ভালোবাসার শুভেচ্ছা
ভ্যালেন্টাইন্স ডের ইতিহাস বড় করুন। ভালোবাসার মানুষের একত্র মৃত্যুবরনের মাধ্যমে ভালোবাসার জয় উদযাপনের দিন এই ভযালেন্টাইন্স ডে। ভালোবাসার মত পবিত্র অনুভূতি নিয়ে মানুষের কাছাকাছি আসাই এই দিনের লক্ষ্য। এ দিন ভালোবাসার মানুষেরা পরস্পর উইশ করে তাদের পরম অনুভূতি মন খুলে বলতে পারে। তাই ভালোবাসার দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকেই এ দিনকে তাচ্ছিল্য করে তাদের মনের সংকীর্ণতা প্রকাশ করে থাকেন। সত্যি কথা বলতে, এদিন শুধু তারুণ্যকেই আপন করে বাঁধেনি। এদিন দম্পতী থেকে শুরু করে শিশু, ভাই, বোন, বৃদ্ধ, রোগী, আত্মীয় থেকে শুরু করে সকল ভালোবাসার মানুষকেই বেঁধে নিয়েছে। যেহেতু ভালোবাসার বিস্তৃতিই একসময় সমাজে রুপ নেয়, যেহেতু সেই বন্ধনের শেকড় হল দাম্পত্য কিংবা দুটি মনের মিলন। সেহেতু, এই শুরুর অধ্যায়কেই বিশেষ গুরুত্ব দেয় ভালোবাসা দিবস। আজ যারা প্রেমিক-প্রেমিকা কাল তারাই বাবা-মা কিংবা দাদা-দাদি।
সেজন্য যারা এই দিনটিকে কেবল যৌনতায় রুপান্তরিত করতে চান কিংবা যারা যৌনতা আখ্যা দিয়ে বাঁধা দিতে চান তারা উভয়েই ভালোবাসার শত্রু। তার হত্যাকারী।
ভালোবাসা জাত-পাত-ধরম ভেদ মানে না। মানেনা কোন বাঁধা। এক মহেষের জন্য মনুষ্য প্রেম! সেও কোন ভেদ মানেনি। তাছাড়া লাইলি-মজনুর প্রেমও ইতিহাস জোড়া। ইতিহাসে লিখা হয়, লাইলী দেখতে ছিলো খুব কালো। কিন্তু সেই রুপ কি ভালোবাসার রুপের কাছে পরাজিত নয়?
-এভাবেই ভালোবাসাকে মূল্যায়ন করতে হবে। মূল্যায়ন করতে জানতে হবে। ভালোবাসার সীমানা মেপে জীবনকে নিঃশেষ করা যাবেনা। একই ভাবে এর খুঁৎ ধরতে গিয়ে নিজেকে নিষ্ঠুর রুপে উপস্থান করে কোন লাভই নেই।
ভালোবাসার বিজয় হোক। বিশ্ব একই বন্ধনে আবদ্ধ হোক। ভালোবাসার এই দিনে সবাইকে ভ্যালেন্টাইস ডের শুভেচ্ছা।
হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
১৪ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৫:৩৬
আপনার বোধের সাথে একমত। কিন্তু এই দিবসটির প্রোমোটার কারা সেটাও দেখা উচিৎ। এটা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার গুটি ছাড়া কিছু না।