বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশ নামক স্বাধিন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে যে দলের নেতৃত্বে সেই দলটির নামই হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তবে জন্মের সময় এই দলটির নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছিলনা, ছিল পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলমি লীগ। ভারত পাকিস্থান বিভক্ত হওয়ার পরে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলীম লীগের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মাওলানা ভাসানী ও সেক্রেটারী ছি্লেন সামছুল হক। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রোমোট করার জন্য ১৯৫৫ সালে মুসলীম শব্দটি বিলুপ্ত করেন। আর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন স্বাধিন বাংলাদেশের রুপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৬ সাল নাগাদ তিনি এই পদের দায়িত্বে ছিলেন এবং এর পর থেকেই তিনি সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পান,যেটা ১৯৬৫ সাল পরযন্ত চলতে থাকে। ১৯৬৬ সালেই বঙ্গবন্ধু দলের সভাপতির পদ অলংকৃত করেন।
মুসলীম লীগ থেকেই যেহেতু বাংলাদেশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম সেহেতু মুসলীম লীগের জন্মের প্রেক্ষাপটই হল পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলীম লীগের ব্যাকগ্রাউন্ড কারন। ভারতের হিন্দু নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের সাম্প্রদায়িক করাল গ্রাসের হাত থেকে মুসলীম সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ১৯০৬ সালে মুসলীম লীগ গঠিত হয়েছিল। আবার একই ভাবে বলা যায় যে,পূর্ব পাকিস্থানের জনগণের স্বার্থরক্ষার জন্যই পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধিনতা লাভ করার পরে পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী লীগ পরিচিতি লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে। যাদের মুল স্লোগান ছিল স্বাধিনতার স্লোগান,জয় বাংলা।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মুসলীম লীগ থেকেই যেহেতু বাংলাদেশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম সেহেতু মুসলীম লীগের জন্মের প্রেক্ষাপটই হল পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলীম লীগের ব্যাকগ্রাউন্ড কারন। ভারতের হিন্দু নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের সাম্প্রদায়িক করাল গ্রাসের হাত থেকে মুসলীম সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ১৯০৬ সালে মুসলীম লীগ গঠিত হয়েছিল। আবার একই ভাবে বলা যায় যে,পূর্ব পাকিস্থানের জনগণের স্বার্থরক্ষার জন্যই পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধিনতা লাভ করার পরে পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী লীগ পরিচিতি লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে। যাদের মুল স্লোগান ছিল স্বাধিনতার স্লোগান,জয় বাংলা।
১৯৭৫ সালের ১৫ইআগষ্টের কাল রাতে আওয়ামী লীগের উপর নেমে আসে ভয়ংকর নৃশংসতা। নিহত হন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বাধিন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। হত্যা করা হয় শেখ মুজিবরের পরিবারের সবাইকে। বিদেশে থাকার কারনে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই চলছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৭ টি
১০ ফেব্রুয়ারি ’১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
শুনেছি,১৯৫১ সালে আওয়ামী লীগের নাম ছিল,পুর্ব পাকিস্থান জিন্নাহ মুসলীম লীগ!
১০ ফেব্রুয়ারি ’১৬ রাত ০৮:২৯
আওয়ামীলীগ এর অবদান বিবেচনায় মুসলিমলীগের ইতিহাস আনা আসলেই হাস্যকর। এরপর যেন বলা হবে, মুসলিমলীগই বাবা! তারপর? আরেকটু এগোলেই পাকিস্তানই বাংলাদেশের বাবা! আওয়ামীলীগের পরিচয় আনতে গিয়ে মুসলিমলীগের প্যাকেট ধরিয়ে দেয়াটা অত্যন্ত ভয়াবহ বিবেচনা।