সমাজতান্ত্রিকের ধর্মাচার: পাড়ানি নারীর ঘোমটা সুখ
গতকাল বিটিভি খুলতেই চোখে পড়ল আমাদের চিন্তার নায়ক, চেতনার নায়ক, লাল পতাকার নকিব ইনু সাহেবকে। মিলাদের প্রধান হুজুর তিনি। শিরোনামে ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু। হ্যা! এটা সত্য আমাদের এই দেশে রাজনীতি করতে হলে ধর্মের সাথে বিরোধ কমাতে হবে। তাই বলে কি আমরা লুঙ্গি খুলে পাগড়ি বানিয়ে বলব আমি মুসলমান। কাকে না খায় কাক। তবু আমি বিষ্মিত হয় যখন দেখি ইনুর মাথায় টুপি। আপনারা বলবেন এটা আবার নতুন কি! কিন্তু একজন সমাজতান্ত্রিক হিসেবে আমার প্রশ্ন থাকে- চিন্তা ও চেতনায়। যখনই দেখি- যতবার দেখি তাই।
আবার কেউ আমার লিঙ্গ দেখে তামাশা করলে, বলব আমি ধ্যানে আছি- নির্বাণ লাভে লজ্জা নেই।[/i]
যখন মেনন সাহেব আর ইনু সাহেব হজে যাবার ক্ষণে সাদা কাফনের কাপড়ে বিমানবন্দরে বসা, তখন অনেক বামপন্থী বলেছিল, আজ সমাজতন্ত্রের দাফন হবে রফা।
ধর্মহীনতার বৈজ্ঞানিক ব্যাবচ্ছেদ আর সমাজতন্ত্রী লাল পুস্তকের পাঠচক্র তিনারা বহুত সেঁধেছেন। তা শুনে কত লোক আমরা ধর্মত্যাগ করেছি তার কোনো ইয়ত্ত নেই। আজ তুমি মিলাদে বসে আমায় তুমি কি বলে ডাকবে ভাই মহামতি লাল নেতা? আমাকে তুমি নাস্তিক বলবা? বলবা তো বটেই কারণ তুমিই তো সেদিন লাল বই পড়িয়ে আমাকে ধর্মত্যাগী বানিয়েছিলে। তাহলে আজ আমি তোমাকে কি বলে ডাকব?
আমি তোমাকে যা বলতে চাই তা হলো- তুমি যখন টুপি মাথায় দিয়ে বয়ান দিচ্ছিলে তখন মনে হচ্ছিল তুমি একটি বাইজি। ও রকম পাড়ানি নারী তো তুমিও চেন যারা ঘোমটা দিয়ে চলে!
বোলতা দিয়ে কামড়িয়ে সত্বী হওয়া যায় না, তাই পাড়ানিরা ওই কাজে আর সময়ও নষ্ট করে না। তাই বলি হে লাল নেতা! হয় বাদ দাও তোমার ভন্ডামি, আর নয় ফিরে আসো সমাজতন্ত্রের ঝাণ্ডাতলে। আর নাই হয়ে যাও জামাতি। আমরা সামাজতান্ত্রিকরা ধর্ম মানি না, তবে ধর্ম ব্যবসাও করি না- মনে রেখ হে মহামতি!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
০১ মার্চ ’১৬ রাত ০৮:৩১
রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মানুষের কাছে আসার নামই ধর্মকে শ্রদ্ধা করা। মানুষের সাধারন বিশ্বাসকে ক্ষুদ্র করে পরিবর্তন আসবে না। সেক্ষেত্রে ইনু-মেনন সহ সাধারন্যের কাছে আসা রাজনীতিকদের সাধুবাদ দেয়া উচিৎ।
০২ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:৩১
সমাজতন্ত্রকে পথে বসিয়েছে বামধারী এসব ধান্দাবাজেরা।ক্ষমতার প্রশ্নে এরাও এখন ধর্মের লেবাস পড়তে শুরু করেছে।
০৩ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:৩৯
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিকদের একটা খাই খাই স্বভাব আছে!ফলে এই নোংরামীতে প্তি হয় আজান দিয়ে।