চার্লি চাপলিন হাসালেও নিজে কেঁদেছেন!
চার্লি চ্যাপলিন নামে পরিচিত স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র ১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে মারা যান। চার্লি একজন ব্রিটিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা। বিখ্যাততম শিল্পীদের একজন চ্যাপলিন পৃথিবী অন্যতম বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকও। চ্যাপলিনকে চলচ্চি্ত্রের পর্দায় শ্রেষ্ঠতম মূকাভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতাদের একজন বলেও মনে করা হয়। চলচ্চিত্র শিল্প জগতে চ্যাপলিনের প্রভাব অনস্বীকার্য।
নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের অন্যতম মৌলিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চ্যাপলিন নিজের ছবিতে নিজেই অভিনয়, সংলাপ রচনা, পরিচালনা, প্রযোজনা এমন কী সঙ্গীত পরিচালনা পর্যন্ত করেছেন। শিশুশিল্পী হিসেবে ইংল্যান্ডের ভিক্টোরিয়ান নাট্যমঞ্চ ও মিউজিক হলে সূচীত চ্যাপলিনের ৬৫ বছরের কর্মজীবনের যবনিকাপাত ৮৮ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুতে।
চ্যাপলিন অভিনীত মুখ্য চরিত্র তাঁর নিজের সৃষ্ট ভবঘুরে দ্য ট্রাম্প, ১৯১৪ সালে। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পর্তুগালে “শার্লট” নামে পরিচিত চ্যাপলিনের ট্রাম্প ভবঘুরে হলেও বিট্রিশ ভদ্রজনোচিত আদব-কায়দায় সুসংস্কৃত এবং সম্মানবোধে অটুট। শার্লটের পরনে চাপা কোট, সাইজে বড় প্যান্ট, বড় জুতো, মাথায় বাউলার হ্যাট, হাতে ছড়ি আর একমেবাদ্বিতীয়ম টুথব্রাশ গোঁফ। চ্যাপলিনের বর্ণময় ব্যক্তিজীবন তথা সমাজজীবন খ্যাতি - বিতর্ক দুইয়েরই নিম্ন থেকে শীর্ষবিন্দু ছুঁয়ে গেছে।
শৈশব- স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন ১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯ সালে ইষ্ট স্ট্রিট, ওয়ালওয়ার্থ, লন্ডনে জন্ম গ্রহণ করেন। চার্লি চ্যাপলিনের কোনো বৈধ জন্ম প্রমানপত্র পাওয়া যায়নি, তাই তার জন্ম নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে। সংবাদ মাধ্যম নানা সময়ে নানা রকম তথ্য দিয়েছে তার জন্মস্থান সম্পর্কে। এমনকি তার চলচ্চিত্র জীবনের প্রথমদিকে চ্যাপলিন নিজেও একবার বলেছেন যে তিনি ফ্রান্সের ফঁতেউব্ল শহরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
১৮৯১ সালের আদমশুমারী থেকে জানা যায় যে চার্লি তার মা হান্নাহ চ্যাপলিন এবং ভাই সিডনির সাথে ওয়ালওয়ার্থ, দক্ষিণ লন্ডনের বার্লো স্ট্রিটে থাকতেন, এটি কেনিংটন জেলার অন্তর্গত। ইতিমধ্যে তার পিতা চার্লস চ্যাপলিন জুনিয়ারের সাথে তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে গেছে। চ্যাপলিনের শৈশব কাটে প্রচণ্ড দারিদ্র্য আর কষ্টের মাঝে আর তাই হয়তো তিনি উপলদ্ধি করতেন দেওয়া ও পাওয়াতে কী আনন্দ।
তিনি একটা কথা প্রায়ই বলতেন যে বৃষ্টিতে হাঁটা খুবই ভালো কারণ এই সময় কেউ তোমার চোখের অশ্রু দেখতে পায় না। অত্যধিক দারিদ্রই চ্যাপলিনকে শিশু বয়সেই অভিনয়ের দিকে ঠেলে দেয়...তার মা-বাবা দুজনেই মঞ্চের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তাই এই পেশাতে আসাটাই তাঁর কাছে সহজ ছিল।
চ্যাপলিন সেইসময়ের জনপ্রিয় লোকদল “জ্যাকসন্স এইট ল্যাঙ্কাসায়ার ল্যাডস” এর সদস্য হিসাবে নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ১৪ বছর বয়সে তিনি উইলিয়াম জিলেট অভিনিত শার্লক হোমস নাটকে কাগজওয়ালা বিলির চরিত্রে অভিনয় করেন। এই সুবাদে তিনি ব্রিটেনের নানা প্রদেশে ভ্রমণ করেন ও অভিনেতা হিসাবে তিনি যে খুবই সম্ভাবনাময় তা সবাইকে জানিয়ে দেন ।
নিজে সারাজীবন অন্যের দুঃখ ভুলিয়ে দেয়ার কাজ করলেও জীবনের শুরুতেই কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ন হতে হয় এই গুণী শীল্পিকে। স্যার চার্লিকে হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানাই!
(তথ্য, উইকিপিডিয়া অবলম্বনে)
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২৫ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৪:৩৯
কৌতুক শিল্পীরা আমাদের কষ্টগুলো দূর করেন। বিনিময়ে আমরা তাদের কাছ থেকে শুধু স্বার্থটাই প্রত্যাশা করি। তাদের দুঃখ থাকতে পারে, তাদেরও জীবন আছে, এই দিকগুলো আমরা ভুলে যাই। আমার খুব কাছের একজন কৌতুক অভিনেতা একবার দুঃখ করে বলছিলেন, তিনি কষ্ট পেয়ে একটা কথা বললেও সবাই হাসে!
আমি ভেবে দেখলাম, এরচেয়ে কষ্ট আর কিউছু হতে পারেনা। এই শিল্পীরা আমাদের দুঃখ ভুলানোর বদলে নিজেদের দুঃখগুলোকে হত্যা করতে বাধ্য হন। সামান্য শান্তনাও পাননা। এমনই আরেকজন শিল্পীর নাম করব, দিলদার!
চার্লি এবং দিলদাররা অসাধারন মানুষ। সেজন্যই মানুষের এত কাছে আসতে পেরেছেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ’১৬ রাত ১০:৪১
প্রত্যেকটা কৌতুকাভিনেতার জীবনেই কিছু অশ্রুশিক্ত অধ্যায় থাকে।
চার্লি চ্যাপলিন ছিলেন মহাঅভিনেতা!!!
২৭ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:৫৬
তার কান্নার কোন ঘটনাই জানলামনা আর আপনি বলছেন,চ্যাপলিন হাসালেও নিজে কেঁদেছেন!হেডলাইনের সাথে টেক্সটের কোন মিল খুজে পেলামনা।