দুষ্টু গান-আইটেম গান: ফিরে আসুক দেশিয় সংস্কৃতি
কলকাতার সিনেমা শিল্প তখন হাবুডুবু খাচ্ছে। অবস্থা বেগতিক। কি করার! অঞ্জন দত্ত গেয়ে ফেললেন একটি গান। ‘প্রযোজক শুধুই একটাই কথা বারবার বলে যান, “একটা দুষ্টু গান ঢোকান না দাদা, দুষ্টু গান ঢোকান।” তারপর পুরো ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সিনেমা শিল্পে এই ঘোড়া রোগটি ঢুকে পড়ল অবলীলায়। সিনেমা ‘হিট’ করাতে দুষ্টু আইটেম গানই যেন সহজ তরিকা! চলচ্চিত্র শাস্ত্রে আসলে আইটেম গান বলে কিছু নেই। ভারতীয়রাই এই স্থুল বিনোদনের প্রথম উদ্ভাবক। এ গানে চলচ্চিত্রের কাহিনীর সাথে সরাসরি কোনো যোগসূত্র থাকে না, গল্পের মোড় ঘুরায় না, আইটেম শিল্পীদের সরাসরি সম্পর্ক থাকে না মূল গল্পের সঙ্গে। এ যেন একঘেয়েমি দূর করতে একটু স্থূল বিনোদন বৈকি। আইটেম গার্লরা নিতান্ত অভিনয়ের বদলে শরীরী ভাষা আর অভিব্যক্তির মাধ্যমে নেচে থাকেন।
এই আইটেম গানের পথিকৃত হলেন কাক্কু মোরে। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান এ ক্যাবারেট নৃত্যশিল্পীকে বলা হতো ‘রাবার গার্ল’। কিন্তু অভিনয় জানতেন না। তাই চলচ্চিত্রে তার এই পথই হলো পাথেয়। ১৯৪৮ সালের ছবি আনোখি আদাতে কাক্কু ছিলেন প্রথম আইটেম গার্ল। কিন্তু ছবির গল্পে তার কোনো প্লট ছিল না। কাক্কুর দূর সম্পর্কের আত্মীয় হেলেন (বলিউডের ‘আইটেম রানি’) কাক্কুর সুত্রে বলিউডে পা রাখে। তিনি কোনো দিন কোনো অভিনয় করেননি তবে তার সেই ‘মনিকা, মাই ডার্লিং!, ‘ইয়ে মেরা দিল’ কিংবা ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’ গানগুলো তো বলিউডের ইতিহাস! তারপর আইটেম গার্ল হিসেবে আসে ন বিন্দু, অরুণা ইরানিদের মতো শিল্পী। শেষমেশ একমাত্র হেলেনের উত্তরসূরি তাঁরই ছেলের বউ মালাইকা অরোরা খান হেলেনের রেকর্ড ছুঁয়েছে। ‘ছাইয়া ছাইয়া’ দিয়ে মালাইকার শুরু। কাক্কু ও হেলেনের পর বলিউডে মালাইকাকেই আইটেম গার্লের তকমা দিতে হয়। ‘ছাইয়া ছাইয়া’ দিয়ে শুরু করে সবশেষ ‘মুন্নি’-তে এসেও এ খান-পত্নী ক্ষান্ত হননি। মালাইকার পথ অনুসরণ করেছেন রাখি সাওয়ান্ত, ‘বাবুজি’ গানের ইয়ানা গুপ্ত কিংবা ‘কাটা লাগা’ গানের শেফালি জরিওয়ালারা। কিন্তু মালাইকার উচ্চতায় কেউ পৌঁছাতে পারেনি।
বলা হয়ে থাকে, এঁদের পরিবেশনা শুধুই অশ্লীলতাকে উসকে দিয়েছে। এর বাইরে এই আইটেম-কন্যাদের আর কোনো অবদান ছিল না বলিউডে। সম্প্রতি তাঁদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন সানি লিওন।
একটা সময় বলা হতো, আইটেম গান ‘ভালো মেয়েদের’ জন্য নয়। ধরাবাঁধা ভাবনা ভেঙে সত্তর-আশি দশকের বলিউড সুন্দরী জিনাত আমান, পারভিন ববি ও রেখার মতো মূল নায়িকারা অংশ নিলেন আইটেম গানে। সেই থেকে চালু হয়ে গেল আইটেম গানে তারকা অভিনেত্রীদের অংশগ্রহণ। যেমনটা দেখা গিয়েছিল তেজাব ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতকে ‘এক দো তিন’ গানে, খলনায়ক ছবিতে ‘চোলি কে পিছে’ গানে কিংবা মিস্টার ইন্ডিয়া ছবিতে শ্রীদেবীকে ‘হাওয়া হাওয়াই’ গানে। শিল্পা শেঠি, ঊর্মিলা মাতন্ডকার, রাভিনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে হালের ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, কারিনা কাপুর, ক্যাটরিনা কাইফ, সোনাক্ষী সিনহার নামও সেই তালিকায় এসে যায়। কোমল নাহতা ও তরণ আদর্শ’র মতে, আইটেম গান মানেই ব্যবসায়, এটা ছবির জৌলুশ বাড়িয়ে দেয়। ‘শিলা’ কিংবা ‘মুন্নি’র গানে নেচে নায়িকারা হয়ে যান লাখ থেকে কোটিপতি।
নব্বই দশকের শেষের দিকে ঢাকাই সিনেমায় শুরু হয় ভয়াবহ অশ্লীলতা। খানিকটা কমতে শুরু করে ২০০৭ এ। এর বদলে শুরু হয় বলিউডের অনুকরণে ‘একটি বিশেষ গান’র ধারা। বাংলাদেশের সিনেমায় গান অশ্লীলই থেকে যায়। আইটেম-কন্যার সংক্ষিপ্ত পোশাক, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, গানের অরুচিকর কথা ও ইঙ্গিতপূর্ণ সুরের সেই গানগুলো দেখে মনে হবে পুরোনো কাসুন্দি ফিরে এসেছে নতুন বোতলে! এখনকার অনেক পরিচালক তো মনেই করেন, আইটেম গান না থাকলে সিনেমা হবে না। বাংলা সিনেমায় শুধু আইটেম গানে নাচ করার জন্য রয়েছে আইটেম-কন্যা: রেদওয়ান রনির চোরাবালি ছবিতে নেচেছেন সিন্ডি রাউলিং। কমন জেন্ডার ও কিস্তিমাত ছবিতেও। পেশাদার আইটেম-কন্যা বিপাশা কবির তিন বছরে নেচেছেন ৩০টি ছবির গানে। তালিকায় আরও আছেন সাদিয়া আফরিন, শিরিন শীলাসহ অনেকে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তন্ময় তানসেন পরিচালিত রানআউট ছবিতে আইটেম-কন্যা হিসেবে ছিলেন নায়লা নাঈম। রুমাতবে দর্শকদের মতে, নায়লা নাচেননি, সংক্ষিপ্ত পোশাক পরে শুধু নড়াচড়া করেছেন! আলভী আহমেদের ছবি ইউটার্ন-এ নেচেছেন র্যাচম্পের মডেল রুমা। তাতে জমকালো সেট, আলোর ঝলকানি, জবরজং পোশাক আর মেকআপের সৌন্দর্য বলিউডকেও ছাড়িয়ে গেছে। মূলধারার নায়িকাদের মধ্যে নায়িকা ববি, সিমলা, মাহিয়া মাহি, পরীমনি, মৌসুমী হামিদ, হ্যাপিসহ অনেকে আইটেম গানে নেচেছে। ঢাকা-কলকাতার যৌথ প্রযোজনার ছবিতে নেচেছেন নিপুণ।
আইটেম গানের অশ্লীলতা প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘দর্শক বরং অশ্লীলতার কারণে ওই ছবিগুলো প্রত্যাখ্যান করছেন। আইটেম গানের নামে ওই সব অশ্লীল গানের কারণে রুচিমান ও নারী দর্শক কমে যাচ্ছে। এসব গান রাখা যেতে পারে, তবে সেটা ব্যতিক্রম ও রুচিশীল হতে হবে।’ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের অন্যতম সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘অনেকেই ছবিতে আইটেম গানের নামে অশ্লীল গান রাখছেন। অনেক সময় সেগুলো সেন্সর বোর্ডের সবাই একসঙ্গে বসে দেখাও যায় না।’
সম্প্রতি বাংলাদেশের টেলিছবি আমাদের গল্পতেও ব্যবহার করা হয়েছে আইটেম গান। এবার ছোট পর্দার পালা।
তাহলে অশ্লীলতার এই ছড়াছড়ি বৈধভাবেই আমাদের সমাজে ঠাই পেয়ে যাচ্ছে। কোনো বিহিত নেই। কি হবে তাহলে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির। নিঃসন্দেহে বলা চলে, আমাদের মা, মাটির সংস্কৃতি অনেক প্রসিদ্ধ, অনেক ঐশ্বর্য্যমণ্ডিত। সংস্কৃতির নামে অশ্লীলতা কোনো বিনোদন হতে পারে না। বিনোদন মনের স্বাভাবিক খোড়াক জোগায়; যেন তার সাথে থাকে শারীরীক ও মানসিক প্রশান্তি। কিন্তু অশ্লীলতা কেবলই জাগায় অস্থিরতা।
তাই বেশি করে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির লালন, চর্চা, প্রণোদনা, প্রেষণা বাড়ানো উচিত।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
এই আইটেম গানের পথিকৃত হলেন কাক্কু মোরে। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান এ ক্যাবারেট নৃত্যশিল্পীকে বলা হতো ‘রাবার গার্ল’। কিন্তু অভিনয় জানতেন না। তাই চলচ্চিত্রে তার এই পথই হলো পাথেয়। ১৯৪৮ সালের ছবি আনোখি আদাতে কাক্কু ছিলেন প্রথম আইটেম গার্ল। কিন্তু ছবির গল্পে তার কোনো প্লট ছিল না। কাক্কুর দূর সম্পর্কের আত্মীয় হেলেন (বলিউডের ‘আইটেম রানি’) কাক্কুর সুত্রে বলিউডে পা রাখে। তিনি কোনো দিন কোনো অভিনয় করেননি তবে তার সেই ‘মনিকা, মাই ডার্লিং!, ‘ইয়ে মেরা দিল’ কিংবা ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’ গানগুলো তো বলিউডের ইতিহাস! তারপর আইটেম গার্ল হিসেবে আসে ন বিন্দু, অরুণা ইরানিদের মতো শিল্পী। শেষমেশ একমাত্র হেলেনের উত্তরসূরি তাঁরই ছেলের বউ মালাইকা অরোরা খান হেলেনের রেকর্ড ছুঁয়েছে। ‘ছাইয়া ছাইয়া’ দিয়ে মালাইকার শুরু। কাক্কু ও হেলেনের পর বলিউডে মালাইকাকেই আইটেম গার্লের তকমা দিতে হয়। ‘ছাইয়া ছাইয়া’ দিয়ে শুরু করে সবশেষ ‘মুন্নি’-তে এসেও এ খান-পত্নী ক্ষান্ত হননি। মালাইকার পথ অনুসরণ করেছেন রাখি সাওয়ান্ত, ‘বাবুজি’ গানের ইয়ানা গুপ্ত কিংবা ‘কাটা লাগা’ গানের শেফালি জরিওয়ালারা। কিন্তু মালাইকার উচ্চতায় কেউ পৌঁছাতে পারেনি।
বলা হয়ে থাকে, এঁদের পরিবেশনা শুধুই অশ্লীলতাকে উসকে দিয়েছে। এর বাইরে এই আইটেম-কন্যাদের আর কোনো অবদান ছিল না বলিউডে। সম্প্রতি তাঁদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন সানি লিওন।
একটা সময় বলা হতো, আইটেম গান ‘ভালো মেয়েদের’ জন্য নয়। ধরাবাঁধা ভাবনা ভেঙে সত্তর-আশি দশকের বলিউড সুন্দরী জিনাত আমান, পারভিন ববি ও রেখার মতো মূল নায়িকারা অংশ নিলেন আইটেম গানে। সেই থেকে চালু হয়ে গেল আইটেম গানে তারকা অভিনেত্রীদের অংশগ্রহণ। যেমনটা দেখা গিয়েছিল তেজাব ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতকে ‘এক দো তিন’ গানে, খলনায়ক ছবিতে ‘চোলি কে পিছে’ গানে কিংবা মিস্টার ইন্ডিয়া ছবিতে শ্রীদেবীকে ‘হাওয়া হাওয়াই’ গানে। শিল্পা শেঠি, ঊর্মিলা মাতন্ডকার, রাভিনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে হালের ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, কারিনা কাপুর, ক্যাটরিনা কাইফ, সোনাক্ষী সিনহার নামও সেই তালিকায় এসে যায়। কোমল নাহতা ও তরণ আদর্শ’র মতে, আইটেম গান মানেই ব্যবসায়, এটা ছবির জৌলুশ বাড়িয়ে দেয়। ‘শিলা’ কিংবা ‘মুন্নি’র গানে নেচে নায়িকারা হয়ে যান লাখ থেকে কোটিপতি।
নব্বই দশকের শেষের দিকে ঢাকাই সিনেমায় শুরু হয় ভয়াবহ অশ্লীলতা। খানিকটা কমতে শুরু করে ২০০৭ এ। এর বদলে শুরু হয় বলিউডের অনুকরণে ‘একটি বিশেষ গান’র ধারা। বাংলাদেশের সিনেমায় গান অশ্লীলই থেকে যায়। আইটেম-কন্যার সংক্ষিপ্ত পোশাক, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, গানের অরুচিকর কথা ও ইঙ্গিতপূর্ণ সুরের সেই গানগুলো দেখে মনে হবে পুরোনো কাসুন্দি ফিরে এসেছে নতুন বোতলে! এখনকার অনেক পরিচালক তো মনেই করেন, আইটেম গান না থাকলে সিনেমা হবে না। বাংলা সিনেমায় শুধু আইটেম গানে নাচ করার জন্য রয়েছে আইটেম-কন্যা: রেদওয়ান রনির চোরাবালি ছবিতে নেচেছেন সিন্ডি রাউলিং। কমন জেন্ডার ও কিস্তিমাত ছবিতেও। পেশাদার আইটেম-কন্যা বিপাশা কবির তিন বছরে নেচেছেন ৩০টি ছবির গানে। তালিকায় আরও আছেন সাদিয়া আফরিন, শিরিন শীলাসহ অনেকে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তন্ময় তানসেন পরিচালিত রানআউট ছবিতে আইটেম-কন্যা হিসেবে ছিলেন নায়লা নাঈম। রুমাতবে দর্শকদের মতে, নায়লা নাচেননি, সংক্ষিপ্ত পোশাক পরে শুধু নড়াচড়া করেছেন! আলভী আহমেদের ছবি ইউটার্ন-এ নেচেছেন র্যাচম্পের মডেল রুমা। তাতে জমকালো সেট, আলোর ঝলকানি, জবরজং পোশাক আর মেকআপের সৌন্দর্য বলিউডকেও ছাড়িয়ে গেছে। মূলধারার নায়িকাদের মধ্যে নায়িকা ববি, সিমলা, মাহিয়া মাহি, পরীমনি, মৌসুমী হামিদ, হ্যাপিসহ অনেকে আইটেম গানে নেচেছে। ঢাকা-কলকাতার যৌথ প্রযোজনার ছবিতে নেচেছেন নিপুণ।
আইটেম গানের অশ্লীলতা প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘দর্শক বরং অশ্লীলতার কারণে ওই ছবিগুলো প্রত্যাখ্যান করছেন। আইটেম গানের নামে ওই সব অশ্লীল গানের কারণে রুচিমান ও নারী দর্শক কমে যাচ্ছে। এসব গান রাখা যেতে পারে, তবে সেটা ব্যতিক্রম ও রুচিশীল হতে হবে।’ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের অন্যতম সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘অনেকেই ছবিতে আইটেম গানের নামে অশ্লীল গান রাখছেন। অনেক সময় সেগুলো সেন্সর বোর্ডের সবাই একসঙ্গে বসে দেখাও যায় না।’
সম্প্রতি বাংলাদেশের টেলিছবি আমাদের গল্পতেও ব্যবহার করা হয়েছে আইটেম গান। এবার ছোট পর্দার পালা।
তাহলে অশ্লীলতার এই ছড়াছড়ি বৈধভাবেই আমাদের সমাজে ঠাই পেয়ে যাচ্ছে। কোনো বিহিত নেই। কি হবে তাহলে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির। নিঃসন্দেহে বলা চলে, আমাদের মা, মাটির সংস্কৃতি অনেক প্রসিদ্ধ, অনেক ঐশ্বর্য্যমণ্ডিত। সংস্কৃতির নামে অশ্লীলতা কোনো বিনোদন হতে পারে না। বিনোদন মনের স্বাভাবিক খোড়াক জোগায়; যেন তার সাথে থাকে শারীরীক ও মানসিক প্রশান্তি। কিন্তু অশ্লীলতা কেবলই জাগায় অস্থিরতা।
তাই বেশি করে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির লালন, চর্চা, প্রণোদনা, প্রেষণা বাড়ানো উচিত।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি