ধর্মই সকল অশান্তির মূল
একজন বিজ্ঞান মনস্ক ব্যাক্তিকে আক্রমনের জন্য একমাত্র অস্ত্র নাস্তিক। কাউকে নাস্তিক বলে তার যাবতীয় অধিকার হরন করে নিতে পারবেন আপনি! এটাই ধর্মের শিক্ষা। ধর্ম না মানলে একজন মানুষকে আর মানুষ বলা হবেনা। পশুকে ধরে ধরে জবাই করে পূন্য অর্জন আর মানুষ হত্যা করে পূন্য অর্জন একই সমান্তরাল।
এই যখন অবস্থা তখন মানুষ রুপী পশুদের হাতে ধার্মিকরাও কি নিরাপদ থাকবেন? থাকবেন না। বিজ্ঞান বলে এটা সম্ভব না। প্রত্যেক ক্রিয়ারই তো সমান ও বিপরিত প্রতিক্রিয়া আছে। সেভাবেই ধর্মের নামে মানুষ হত্যায় ধার্মিকরা যখন চুপ, ঠিক তখন ধার্মিকদের মাঝেও আন্তধর্মীয় ফতোয়া চলতে পারে। বড় ধর্ম ছোট ধর্মকে হরন করবে।
অবাক হইনা, ভারতে যা কাদায় বাংলাদেশ-পাকিস্তানে একই বিষয় হাসায়! একই ব্যাক্তি দুই নীতি!
সব কিছু ছাপিয়ে এবার নোয়াখালিতে একটি ধর্মীয় গ্রুপকে আক্রমন করে দুইজন সদস্যকে মেরে ফেলা হয়েছে। ভিন্ন ধর্ম নয় একই ধর্ম। ইসলামের মাঝেই এই সঙ্ঘর্ষ! হিন্দু মেরে হাত পাকলে নিজেদের ভেতর তার চর্চা ছড়িয়ে পড়ে কিনা।
হিজবুত তাওহিদ (জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুত তাহরির নয়) নামের একটা ইসলামী গ্রুপ নোয়াখালির একটি গ্রামে মসজিদ বানাচ্ছিলো। ভিন্ন গ্রুপের মসজিদ তাই ভেঙ্গে দাও! বাঁধা দিলে মেরে ফেলো!
মেরে ফেলা হল দুইজনকে (কোন কোন খবর বলছে তিনজন)। কিভাবে মারা হল? হ্যাঁ! জবাই করে। যে ছুরি বিশ্বজিতকে মেরেছে সেই ছুরি মুসলিমকেও মারছে। নিজেদের ভেতর চর্চার প্রসার বলে একে।
নাস্তিক মরছে! ও তো ধর্মহীন! তাই চুপ।
হিন্দু মরছে! ওতো বিধর্মী! তাই চুপ।
নোয়াখালিতে মরছে! ওতো অন্য গ্রুপের! তাই চুপ।
এবার কার পালা বলুন তো?
এবার কি আপনার পালা নয়?
তাই ধর্মের নামে খুনাখুনির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। জানেন তো, সময় গেলে সাধন হবেনা?
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৫ টি