প্রথম আলোর ডিক্লারেশন বাতিল কর!
একটা অদ্ভুত পত্রিকা প্রথম আলো। সেই সাথে তার ইংরেজী ভার্সন ডেইলি স্টার! এদের কাজ হল যে কোন ভাবে দেশের আভ্যন্তরীন স্বাভাবিক অবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া। খেয়াল করলে দেখবেন এই পত্রিকাগুলো প্রতিটা দিন পরিকল্পিত ভাবে তথ্য সন্ত্রাস করে থাকে। এদের প্রতিবেদনের ভাষা দেখে স্পষ্ট বলা যায় এদের পক্ষ কোনটা। কখনো সন্ত্রাসীদের মা-বোন কিংবা বাপের ভাষায় কিছু বক্তব্য প্রচার করে যাতে মানুষ মুহুর্তেই সন্ত্রাসীর প্রতি মায়া প্রদর্শন করে।
বাঙালি জাতির অন্যতম একটা দূর্বলতা হল একটু করুন ভাবে যে কেউ কিছু বললেই তারা গলে যায়। ঠিক এই মনস্তত্বটি সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করে প্রথম আলো।
রাজাকারের শিরোমনি, জামাতের প্রধান নিজামির পক্ষে প্রসিকিউটরকে প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে চিঠি লিখেছে জামাতি বাবুল। পত্রিকার খবর মতে সে পান দোকানদার! গোটা জাতির নিকট এত বড় একটা স্পর্ষকাতর ইস্যু। অথচ প্রথম আলোর শিরোনাম- “পান বিক্রেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা!”
ভাবা যায়???
যেখানে যুদ্ধাপরাধের মত স্পর্ষকাতর রাষ্ট্রীয় বিষয়। তার ওপর আবার জামাতের মত অপরাধী সংগঠনের পক্ষে রাষ্ট্র ও বিচারপতিদের বিরুদ্ধে চাচ্ছিল্য, সেখানেও প্রথম আলোর ওকালতি! এটা কি পত্রিকা নাকি তাজুল, মাহবুবের মত টাকার কামলা??
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেখানে যাচাই করে পুলিশকে রাষ্ট্রোদ্রোহের ওপরাধে বাবুলকে এরেস্ট করার হুকুম দিয়েছে। যার বিরুদ্ধে খোদ ট্রাইবুনালের বিচারপতিদের প্রতি তাচ্ছিল্যের মত অভিযোগ, সেখানে প্রথম আলো ঐ জামাতি মাস্তান বাবুলকে ‘সাধারন’ ‘পান দোকানী’ ‘পাগল’ ‘সরল-সোজা’ বানিয়ে সার্টিফিকেট দেয়!!!
প্রথম আলোর যেই কুখ্যাত রিপোর্ট হুবহু তুলে দেয়া হল-
“পান বিক্রেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা!
রোজিনা ইসলাম | আপডেট: ০৩:১৩, মার্চ ০২, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাবুল আহমেদ নামে সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকার এক পান বিক্রেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাবুল আহমেদ গত ৬ জানুয়ারি একটি চিঠি লেখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে। চিঠিতে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে তাঁদের খালাস দেওয়ার আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ওই চিঠিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সম্পর্কে ঘৃণা ও অবজ্ঞা প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয়। এর ভিত্তিতে সিলেটের স্থানীয় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় পাঠায়। পরে বাবুল আহমেদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চায় পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাবুলের কর্মকাণ্ড দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারায় বর্ণিত অপরাধের শামিল। এ জন্য এ অভিযোগে মামলা দায়ের করতে সরকারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বাবুলের মা মিনারা বেগম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলে বাজারে পান বিক্রি করে। সে রাজনীতি বোঝে না। তার পান দোকানে এসে বিভিন্ন জন যা আলাপ করে তাই সে মাথায় নেয়। এভাবেই সে চিঠি লিখে পাঠিয়েছে। খামে নিজের ঠিকানাও দিয়ে দিয়েছে। সরল আর বোকা না হলে কেউ নিজের ঠিকানা দেয়? সরকার যদি এই অশিক্ষিত লোকের কথায় এমন বড় মামলা দেয়, তাহলে তো প্রতিদিন মামলা হবে।’
স্থানীয় বৈরাগীবাজার গ্রামের লোকজন জানান, বাবুল খুব সহজ সরল ছেলে। না বুঝে এসব করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এ এম তৌহিদুল আলম জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার অনুমতি দেওয়ার পর এখন থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।
তবে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, অভিযোগ অনুযায়ী তাঁরা শুধু থানায় সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।“
দেশদ্রোহের অপরাধে অপরাধী এইসব তথ্য সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদ্রোহী পত্রিকার অবিলম্বে ডিক্লারেশন বাতিল চাই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
০২ মার্চ ’১৬ রাত ০৮:০৯
রাষ্ট্র যখন ক্ষুদ্র পান দোকানীর বিরুদ্ধে বাদী হয় তখন সত্যিই কষ্ট হয়। হাজার হলেও সে একজন ক্ষুদ্র পান বিক্রেতা।
০৩ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:২৭
মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাক দরকার যেভাবে আপনি প্রথম আলো বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন।