আমি সেই নারী
অবশ্যই চেনো অথবা না চেনার ভান কর!
আমি সেই নারী,
বার্ন ইউনিটে বসে যে তোমাকে বলেছিল
আমাকে আপনি বানান না, আমি আপনাকে
বানাই,অতপর আপনার নরম তুলতুলে নিতম্বটাকে
আমাদেরই তৈরি করা আসনে বসাই আমাদের
খেদমত করার জন্য,আমাদের সেবা করার জন্য।
আমি সেই নারী
যে বার্ন ইউনিটে বসে তোমার চোখে
চোখ রেখে বলেছিল,আমাদের শ্রম ও
ঘামের উপর নির্মীত সিংহাসনে আমরাই তোমাকে
বসিয়েছি শাসন করার জন্য, শোষন করার জন্য নয়
জীবন বাঁচানোর জন্য, পুড়িয়ে মারার জন্য নয়।
আমি জানিনা কে পেট্রোল দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে?
কে বাসে গান পাউডার দিয়ে মানুষ ও বাস
একসাথে পুড়িয়ে ছাই করছে?কেইবা স্কুলমুখি
ছাত্রের মুখ পেট্রোল দ্বারা ঝলসে দিচ্ছে?
আমি রাজনীতি করিনা তবে রাজনীতি বিজ্ঞানের
ছাত্র হিসাবে এতটুকু বুঝি এর দ্বারা যে পক্ষ বেশী
উপকৃত হয় তারাই এর জন্য দায়ী,ষঢ়যন্ত্র তত্ব
অবশ্য এটাই বলে।ভাববেন না আমি আপনাকেই
মিন করছি!
দাউ দাউ করে বাস জ্বলছে
পত্রিকায় ফোকাস-লাভ কার হয়েছে?
মানুষ পুড়ে কয়লা হয়েছে,পত্রিকার হেডলাইন
লাভ কার হয়েছে?
বার্ন ইউনিটের করুন দশা-আবারও পত্রিকার শিরোনাম
লাভ কার হয়েছে?
পুলিশকে নির্মমভাবে তারই বন্দুকের অপর পিঠ দিয়ে
দেধারছে পেটানো হচ্ছে-প্রথম পৃষ্ঠায়,কে সবচেয়ে
বেশি লাভবান হয়েছে?
মা ও মেয়ে একসাথে পুড়ে ছাই,আবারও
পত্রিকার শিরোনাম!বলতে পারবেন কার লাভ হয়েছে?
কি কথা বলছেন না যে!কিছু একটাতো বলবেন নাকি!
আপনিতো আমাদের মহারানী,আপনার নীরবতা মানায়না
আপনিতো গনতন্ত্রের মানসকন্যা-জবাবদীহিতা যার
অন্যতম স্তম্ভ,জবাবদীহিতা ছাড়া গনতন্ত্রযে মাকাল ফল
সেতো আপনি ভাল করেই জানেন,তাইনা!
তার পরও আপনি নীরব!?
তাহলে কি ভেবে নেব নীরবতা সম্মতির লক্ষন!
পোড়া মানুষের দেহ নিয়ে রাজনীতিতো
আপনারাই করেছেন!ঝলসে যাওয়া মানুষের
পক্ষে মানব বন্ধন করে মায়া কান্নাতো,আপনারাই
বেশী দেখিয়েছেন!পুড়ে যাওয়া মানুষ ও বাসের চিত্র
লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রচার
ওতো আপনারাই করেছেন!
সিটি নির্বাচনে নিজেদের পোস্টার বিলি না করে
পোড়া মানুষের পোস্টার ছিটিয়েছেনতো আপনারা!
আপনারাইতো পোস্টার করেছেন,মানুষ পোড়ানো
শেষ-ভোট চাওয়া শুরু এই শিরোনামে!যাতে বিরোধী
দলকে কেউ ভোট না দেয়!
নিজের নাক কেটে অন্যর রথযাত্রা কতদিন ভঙ্গ করবেন?
এখনো সময় আছে বাদ দেন মানুষ পোড়ানো
বাদ দেন পোড়া মানুষী রাজনীতি!
এখন কি চিনতে পারছেন আমাকে,মহরানী?
আমি সেই নারী
যে আপনাদের মত গনতন্ত্রের মানসকন্যা
ও আপসহীন নেত্রীদের প্রসব করে সিংহাসনে বসাই।
আমি সেই নারী
সিংহাসনে প্রসব করার ক্ষমতার
পাশাপাশি এ্যাবর্শন করার ক্ষমতাও রাখি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
১৮ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৪:৩৩
কবিতাটি একপেশে দোষারোপের দোষে দুষ্ট। একদিকে রাজনীতি বিজ্ঞান জানার পরও বলা হচ্ছে কারা পোড়াচ্ছে তা তিনি জানেন না। অন্যদিকে সরকারের ওপর দায় দেয়া হল। অথচ রাজনীতি বিজ্ঞান না জেনেও আমরা বুঝি কারা সরকারকে টেনে নামাতে চাচ্ছে। কারা হরতাল দিয়ে মানুষ মারছে।
কাব্যিক দিক থেকে ভালো লাগলেও কবিতায় মাইনাস।
২০ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:৪৩
মাইনাস শুনে ভালো লাগলো।অবশ্যই একপেশে,কারণ লেখাটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে।আর আপনি বলছেন,রাজনীতি বিজ্ঞান জানার পরেও কারা পোড়াচ্ছে জানিনা!আমি জানি সেটা যেটা তত্ব বলে,আর আমি সরকারকে দোষারোপ করিনাই ফরমেটে পড়ে গেছে!
২২ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৪:৩৯
আমি সেই নারী,সিংহাসনে প্রসব করার ক্ষমতার পাশাপাশি এ্যাবর্শন করার ক্ষমতা রাখি।বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর