সরকারি বাহিনীর হাতে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সরবরাহ কতটা নিরাপদ!
আপনাদের মনে থাকার কথা। ইহুদী নিধনে সারা পৃথিবীতে নিন্দার ঝড় বইয়ে দেয়া নেতা হিটলার কে আজো সবাই ফ্যাসিস্ট বলেই আখ্যায়িত করে। কত হাজার নিরাপরাধ ইহুদীকে যে হিটলার হত্যা করেছিলেন তার সঠিক সংখ্যা আজো জানা যায়নি। আমার প্রশ্ন সেটা নয়,প্রশ্ন হল,এধরনের ইহুদী নিধন হত্যাযজ্ঞ চালানো কিভাবে সম্ভব হল হিটলারের পক্ষে, যেখানে ইহুদী ছাড়া আর কোন সম্প্রদায়ের মানুষ নিহত হলোনা! পরে জানা গেছে, ইহুদী নিধন চালানোর অনেক আগেই ইহুদীর উপর চালানো একটি সূচারু জরীপ হিটলার এর গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে চলে আসে। জরীপে উঠে আসে,কোন পাড়া বা মহল্লায় কতজন ইহুদী আছে,শুধু তাই নয় কোন কোন বাড়িতে কতজন ইহুদী বাস করে,তাদের কর্মস্থল কোথায় ইত্যাদি। সব তথ্য হাতে পাবার পরেই হিটলার একযোগে ইহুদী নিধন শুরু করেন।
যে কোন জরীপই ভয়ংকর। আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে যে কোন তথ্য সংগ্রহ। এ ধরনের তথ্য দিয়ে অপরাধীকে সনাক্ত করা কতটা সম্ভব,তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এ ধরনের তথ্যে দেশের সকল ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের স্পর্শকাতর তথ্য থাকে।কখনো কোন ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় এলে, এটি তারা কাজে লাগাতে পারে। আবার ভিন্নমত দমনের জন্য বিশেষ অভিযানও পরিচালনা করতে পারে। আচ্ছা মনে করুন,অদূর ভবিষ্যতে কোন হিন্দু বিদ্বেষী দল,ক্ষমতায় এসে এসকল তথ্যমতে, যদি হিন্দুদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে নিধন চালায়, তাহলে এর দায় কি বাড়ি গিয়ে গিয়ে তথ্য সংগ্রাহকেরা নিবেন?
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
যে কোন জরীপই ভয়ংকর। আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে যে কোন তথ্য সংগ্রহ। এ ধরনের তথ্য দিয়ে অপরাধীকে সনাক্ত করা কতটা সম্ভব,তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এ ধরনের তথ্যে দেশের সকল ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের স্পর্শকাতর তথ্য থাকে।কখনো কোন ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় এলে, এটি তারা কাজে লাগাতে পারে। আবার ভিন্নমত দমনের জন্য বিশেষ অভিযানও পরিচালনা করতে পারে। আচ্ছা মনে করুন,অদূর ভবিষ্যতে কোন হিন্দু বিদ্বেষী দল,ক্ষমতায় এসে এসকল তথ্যমতে, যদি হিন্দুদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে নিধন চালায়, তাহলে এর দায় কি বাড়ি গিয়ে গিয়ে তথ্য সংগ্রাহকেরা নিবেন?
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৬ টি
১৭ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৫:৩৯
আমরা যেকোন ভালো উদ্যোগের কেবল সমালোচনা করতে পারি। সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে এটা কি ভালো উদ্যোগ নয়?