'আমাদের আবুল' (রম্য গল্প)
আমাদের এতদিনের পরিচিত,ভদ্র-শান্ত আবুলের আজ কি হইল!? বারবার এমন ‘উষ্টা’(!) খাইতেছে কেন??? ‘তথায়’ কি এমন মনি-মুক্তা কিম্বা প্যাড়া-সন্দেশ পাইল!!!? কড়া বাজারমুল্যে চারিদিকে যেখানে হাহাকার, অথচ উহায় কেবল হে হে করিয়া খবর ছড়াইতেছে, ব্যপারটা নিতান্তই ‘হেহেকার’!? বাংগাছি সমাজের আর আট-দশটা ঘটনার ন্যায় আপাত মহাদুঃচিন্তার ব্যাপারটির সুপ্ত কারনও আর সুপ্তিত থাকিল না। আস্তসাপের মতই ফড়ফড় করিয়া বাহির হইয়া আসিল।
আজ হইতে বৎসর খানেক পূর্বে এক গল্পে গাল ভরিয়া হাস্যবমন ঘটিয়াছিল-
রাজা-সেনাপতি! তোমার বাহিনীর সৈন্য কমিয়া যাইতেছে কেনো?
সেনাপতি- গোস্তাখি মাফ হয় মালিক। রাজ্যে এই যুগে বহু এমএলএম কম্পানীর আবির্ভাব ঘটিয়াছে। তাহারা সকলকে লাখ লাখ টাকার স্বপ্ন দেখাইতেছে, ফলে সেনারা ব্যপক আকারে ইস্তফা দিয়া চলিয়া যাইতেছে।
রাজা- বিদ্যালয়গুলো ছাত্রশুন্য হইয়াছে কি এই কারনেই?
শিক্ষামন্ত্রী- আজ্ঞে হ্যাঁ হুজুর।
রাজা- এতো মহাচিন্তার বিষয়!
সেই রাজার ‘সেনা ও ছাত্র’ বিষয়ক মহাচিন্তার ‘পাবলিক রিজন’ কতখানি ছিলো বলা মুশকিল। তবে ভাগিয়া যাওয়া সেনাদের ব্যাক্তিগত উন্নতি বা অবনতি তাহার চিন্তায় ছিলনা, তাহা হলফ করিয়া বলিয়া দেওয়া যায়। যাক,আবুলের সাব্জেক্টেও যে অনুরুপই ঘটিবে, স্বাভাবিক।
কিন্তু আমরা বন্ধুমহল তো আর রাজা-বাদশার বংসধর নই, তাই আবুলের উন্নতি-অবনতি নিয়া ভাবনা করিবার যৌক্তিকতা আছে বৈ কি।–
শুনিলাম, কোন এক এমএলএম কোম্পানির ট্রেনার (‘যে ব্যাক্তি মানব ট্রেন বানায়’ টাইপের অর্থ হইবে হয়তো) তাহার বগী না জুড়িয়া ইঞ্জিনের ভিতর এক্কেবারে পেট্রোল ঢালিয়া ছাড়িয়া দিয়াছে। কি জ্বালা কি জ্বালা! ব্যাপারখানি এরুপ হইলে কথা ছিলনা-যে, তাহার বগি পরে ফিট করিয়া দেওয়া যাইবে। কিন্তু তাহারে দুর্ঘটনার পুর্বে ধরিবার জো থাকিলে তো!?ইঞ্জিন তো জমি-জমা, পুকুর, নর্দমা কিছুই মানিতেছে না! কেবল চলিতেই যে শিখিয়াছে, থামিতে নয়...
সূতরাং দুর্ঘটনাগামী আবুলগনে ‘ইঞ্জিনের’ সহিত ‘বগি’(অতিআবেগ+অতিবাস্তবতা) ফিট করিয়া তবেই ছাড়িয়া দেওয়া হউক, নয়তো এমনতর বিপদজনক ‘ইঞ্জিন-ফুয়েল’ সংযোজন বন্ধ করা হউক। যাহাতে ‘ড্রিম’ হইতে ‘ডিম’ বা আণ্ডা প্রসব না হয়।
আবুলের বন্ধগনের আজ এই-ই দাবি।।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি
০৯ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:৩৪
আমার বন্ধু শামীম হেলিকাপ্টার নিয়ে আমাদের ছাদে নামতে চেয়েছিলো। ঠকদের পাল্লায় পড়ে অনেক মানুষ অপমানিত হয়েছে।