এরশাদ বেঁচে থাক, সার্কাস দেখি
সার্কাস তো গ্রাম বাংলায় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলো! এখনও মেলা-পার্বনে সার্কাস পার্টি এলে প্যান্ডেলে ভিড় জমে যায়। একেক বার একেক দিকে দৈহিক কসরত মানুষের ভালো লাগে। মানুষের মন সার্কাস ওলার সাথে এদিক ওদিক দুলে। পড়ি পড়ি করেও পড়েনা, আবার কখনো জোকারি করে না পড়তেও পড়ে সারা!
রাজনীতিতে এরশাদীয় সার্কাস খুব উপভোগ করার মত বিষয়। কৌতুক প্রিয় বাঙ্গালী জাতি যে সিরিয়াস ইস্যুতেও কৌতুক পছন্দ করে এরশাদের জনপ্রিয়তাই তার প্রমাণ। রাজনীতিতে এরশাদের টিকে থাকার প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে এরশাদীয় চরিত্রের জনপ্রিয়তা। মুখে সবাই তাকে পচালেও মনের খোরাক মেটে বলে কেউ এরশাদমুক্ত রাজনীতি ভাবতে চায়না।
এবার সার্কাস শুরু হয়েছে পার্টি ভাঙ্গা নিয়ে। না দাদা! এরশাদ ভার্সেস রওশন ইতিমধ্যে পুরাতন হয়ে গেছে। এবার আসছে এরশাদ-রওশন মুক্ত সার্কাস পার্টি।
বাংলাদেশের রঙ্গপ্রিয় বাঙ্গালী বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া এরশাদের পরবর্তী প্রডাকশনের আশা করতেই পারে। দুঃখিত এভাবে বলার জন্য। বলা উচিৎ, সার্কাসের অগ্রিম ভাষ্য হয়না। এমনও হতে পারে এরশাদ-রওশন অংশের ঐক্য অবস্থান মূলত এরশাদের কিংবা রওশনেরই ভুতের সাথে লড়াই করবে।
দেখাই যাক না! জমুক এবার, সার্কাস পার্টির পলিটিক্যাল জোকস।
(লেখাটি নিছকই আনন্দ দেয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি। সিরিয়াসলি না নেয়ার অনুরোধ থাকল।)
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১০ টি
০৩ ফেব্রুয়ারি ’১৬ রাত ১২:০০
হা হা হা! আপনার শেষ কথাই আমাকে আনন্দ দিয়েছে!
এরশাদ মরে আর আপনে ফান করেন।