আবেদন জানাইতেছি এবং নির্দেশ প্রদান করিতেছি। পুলিশ, ইপিআর,বেঙ্গল রেজিমেন্ট, এবং আনসারদের আমাদের পাশে দাঁড়াইয়া যুদ্ধ করিবার জন্য আবেদন এবং নির্দেশ প্রদান করিতেছি। কোন আপোষ নাই,বিজয় আমাদের হইবে।
মাতৃভূমির পবিত্র মৃত্তিকা হইতে শেষ শত্রুটিকেও বিতাড়িত করুন। সকল আওয়ামিলীগ নেতা,কর্মী ও অন্যান্য দেশপ্রেমিক স্বাধীনতাপিয়াসী ব্যক্তিদের নিকট এই বাণী পৌাছাইয়া দিবেন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন।
জয় বাংলা
শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হবার পর বাংলা জাতীয়লীগ কমিটির সদস্য এম.এম আনোয়ারের উদ্যোগে আগরতলা এ্যাসেম্বেলী মেম্বার রেষ্ট হাউসে অলি আহাদ এবং আওয়ামিলীগ নেতা এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য আব্দুল মালেক উকিলের মধ্যে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর এক দির্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অলি আহাদের এক প্রশ্নে মালেক উকিল বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতোরের পূর্ব মুহুর্ত অবধি কোন নির্দেশ দান করেন নাই। এই ব্যাপারে সার্বজনীন জহুর আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল হান্নান চৌধুরী,আলী আজম,খালেদ মোহাম্মাদ আলী লুঃফর হাই বাচ্চুকে জেজ্ঞস করা হলে তারা বলেন ২৫ মার্চ পাকবাহিনীর আকর্ষিক অতর্কিত হামলার ফলে কোন নির্দেশ প্রদান এবং পরামর্শ প্রদান নেতার পক্ষো সম্ভব হয় নাই। তাহলে উপরের চিঠিটাকে কি বলব? মিথ্যা এবং বানোয়াট? অথচ ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু বলেন, চিঠিটা আমারই(!)
কিন্তু ১৯৭১ সালের৬ নভেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধি বলেন, “they cry for independence (of Bangladesh) arose after shikh Mujib was arrested and not before. He (mujib) himself,so far as i know has not ask for indepndence even now...... স্বাধীনতার প্রশ্ন উঠে শেখ মুজি গ্রেফতার হওয়ার পর তার আগে নয়। ইম যতোদূর জানি, শেখ মুজিব আজও পর্যন্ত স্বাধীনতার দাবি করেন নি।
অন্যদিকে ৭১ এর ২৫ মার্চ আলোচনা শেষে খন জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালী জনতার উপর স্বশস্ত্র আক্রমনের নির্দেশ দিয়ে ভুট্টোসহ তার সঙ্গিসাথীদের নিয়ে করাচির পথে ধাবমান তখন রাত ৮.৩০ মিনিটে,শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামিলীগের হাই কমান্ডের সাংবাদিকদের নিকট প্রদত্ত বক্তব্য“ আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে ,আর মাত্র ঘোষনা বাকি”। এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপট যাইহোক শেখ মুজিব কতৃক স্বাধীনতা ঘোষনার কোন প্রেক্ষাপটের স্বাক্ষ্য বহন করে না। সেই সাথে ৭ই মার্চ ভাষনের তাৎপর্য যতোই স্বাধীকারের পটভূমিতে বিশ্লেষিত হোক না কেন তার “জয় বাংলা আর জয় পাকিস্তান” স্লোগানে ম্লান হয়ে যায়।
আজও মিথ্যা ইতিহাসের কোন এক মিথ্যা তারিখকে জাতি আনন্দের আতিশয্যে উৎযাপন করছে। যা নিয়ে আমাদের গর্বের কোন শেষ ছিল না সেই স্বাধীনতা নিয়েও যখন রাজনীতিবিদদের মিথ্যাচার করতে দেখি তখন লজ্জায় মাথাটা নিঁচু হয়ে যায়।
সূত্রঃ
জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ১৯৭৫ঃ অলি আহাদ।
১৯৭১: ভেতরে বাইরেঃ একে খন্দকার।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২৬ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:৫৭
বই দুটা বিতর্কিত। সুত্রও দূর্বল। ইন্দিরাগান্ধি ঐ রকম কথা বললে তার পত্রিকা কাটিং কিংবা নির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। এর বাইরে সবই আপনার দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী আবেগ থেকে লিখেছেন। অথচ শিরোনাম দেখেই সবাই পড়তে চাইবে। পুরো লেখাটাই ধোকাবাজি মনে হল।
২৭ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৫:২৬
কে দাবি করছিলো? জিয়া? গোয়াজম? নিজামি? নাকি সাইদী? স্বাধীনতা কেমনে আসছে? আসমান থেকে?
২৭ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৫:৩৬
কিছু লোকের চিন্তা ভাবনা দেখলে আশ্চর্য লাগে। যেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করাই এদের জীবনের লক্ষ্য!