এক এগারোর কুশীলবদের কোন ছাড় নয়
লগি-বৈঠা সন্ত্রাস পরবর্তী বাংলদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পঞ্জিকায় সর্বশেষ সেনা-হস্তক্ষেপের কলঙ্কিত দিন তথা কথিত এক-এগারো নিয়ে বেশ আলোচনার ঝড় উঠেছে। সরকার ও বিরোধী দলের বিভিন্ন মহল থেকে দাবী উঠছে এক এগারোর কুশীলবদের বিচারের। কিন্তু রহস্যজনকভাবে এক এগারোর সময় যারা লেখালেখি করে উস্কানি বা সমর্থন দিয়েছেন, তাদের বিচারের কথা বলা হচ্ছে। অথচ যারা এক এগারোর কুশীলব তাদের বিচারের ব্যাপারে কোনো কথাই বলা হচ্ছে না।
মাহফুজ আনামের স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে এক-এগারোর শাসনে রাজনীতিবিদদের ওপর কী ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তার কিঞ্চিত বেরিয়ে এসেছে কিন্তু। কেবল একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়, ওয়ান-ইলেভেনের সমস্ত ঘটনা বোঝার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করে এই বিশ্বাসঘাতকদের আসল চেহারা দেশের জনগণের কাছেও উন্মুক্ত করা প্রয়োজন।
এক-এগারোর জরুরি সরকার দেশকে রাজনীতি শূন্য করার পরিকল্পনা করেছিল। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ অনেকের উপর সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল। ক্যাংগারু ট্রায়াল করে অনেক রাজনীতিবিদদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকেও সাজা দিয়েছিল।
দেশের মানুষের সামনে আজ যে পাহাড়সম রাজনৈতিক সঙ্কট এসে উপস্থিত হয়েছে তার জন্য ওইসব কুশীলবরাই দায়ী বলে দেশের সচেতন মহল মনে করেন। তাই সব দল ও মতের মানুষের কাছ থেকে তাদের বিচারের দাবি উঠছে। আজ স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রে কেন ভোটাধিকার থাকবে না? কেন প্রশ্ন উঠবে আমার স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব নিয়ে?
সব মহল থেকে এক এগারোর কুশীলবদের বিচারের দাবি উঠলেও প্রশ্ন থেকে যায়, ওই সময় সেনা সমর্থিত জরুরি সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, এবং বলেছিলেন এ সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল, আমরা সরকার গঠন করলে তাদের সকল কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেব। তারাই তো আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। তাই তাদের পক্ষে বিচার করা আদৌ সম্ভব হবে কি?
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
০৩ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৪:৪৪
লগি বৈঠা ছিলো স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীক। আর স্বোইরাচার জামাত-বিএনপি সরকার ছিলো স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিক। আজ এ নিয়ে অপপ্রচারের কোন সুযোগ নেই। বাংলার মানুষ যেকোন সময়ের চেয়ে স্বাধীকার নিয়ে বেশি সচেতন। বিচার যখন শুরু হয়েছে তখন একে একে সব অপরাধের বিচারই হবে। জাস্ট ওয়েট এন্ড সি।
০৩ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৪:৪৬
১/১১ রাজনীতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হতে পারে। তবে সেটা সমালোচনার জন্য দরকার ছিলো। যদিও সে সুযোগ কাজে লাগেনি।
০৩ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৪:৪৯
মাহফুজ আনামের মত দালালরা কত টাকা খেয়ে ম্যাতকার করে সেটা বোঝার জন্য জ্যোতিষী হতে হয়না। ভালো কথা হল, এইসব আনামরা অনেক দিন থেকেই সার্কাস দেখাচ্ছে। টিকিটের দাম জানা আছে।