জনাব রাবিশ মন্ত্রী! আমরা জনগন টাকার হিস্যা কিন্তু ছাড়ছি না! তোমার কাছেই জবাব চাই.........
বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫ লাখ টাকার চেক ভাঙাতে গেলে কত ভেরিফিকেশন, অথেনটিকেশন থাকে, সেখানে ৬ ব্যাক্তির বায়োম্যাট্রিক ছাড়াই টাকা ট্রান্সফার(!) ক্যামনে কি? চুরির হওয়ার পরেরদিন পর্যন্ত ফিলিপাইনের ব্যাংকে টাকা জমা ছিল, তখনও ব্যাবস্থা কেন নেয়া হল না। আর আমাদের আতিউর রহমান এর দু’ফোটা চোখের জলে তো তিনি তো আর নিজের দায়ভার এড়াতে পারেন না। রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় জড়িত হ্যাকাররা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে অন্তত দুই সপ্তাহ আগে গোপনে থেকে হাতড়ে বেড়িয়েছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে ব্লুমবার্গ দাবি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই ও ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স। সাইবার অপরাধীরা কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে তাদেরই ঘায়েল করেছে, প্রতিবেদনে তা বর্ণনা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভারে ম্যালওয়্যার বসিয়েছিল, যাতে পেমেন্টগুলোকে প্রকৃত বলে মনে হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাত হ্যাকাররা বেশ চাতুর্যের সঙ্গে কাজটি করেছে, যাতে তাদের নাগাল পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। সিস্টেম থেকে চলে যাওয়ার সময় তারা নিজেদের পদচিহ্ন ঢেকে ফেলতে কম্পিউটার লগ মুছে ফেলে। অর্থ চুরির আগে হ্যাকাররা নেটওয়ার্কে একটি সফটওয়্যার ঢোকায়, যাতে পুনঃপ্রবেশ করতে পারে তারা। ব্যাংকের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হয়ে তিনি এই খবর জানেন না নাকি এসব তিনি এখন পত্রিকা পড়ে জানতেছেন।
এক রাখাল বালকের বিষ্ময়কর গল্প হয়তো সবার মন কাড়তে পারলেও তার দু’ফোটা চোখের পানি তার দ্বায়ভার এড়ানোর জন্য যথেষ্ঠ নয়। অনেকেই বলেছেন আতিউর রহমান ছিলেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির ঘটনায় সিআইডির তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছেন ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে থাকা এক কর্মকর্তা।
সিআইড সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তার পরামর্শেই নিয়োগ দেয়া হয় রাকেশ আস্তানার নামের ওই আইটি প্রতিষ্ঠানকে। শুধু তাই নয়, তার ছত্রচ্ছায়াতেই সেখানে একটি দুর্নীতি পরায়ণ গোষ্ঠি সংঘবদ্ধ হয়েছে।
মঙ্গলবার মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থচুরির মামলা করার পরপরই শীর্ষ ওই কর্মকর্তার ছত্রচ্ছায়ায় থাকা ৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে গোয়েন্দারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, অনেকেই বিস্মিত হলেও সদ্য নিয়োগ পাওয়া ওই আইটি কনসালটেন্টের মৌখিক পরামর্শে সব বিভাগ, সেল, ইউনিট, উইং এবং শাখা অফিসের কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও সার্ভারের সরবরাহকৃত সিকিউরিটি প্যাচ নামের সার্ভার ইনস্টল করা হয়। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সব তথ্য ফাঁস হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর দ্বায়ভার কি আতিউর রহমান এড়াতে পারবেন? কেন তিনি শুধুমাত্র মৌখিক পরামর্শেই রাখেশ আস্তানকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে দিলেন??
অন্যদিকে এখনও খোঁজ মিলেনি আইটি বিষয়ক কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।
দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিলেও জোহার নিখোঁজের পর তারাও সম্পূর্ণ নীরব। তবে, কয়েকটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্থা তার খোঁজ পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এদিকে, নিখোঁজের দুদিন পার হলেও জোহার কোনও খোঁজ না পেয়ে তার স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। প্রথমদিন কয়েকটি থানা ঘুরেও একটি সাধারণ ডায়েরি করতে না পেরে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েন তারা। শুক্রবার তারা আর কোনও থানায় কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাদের সঙ্গেও কেউ যোগাযোগ করেননি। তবে, জোহার স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তারা শনিবার ভাষানটেক থানায় যাবেন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে। ডা. কামরুন নাহার বলেন, জোহা নিখোঁজের পর পরিবারের সদস্যরা তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত। তিনি অপহৃত নাকি নিখোঁজ, তাও তিনি বুঝতে পারছেন না। কারণ, তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বলেন, জোহা দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি যেন স্বজনদের কাছে জীবিত ফেরত আসতে পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। তাকে উদ্ধারে যেন তারা সর্বাত্মকভাবে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, তানভীর জোহার নিখোঁজ রহস্যের দ্রুত সমাধান হোক, সে প্রত্যাশা ও চেষ্টা আমাদের সবার রয়েছে। তবে তাদের সেই চেষ্টা কতটুকু সফল হয়ে জানা সম্ভব হয়নি। মনিরুল ইসলাম সেই সাথে আরও বলেন, জোহার কাছ থেকে তারা তেমন কোন আইটি সহযোগিতা পান নি। এমনকি বুথ ক্যালেঙ্কারীর সময় জোহার কাছে আইটি সহযোগিতা চাওয়া হলেও তিনি কোন উপকার করতে পারেন নি। এসব কথা মনিরুল ইসলাম এতোদিন পরে বলে কি প্রমাণ করতে চাইছেন? জোহার গুম হওয়াটাই উচিৎ(!)
আমরা অবাক হবো না যদি জোহার লাশটি কোন ডোবা বা নালায় পাওয়া যায়। আমরা অবাক হবো না যদি জোহাকে ভারতের কোন একটি রাজ্যে বন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। কারণ এটাই অনিবার্য ফলাফল। জার্মানির বিখ্যাত কবি নায়মোলারের সেই কবিতা আরও একবার শুনে নিন। নায়মোলার অন্ত্যত মর্মস্পর্শী ভাষায় লিখেছেন,“প্রথমে নাৎসিরা এসেছিল কমিউনিষ্টদের ধরতে,আমি প্রতিবাদ করিনি।-কারন আমি কমিউনিষ্ট ছিলাম না।
তারপর তারা এলো ট্রেড ইউনিয়ন পন্থিদের ধরতে আমি প্রতিবাদ করিনি।-কারন আমি ট্রেড ইউনিয়ন পন্থি ছিলাম না।
তারপর তারা এলো ইহুদিদের ধরতে,তখনও আমি প্রতিবাদ করিনি।-কারন আমি ইহুদি নই।
তারপর ওরা আমাকে ধরতে এলো,তখন আর আমার হয়ে প্রতিবাদ করবার অবশিষ্ঠ কেউ ছিল না”।
বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় কর্মীদের দিনের পর দিন অন্যায় ভাবে গুম করা হলো কিন্তু এই জোহারা কোন দিন একটি টু শব্দ করেও প্রতিবাদ করেনি। বরঞ্জ কিভাবে বিরোধী দলকে দমিয়ে রাখা যাবে সেই বুদ্ধিই সরকারকে এতো দিন দিয়ে আসছিলেন জোহা। আজ সেই জোহাকেই কিনা শেষ পর্যন্ত গুম করা হলো। আজ জোহার পক্ষ নিয়ে মানববন্ধন করবারও কেউ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে৷ এ সব তথ্যে দেখা যাচ্ছে, হ্যাকারদের সঙ্গে ফিলিপাইন্সের একটি ব্যাংক কর্মকর্তারা যেমন জড়িত, তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকেরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে৷
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় সর্বশেষ একটি মামলা হয়েছে৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা ঐ মামলায় বলা হয়, ৫ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ চুরির দিন ছিল শুক্রবার৷ অর্থাৎ সেদিন বাংলাদেশে ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন৷ তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ শাখায় ২৪ ঘণ্টা ডিউটির নিয়ম অনুযায়ী তখন সেখানে কর্মকর্তরা ছিলেন৷ তাঁরা সার্ভারে ঝামেলা দেখেও তা না জানিয়ে চলে যান৷ আর পরদিন দেখা যায় কম্পিউটারের প্রিন্টার কাজ করছে না৷
এদিকে ফিলিপাইন্সের পত্রিকা ইনকোয়েরার জানিয়েছে, ‘ফিলিপাইন্সের রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের(আরবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ব্যাগে করে ২০ মিলিয়ন ডলার বহন করেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া টাকা বলে ধারণা৷
আদালতের শুনানিতে ব্যাংকের কাস্টমার রিলেশনস অফিসার অ্যাঞ্জেলা তোরেস বলেন, ‘‘দেগুইতো বলেছিলেন, হয় আমাকে এ অর্থ ছাড় করতে হবে, না হয় আমি বা আমার বাবা খুন হবো৷'' অগার্ডো বলেন,‘‘কারা তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে, সে বিষয়ে আমি জিজ্ঞেস করিনি৷''
ফিলিপাইন্সের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইন্সের রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের জুপিটার শাখায় ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ সেখান থেকে অর্থের একটা বড় অংশ চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে৷ তবে ক্যাসিনোতেও সেই অর্থ ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷
ইনকোয়েরার-এর খবর অনুযায়ী, ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের কাছে একটি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়, যেখানে ‘অর্থ ছাড় বন্ধ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ' করার অনুরোধ করা হয়েছিল৷ ঐ বার্তা হাতে পাওয়ার দিনই আরবিসির জুপিটার শাখার হিসাব থেকে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলা হয়৷
এ নিয়ে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা বাকি আছে৷ এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে শুধুমাত্র মালওয়ার দিয়ে হ্যাক করা হয়নি৷ এখানে দেশি-বিদেশি অনেকে জড়িত৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে ত্রুটি, প্রিন্টার কাজ না করা - এ সমস্ত বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷''
তাঁর কথায়, ‘‘আইটিকে আকার্যকর করা হয়েছে, না আইটিকে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন৷''
যতো কিছুই হোক আমরা আমাদের টাকার হিস্যা ছাড়ছি না। আতিউর রহমান এর চোখের জল যেমন আমাদের মন কে গলাতে পারেনি তেমনি রাবিশ মন্ত্রী মাল সাহেবের হুমকি ধামকিরও ধোড়াই কেয়ার করি। জনগণের এক জবান, আমার টাকার পাইপাই করে হিসাব চাই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই ও ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স। সাইবার অপরাধীরা কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে তাদেরই ঘায়েল করেছে, প্রতিবেদনে তা বর্ণনা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভারে ম্যালওয়্যার বসিয়েছিল, যাতে পেমেন্টগুলোকে প্রকৃত বলে মনে হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাত হ্যাকাররা বেশ চাতুর্যের সঙ্গে কাজটি করেছে, যাতে তাদের নাগাল পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। সিস্টেম থেকে চলে যাওয়ার সময় তারা নিজেদের পদচিহ্ন ঢেকে ফেলতে কম্পিউটার লগ মুছে ফেলে। অর্থ চুরির আগে হ্যাকাররা নেটওয়ার্কে একটি সফটওয়্যার ঢোকায়, যাতে পুনঃপ্রবেশ করতে পারে তারা। ব্যাংকের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হয়ে তিনি এই খবর জানেন না নাকি এসব তিনি এখন পত্রিকা পড়ে জানতেছেন।
এক রাখাল বালকের বিষ্ময়কর গল্প হয়তো সবার মন কাড়তে পারলেও তার দু’ফোটা চোখের পানি তার দ্বায়ভার এড়ানোর জন্য যথেষ্ঠ নয়। অনেকেই বলেছেন আতিউর রহমান ছিলেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির ঘটনায় সিআইডির তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছেন ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে থাকা এক কর্মকর্তা।
সিআইড সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তার পরামর্শেই নিয়োগ দেয়া হয় রাকেশ আস্তানার নামের ওই আইটি প্রতিষ্ঠানকে। শুধু তাই নয়, তার ছত্রচ্ছায়াতেই সেখানে একটি দুর্নীতি পরায়ণ গোষ্ঠি সংঘবদ্ধ হয়েছে।
মঙ্গলবার মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থচুরির মামলা করার পরপরই শীর্ষ ওই কর্মকর্তার ছত্রচ্ছায়ায় থাকা ৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে গোয়েন্দারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, অনেকেই বিস্মিত হলেও সদ্য নিয়োগ পাওয়া ওই আইটি কনসালটেন্টের মৌখিক পরামর্শে সব বিভাগ, সেল, ইউনিট, উইং এবং শাখা অফিসের কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও সার্ভারের সরবরাহকৃত সিকিউরিটি প্যাচ নামের সার্ভার ইনস্টল করা হয়। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সব তথ্য ফাঁস হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর দ্বায়ভার কি আতিউর রহমান এড়াতে পারবেন? কেন তিনি শুধুমাত্র মৌখিক পরামর্শেই রাখেশ আস্তানকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে দিলেন??
অন্যদিকে এখনও খোঁজ মিলেনি আইটি বিষয়ক কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।
দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিলেও জোহার নিখোঁজের পর তারাও সম্পূর্ণ নীরব। তবে, কয়েকটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্থা তার খোঁজ পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এদিকে, নিখোঁজের দুদিন পার হলেও জোহার কোনও খোঁজ না পেয়ে তার স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। প্রথমদিন কয়েকটি থানা ঘুরেও একটি সাধারণ ডায়েরি করতে না পেরে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েন তারা। শুক্রবার তারা আর কোনও থানায় কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাদের সঙ্গেও কেউ যোগাযোগ করেননি। তবে, জোহার স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তারা শনিবার ভাষানটেক থানায় যাবেন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে। ডা. কামরুন নাহার বলেন, জোহা নিখোঁজের পর পরিবারের সদস্যরা তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত। তিনি অপহৃত নাকি নিখোঁজ, তাও তিনি বুঝতে পারছেন না। কারণ, তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বলেন, জোহা দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি যেন স্বজনদের কাছে জীবিত ফেরত আসতে পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। তাকে উদ্ধারে যেন তারা সর্বাত্মকভাবে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, তানভীর জোহার নিখোঁজ রহস্যের দ্রুত সমাধান হোক, সে প্রত্যাশা ও চেষ্টা আমাদের সবার রয়েছে। তবে তাদের সেই চেষ্টা কতটুকু সফল হয়ে জানা সম্ভব হয়নি। মনিরুল ইসলাম সেই সাথে আরও বলেন, জোহার কাছ থেকে তারা তেমন কোন আইটি সহযোগিতা পান নি। এমনকি বুথ ক্যালেঙ্কারীর সময় জোহার কাছে আইটি সহযোগিতা চাওয়া হলেও তিনি কোন উপকার করতে পারেন নি। এসব কথা মনিরুল ইসলাম এতোদিন পরে বলে কি প্রমাণ করতে চাইছেন? জোহার গুম হওয়াটাই উচিৎ(!)
আমরা অবাক হবো না যদি জোহার লাশটি কোন ডোবা বা নালায় পাওয়া যায়। আমরা অবাক হবো না যদি জোহাকে ভারতের কোন একটি রাজ্যে বন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। কারণ এটাই অনিবার্য ফলাফল। জার্মানির বিখ্যাত কবি নায়মোলারের সেই কবিতা আরও একবার শুনে নিন। নায়মোলার অন্ত্যত মর্মস্পর্শী ভাষায় লিখেছেন,“প্রথমে নাৎসিরা এসেছিল কমিউনিষ্টদের ধরতে,আমি প্রতিবাদ করিনি।-কারন আমি কমিউনিষ্ট ছিলাম না।
তারপর তারা এলো ট্রেড ইউনিয়ন পন্থিদের ধরতে আমি প্রতিবাদ করিনি।-কারন আমি ট্রেড ইউনিয়ন পন্থি ছিলাম না।
তারপর তারা এলো ইহুদিদের ধরতে,তখনও আমি প্রতিবাদ করিনি।-কারন আমি ইহুদি নই।
তারপর ওরা আমাকে ধরতে এলো,তখন আর আমার হয়ে প্রতিবাদ করবার অবশিষ্ঠ কেউ ছিল না”।
বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় কর্মীদের দিনের পর দিন অন্যায় ভাবে গুম করা হলো কিন্তু এই জোহারা কোন দিন একটি টু শব্দ করেও প্রতিবাদ করেনি। বরঞ্জ কিভাবে বিরোধী দলকে দমিয়ে রাখা যাবে সেই বুদ্ধিই সরকারকে এতো দিন দিয়ে আসছিলেন জোহা। আজ সেই জোহাকেই কিনা শেষ পর্যন্ত গুম করা হলো। আজ জোহার পক্ষ নিয়ে মানববন্ধন করবারও কেউ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে৷ এ সব তথ্যে দেখা যাচ্ছে, হ্যাকারদের সঙ্গে ফিলিপাইন্সের একটি ব্যাংক কর্মকর্তারা যেমন জড়িত, তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকেরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে৷
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় সর্বশেষ একটি মামলা হয়েছে৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা ঐ মামলায় বলা হয়, ৫ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ চুরির দিন ছিল শুক্রবার৷ অর্থাৎ সেদিন বাংলাদেশে ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন৷ তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ শাখায় ২৪ ঘণ্টা ডিউটির নিয়ম অনুযায়ী তখন সেখানে কর্মকর্তরা ছিলেন৷ তাঁরা সার্ভারে ঝামেলা দেখেও তা না জানিয়ে চলে যান৷ আর পরদিন দেখা যায় কম্পিউটারের প্রিন্টার কাজ করছে না৷
এদিকে ফিলিপাইন্সের পত্রিকা ইনকোয়েরার জানিয়েছে, ‘ফিলিপাইন্সের রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের(আরবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ব্যাগে করে ২০ মিলিয়ন ডলার বহন করেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া টাকা বলে ধারণা৷
আদালতের শুনানিতে ব্যাংকের কাস্টমার রিলেশনস অফিসার অ্যাঞ্জেলা তোরেস বলেন, ‘‘দেগুইতো বলেছিলেন, হয় আমাকে এ অর্থ ছাড় করতে হবে, না হয় আমি বা আমার বাবা খুন হবো৷'' অগার্ডো বলেন,‘‘কারা তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে, সে বিষয়ে আমি জিজ্ঞেস করিনি৷''
ফিলিপাইন্সের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইন্সের রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের জুপিটার শাখায় ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ সেখান থেকে অর্থের একটা বড় অংশ চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে৷ তবে ক্যাসিনোতেও সেই অর্থ ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷
ইনকোয়েরার-এর খবর অনুযায়ী, ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের কাছে একটি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়, যেখানে ‘অর্থ ছাড় বন্ধ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ' করার অনুরোধ করা হয়েছিল৷ ঐ বার্তা হাতে পাওয়ার দিনই আরবিসির জুপিটার শাখার হিসাব থেকে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলা হয়৷
এ নিয়ে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা বাকি আছে৷ এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে শুধুমাত্র মালওয়ার দিয়ে হ্যাক করা হয়নি৷ এখানে দেশি-বিদেশি অনেকে জড়িত৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে ত্রুটি, প্রিন্টার কাজ না করা - এ সমস্ত বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷''
তাঁর কথায়, ‘‘আইটিকে আকার্যকর করা হয়েছে, না আইটিকে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন৷''
যতো কিছুই হোক আমরা আমাদের টাকার হিস্যা ছাড়ছি না। আতিউর রহমান এর চোখের জল যেমন আমাদের মন কে গলাতে পারেনি তেমনি রাবিশ মন্ত্রী মাল সাহেবের হুমকি ধামকিরও ধোড়াই কেয়ার করি। জনগণের এক জবান, আমার টাকার পাইপাই করে হিসাব চাই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ২ টি