কে বড়? আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা না শহীদ দিবস?
আর এখন! এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস! এদিন যেন মাতৃভাষা নিয়ে উৎসবের দিন। সেই শোকের আবহ আর দেখা যায় না। আগে ফুল দেয়া হতো সকাল থেকে। আর এখন! এখন ইংরেজি সংস্কৃতির তালে পড়ে আমাদের দিন শুরু হয় রাত বারোটায়। রাত বারোটায় শুরু হয় শহীদ বেদীতে ফুল অর্পন। তখন আর ঠিক এই দিবসটাকে আমাদের মনে হয় না। মনে হয় যেন বাইরে থেকে ধার করা দিবস।
অথচ উল্টোটা হতে পারতো। আমাদের মত করে সারা পৃথিবী প্রভাতফেরি করবে। খালি পায়ে ফুল অর্পন করবে। তাইতো হওয়া উচিত ছিল। আমরা ভিনদেশি সংস্কৃতি অনুসরণ করতে করতে এখন আমাদের সংস্কৃতিকেও ভিনদেশি করে ফেলছি। এখন ২১শে ফেব্রুয়ারীতে আর শোকের কোন আবহ নেই। চলে উৎসবের ডঙ্কা। রাস্তায় রাস্তায় পোলাপান হই হই করছে আর কিসব অজাত অশ্রাব্য গান গাচ্ছে। কেউ শহীদ দিবস পালন করছে না, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উৎসবে মাতোয়ারা হচ্ছে।
আমি বেজায় বিরক্ত। আমার মনে হচ্ছে এই দিবসটিকে আন্তর্জাতিক রুপ দিতে গিয়ে আমরা আমাদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২১ ফেব্রুয়ারি ’১৬ রাত ০১:৩৬
প্রথম ভাষা দিবস মূলত পালন করা হয় ৮ ফাল্গুন।আর ৮ ফাল্গুন ছিল গতকাল।অর্থাৎ গতকালকের দিনটি ছিল আমাদের অহংকার, ভাষা দিবস।সালাম, রফিক,জব্বার প্রমুখরা ফাল্গুনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জীবন দিয়েছিল ফেব্রয়ারীকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:২৩
খুবই গুরুত্বপূর্ণ পট তুলে এনেছেন। সত্যিই আমরা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে আন্তর্জাতিকতা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি। শহিদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে!
২১ ফেব্রুয়ারি ’১৬ সন্ধ্যা ০৭:২০
সাধক:
অথচ উল্টোটা হতে পারতো। আমাদের মত করে সারা পৃথিবী প্রভাতফেরি করবে। খালি পায়ে ফুল অর্পন করবে। তাইতো হওয়া উচিত ছিল। একমত।