জীবন যখন যেখানে যেমন!
জীবন কি ? আমাকে যখন কেউ এমন প্রশ্ন করে, জবাবে বলি, পরিস্থিতি অনুযায়ী ভঙ্গীই হল জীবন। আবার যখন কেউ বলে, অভিনয় কারে কয়? তখন ঠিক একই রকম উত্তরে বলি,পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী অঙ্গভঙ্গি করাই হল অভিনয়। কারো দ্বিমত থাকলে থাকতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে অভিনয় ও জীবন কে আমি এভাবেই দেখে থাকি। কারন জীবনের সাথে অভিনয়ের ওতপ্রোত সম্পর্ক। অভিনয় ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায়না আবার জীবন ছাড়া অভিনয় অসম্ভব। আপনার দেহে যখন প্রাণ/জীবন থাকবেনা তখন আপনি মৃত,মৃত মানুষের পক্ষে কি অভিনয় করা সম্ভব? আর জিবন থাকলে আপনি অভিনয় করতে বাধ্য! নয়লে মানুষ কখনো কখনো আপনাকে পাগল ও বলতে পারে। লক্ষ করুন,আপনি প্রথমত একজন মানুষ দ্বিতীয়ত আপনার মাঝে অনেক গুলো সত্বা রয়েছে। কখনো আপনি পিতা,কখনো স্বামী.কখনো নানা,কখনো মামা.কখনো চাচা,কখনো ভাগ্নে,কখনো দাদা ইত্যাদি। নাতির সামনে যে অভিনয় বা অঙ্গভঙ্গি করেন একই রকম যদি চাচার সাথে করেন কিংবা স্ত্রী,মামা বা শ্বশুরের সাথে করেন তাহলে মানুষের কাছে একজন পাগল ছাড়া আপনার ভিন্ন কোন পরিচয় থাকতে পারেনা। আপনার বাসস্থান পাবনার পাগলা গারতই উপযুক্ত যায়গা! আবার ভাবুন,আপনাকে রেখে আসা হয়েছে পাগলা গারতে কিন্তু আপনার আচরণ স্বাভাবিক মানুষের মত হলে আপনি যতই চান এখানে থাকতে,থাকতে পারবেননা কারন আপনার আচরণ এখানে থাকার উপযুক্ত নয়। প্রতিটা ক্ষেত্রে এভাবেই আপনাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ভান/অভিনয় করে যেতে হচ্ছে। ব্যর্থ হলেই আপনার যায়গা মেন্টাল হসপিটাল। এক কথায়,জীবন যখন যেখানে যেমন তেমনি অভিনয় আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মাধ্যমে আরো পরিস্কার করার চেষ্টা করছি
আপনার বাবা নির্বাচনে দাড়িয়েছে,প্রতিক ছাতা। সন্ধার পরে মিছিল বের হইছে।মিছিলে স্লোগান উঠছে আমার ভাই তোমার ভাই,সেন্টু ভাই সেন্টু ভাই। আপনি মিছিলের একজন,আপনি কি বলবেন? জীবন এমনি!
আপনার বাবা একজন শিক্ষক। আপনার বাবা যে ক্লাশ নিচ্ছেন সেই ক্লাশের আপনিও একজন ছাত্র। হঠাৎ শিক্ষক বাবা আপনাকে জিজ্ঞাস করলো,বল্টু বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে? আপনি দাড়িয়ে কি বলবেন? জীবন এমনি হয়!
আপনার ছেলে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। আগামীকাল অন্যন্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে আপনাকেও দায়ীত্ব গ্রহন অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়েছে। আপনাকে বসানো হয়েছে মঞ্চের প্রথম সাড়িতে। সবাই অধির আগ্রহ নিয়ে বসে আছে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য। অবশেষে যখন উনি প্রবেশ করলেন সবাই দাড়িয়ে পড়লো,আপনি কি করবেন?
আপনি এবং আপনার বাবা দুজনই নবাব সিরাজউদ্দৌলা নাটকের অভিনেতা। আপনার বাবা নবাব আর আপনি হলেন জগৎশেঠ। নাটকের মধ্যে দুজনারই কথোপকথন চলছে,সাথে অন্যন্য হর্তাকর্তা ব্যক্তি রয়েছে। এমতাবস্থায় নবাবকে নবাব হিসাবে সম্বোধন করবেন নাকি বাবা বলে সম্বোধন করবেন! অবশ্যই নবাব বলেই সম্বোধন করবেন,কারন পরিবেশ আপনার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করছে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
আপনার বাবা নির্বাচনে দাড়িয়েছে,প্রতিক ছাতা। সন্ধার পরে মিছিল বের হইছে।মিছিলে স্লোগান উঠছে আমার ভাই তোমার ভাই,সেন্টু ভাই সেন্টু ভাই। আপনি মিছিলের একজন,আপনি কি বলবেন? জীবন এমনি!
আপনার বাবা একজন শিক্ষক। আপনার বাবা যে ক্লাশ নিচ্ছেন সেই ক্লাশের আপনিও একজন ছাত্র। হঠাৎ শিক্ষক বাবা আপনাকে জিজ্ঞাস করলো,বল্টু বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে? আপনি দাড়িয়ে কি বলবেন? জীবন এমনি হয়!
আপনার ছেলে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। আগামীকাল অন্যন্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে আপনাকেও দায়ীত্ব গ্রহন অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়েছে। আপনাকে বসানো হয়েছে মঞ্চের প্রথম সাড়িতে। সবাই অধির আগ্রহ নিয়ে বসে আছে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য। অবশেষে যখন উনি প্রবেশ করলেন সবাই দাড়িয়ে পড়লো,আপনি কি করবেন?
আপনি এবং আপনার বাবা দুজনই নবাব সিরাজউদ্দৌলা নাটকের অভিনেতা। আপনার বাবা নবাব আর আপনি হলেন জগৎশেঠ। নাটকের মধ্যে দুজনারই কথোপকথন চলছে,সাথে অন্যন্য হর্তাকর্তা ব্যক্তি রয়েছে। এমতাবস্থায় নবাবকে নবাব হিসাবে সম্বোধন করবেন নাকি বাবা বলে সম্বোধন করবেন! অবশ্যই নবাব বলেই সম্বোধন করবেন,কারন পরিবেশ আপনার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করছে।
জীবন এমনি হয়! আমরা প্রত্যেকে প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যাচ্ছি,যে যার মত করে। কেউ সার্কাসে,কেউ নাটকে,কেউবা আবার জীবন নামের রঙ্গমঞ্চে। প্রত্যেকেই আমরা পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী চাহিদা মোতাবেক অভিনয় করে যাচ্ছি মৃত্যু পর্যন্ত। এজন্যই কবিগুরু বলেছেন,“পৃথিবী একটা রঙ্গমঞ্চ,যে যার মত অভিনয় করে চলেছে”।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৭ টি
২৮ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:০৬
সত্যিই তাই,প্রতিনিয়ত আমরা অভিনয় করে চলেছি!সার্কাসের ক্লাউনের মত
২৮ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৪:০১
এজন্যই কবিগুরু বলেছেন,“পৃথিবী একটা রঙ্গমঞ্চ,যে যার মত অভিনয় করে চলেছে”।
৩১ জানুয়ারি ’১৬ সন্ধ্যা ০৬:১০
বাবাকে ভাই,ভাইকে বাবা আবার ছেলেকে সম্মান জানানোর ভাণ করার জন্য দাড়িয়ে যাওয়া!অদ্ভুত লাগে মানব জীবন