ধর্ম আর প্রগতি
ধর্ম বলতে মানুষের একান্ত ব্যাক্তিগত কিছু বিশ্বাসকে বোঝায়। এই বিশ্বাসের কিছু অংশ ভালোও হতে পারে আবার কিছু অংশ খারাপও হতে পারে। তাই এ নিয়ে স্বার্বজনীন বিতর্ক বা আলোচনা সম্ভব নয়। একদিকে মন্দির ভাঙ্গা কারো কাছে পবিত্র কাজ, আবার অন্যদিকে কারো সর্বনাশ। কোন মুসলিমের দেখা পেলে গাল দেয়া কারো জন্য ধর্মকাজ আবার কারো জন্য অপমান। তাই স্বার্বজনীনতা নিয়ে ভাবুন। আরো ভাবুন, নিরোপেক্ষতা আনার চেষ্টা করুন।
হিন্দু দাদারা নিজেকে মুসলিম ভেবে নিয়ে তাদের প্রতি নিজের আচার গুলো ভাবুন। আবার মুসলিম ভাইয়েরাও নিজেকে হিন্দু ভেবে একই ভাবনা জাগ্রত করুন।
দেখুন আপনাকেই আপনি কতটা অবহেলা করছেন! আপনার মত রক্ত-মাংসের মানুষই তো আপনার ঘৃণার শিকার হয়ে যাতনায় দগ্ধ হচ্ছে! দিনের পর দিন...
ঠিক এই পয়েন্টে আমি ভাবতে বলব, প্লিজ ভাবুন! আরো চিন্তা করুন! এই একই মানুষ আপনি। আপনারই হিন্দু মন মুসলিম মনের ধ্বংস করে। আপনারই মুসলিম মন হিন্দু মনের ধ্বংস করে। প্রতিটা ধর্মের ভালো দিককে বিপরিত ধর্মের খারাপ দিক গুলোই ধ্বংস করে। তাহলে এই সমাজে প্রতিটা মানুষের সাম্য ভাবলে আপনাকে বলতেই হবে- 'মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরির মূল হাতিয়ার মানুষের কল্যাণ করতে পারেনা।'
আপনার ভাষা, আপনার চাহনি, আপনার ভাবনা সবকিছুই জন্মগত আরো দশটা মানুষের মতন। কিন্তু সেগুলোকে বিকৃত করে দেয় যার যার সমাজ ও পরিবারে লালিত বিশ্বাস বা চর্চা। এই কৃত্রিম চর্চা মানুষের পৃথিবীকে স্বার্বজনীন হতে দিচ্ছেনা।
ছোট বেলায় আমাদের স্কুলের দেয়ালে একটা লেখা ছিলো। "শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল স্বশিক্ষিত করা।" আজ স্বশিক্ষিত, স্বভাবুক মানুষ না হয়ে আমরা মুখস্থ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি বলে প্রগতি ধীর হয়ে যাচ্ছে। নূতনত্ব প্রায় ধ্বংস হচ্ছে।
আসুন না, স্বশিক্ষিত হই। স্বাধীন জীবন গড়ি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২১ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:১০
আর এই সমাজ আমাদের মাঝে বিভেদের দেয়াল তৈরী করে দিচ্ছে!!
২১ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:২৪
অনেক গুলো প্রাণের কথা এক সুতায় গেথে খুব সুন্দর করে বলে ফেলেছেন দাদা। প্রতিটা দেশের সংখ্যালঘুরা মানবতার মূল্য হাড়ে হাড়ে টের পায়।
২১ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:৪৭
ধর্ম আর মানবিকতা নিয়ে ভেবে কূল পাইনি কোনদিন। হয়তো এভাবে চলবে চিরোকাল।
২১ ফেব্রুয়ারি ’১৬ সন্ধ্যা ০৭:১১
কত্ত কঠিন করে বলেন রে বাবা! আমি ভাই মানুষের কল্যানে ধর্মকেই বড় মাধ্যম বলে বিবেচনা করি।