অড জব এবং ক্লাস-কনসার্ণ
বিদেশে থাকা বাংলাদেশীদের নিয়ে দেশের মানুষদের আলাপ আলোচনায় প্রায় একটা শব্দ শোনা যায়, “Odd Job”।
খুব দুঃখ নিয়ে কমেন্ট করা হয়,
কমেন্টটার আবার শেষ হয় একটু স্যাটায়ার মিশিয়ে, ‘বিদেশে কী এমন সুখ বুঝিনা’!
“Odd Job” শব্দটা আমি কখনো বিদেশীদের মুখে শুনিনি বা তাদের লেখালেখিতে পড়িনি। আমার ধারনা শব্দটা আমাদের নিজস্ব আবিষ্কার। আমাদের রক্তে-বিশ্বাসে-চলনে-ধারনায় যে মারাত্মক গভীর ক্লাস-কনসার্ণ মিশে আছে, আমার ধারণা, এই “Odd Job” শব্দটা সেই ভয়ংকর রকম সংক্রমক ক্লাস-কনসার্ণের ফসল। এই ক্লাস-কনসার্ণের খুব কমন উদাহরণ হতে পারে, মা’র বয়সী বাসার কাজের মহিলাকে ডাক দেয়া, ‘এই বুয়া, এদিকে আসোতো’!
কেনোরে বাবা, সেইম কথাটাই ‘এই খালাম্মা, একটু এদিকে আসতে পারবেন?’ বলতে কী খুব বেশী কষ্ট হয়? সে যেহেতু আপনার বাসায় কর্মচারী (অবশ্য বেশীরভাগ মানুষ তাদেরকে কোনো “জাত”র মানুষ বলেই মনে করেন না, তাই এই বুয়াদেরকে ‘কর্মচারী’ মনে করাটাও কষ্টকর হতে পারে), আপনি তাকে যেভবেই বলেন না কেনো, তিনি তো আসবেনই। কিন্তু কীভাবে বলবেন, ঐ যে আপনার ভিতরের ক্লাস-কনসার্ণ!
কথার মধ্যে যদি বুঝায়েই দেয়া না গেলো যে তুই ছোটলোক, তুই আমার বাসায় কাজ করস, তোকে অর্ডার দিয়ে কথা বলবো, এটাইতো স্বাভাবিক, তোর বয়স এবার আমার মা-খালার সমান হোক, তাহলে আমার আধিপত্যবাদী মানসিকতার প্রকাশ ঘটানো যায়?
আপনি করে সম্বোধন করা, শ্রদ্ধা করা, এসব তো অনেক দূরের কথা, কাজের মানুষদেরকে যেভাবে গালিগালাজ করা হয়, এবং তা এতটাই কমন প্র্যাকটিস যে, মাঝে মাঝে ভাবতে গেলে হতভম্ভ লাগে। যেসব স্বচ্ছল/উচ্চবিত্তদের বাসায় ড্রাইভার-দারোয়ান থাকে, তাদের বেশীরভাগেরতো আরো দূরাবস্থা। বাসার এডাল্টরাতো আছেই, বাচ্চারা পর্যন্ত ড্রাইভারদেরকে/দারোয়ানদেরকে নাম ধরে ডাকে। কথার স্টাইলে/ব্যবহারে মনে হবে যেন এই ড্রাইভার/দারোয়ানরা কেনা গোলাম, নোংরা কোনো ধরনের প্রাণী। এদেরকে আবার ভাই বা চাচা ডাকা, আপনি করে কথা বলার কী আছে?
আর রাস্তায় বেরুলেই অহরহ চারপাশে শোনা যায়, ‘এই রিকশা, যাবা? আরে বাবা, আপনি একটা জলজ্যান্ত মানুষকে কীভাবে রিকশা বানিয়ে দিলেন?! রিকশার ড্রাইভার ‘রিকশা’ হয় কী করে?!
তাকে ভাই বা চাচা বলতে আপত্তি থাকলে অন্তত ‘ড্রাইভার’ ডাকেন, তাও তো কিছুটা হয়।
আর অপরিচিত মানুষ, বড় হোক বা ছোট, তাকে ‘আপনি’ করে বলতে শেখায়নি আপনার বাবা মা? সে রিকশা চালায় বলেই তাকে ‘তুমি’ করে বলার অধিকার কে দিয়েছে আপনাকে?
আমার কথাগুলো, জানি, অনেকের কাছে গালভরা মনে হবে। মনে হবেই। কারন ঐ যে, আপনি নিজেও জানেন না, আপনার ভিতরে ক্লাস-কনসার্ণ কতটা গভীরে।
দেশে, আমাদের সমাজে, আশেপাশে যত শত শত মানুষ দেখি-মিশি, এমন মানুষ খুব খুব খুবই রেয়ার, হয়তো হাতে গুনে খুব কষ্ট করে দুই বা তিনজন পেতে পারি, যাদেরকে চিনি, যারা এই ক্লাস-কনসার্ণকে ডিংগিয়ে মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখে নিয়েছেন এবং তা প্র্যাকটিস করেন।
শুনতে যতই ওয়েষ্টের চামচামী টাইপ শোনাক না কেনো, কথাটা না বলে পারছিনা, ওয়েষ্টের সাধারন মানুষের মধ্যে ক্লাস-কনসার্ণটা অনেকটাই ইনভিজিবল। আমি বলছিনা ‘একদম নাই’। আমি বলছি, টের পাওয়া যায় না।
তারা তাদের দেশের ভৌগোলিক সীমানার বাইরের মানুষদের সাথে যতই হিপোক্র্যাটিক আচরণ করুক না কেনো, দেশের ভিতরে, তাদের সমাজের-জীবনের-চিন্তার দর্শনের ভিতরে তারা সাম্যতা আনতে চেষ্টা করে। প্র্যাকটিস করে যতটা সম্ভব।
আর তাই মন্ত্রী-মিনিষ্টারও রাস্তায় গাড়ির স্পীডিং করলে ট্রাফিক বিভাগ থেকে ফাইন খায়।
এজন্যেই মিলিয়নিয়ারও নিজে ক্লিনিং’র কাজ করে, অফিসে অফিসে গিয়ে অফিস পরিষ্কার করে (যদিও যে গাড়ীটা চালিয়ে ক্লিনিং’র কাজ করতে যায়, সে গাড়ী বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ হয়তো কখনো চোখেও দেখেনি)।
এজন্যেই ইউনিভার্সিটির বড় প্রফেসারও টেক্সি চালায়। টেক্সিতে যাত্রী তোলার সময় লেডিস-যাত্রীর সাথে মাল-পত্র থাকলে নিজে নেমে এসে হাত লাগায়।
এজন্যেই যে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে তার বেতন একজন নামী দামী হোমড়া চোমড়া কর্মকর্তার বেতনের চেয়েও অনেক সময় বেশী হয়।
এজন্যেই সামান্য কিছু সরকারী ট্যাক্সি-ভাউচার নিজের ব্যক্তিগত খাতে খরচ করায় মন্ত্রী-মিনিষ্টারের পদ চলে যায়।
এজন্যেই ব্লা ব্লা ব্লা...
উদাহরন দিলে অনেক উদাহরনই দেয়া যায়।
মোদ্দাকথা হলো, এজন্যেই বিদেশীদের কথা-বার্তায় বা লেখালেখিতে কখনো “Odd Job” শব্দটা শুনিনি।
আর তাই যখনই এই কমেন্টটা শুনি বা কোথাও পড়ি ‘অমুক এত ট্যালেন্টেড, অথচ ঐ দেশে এখন “Odd Job” করে’, তখন সত্যি বলছি, দুঃখ লাগে।
আপনাদের জন্য, আমাদের সবার জন্য দুঃখ লাগে। কারন, আপনাদের ভিতরের যে ক্লাস-কনসার্ণ, সে ক্লাস-কনসার্ণের বাইরে এসে ক্লিনিং’র কাজও যে একটা “কাজ” এবং সমাজের কোনো কাজই/প্রফেশানই একটার চেয়ে আরেকটা কম ভ্যালুয়েবল/গুরুত্বপূর্ণ না; আর তাই পৃথিবীতে এমন সমাজও আছে যে সমাজে মানুষ এই শিক্ষাটা প্র্যাকটিস করতে মোটামুটি চেষ্টা করে, এটা বুঝা এবং মানা আপনাদের পক্ষে সম্ভব না।
কারন আপনারা-আমরা এমন দেশে মানুষ যে দেশ দুইশ বছর নিজে গোলামী করতে করতে নিজেদের রক্তের ভিতর সাহেব-গোলামীর ক্লাস-কনসার্ণ এমনভাবে ঢুকিয়েছে, সার্ফ-এক্সেল বা এরিয়াল বা এগুলো সব দিয়ে ধুয়ে ফেললেও এই মানসিকতা যাবেনা।
আর তাই, আপনি-আপনারা-আমরা যখন দুঃখ করছি ‘আহা, অমুকে এত ট্যালেন্টেড, অমুক দেশে “Odd Job” করে, সেই অমুক তখন খুব সুখেই সে দেশে অড জব করে যাচ্ছে এবং যাবে।
কারন কী জানেন?
কারন, ঐ “Odd Job’ করে ঐ ভদ্রলোক বা ভদ্রমহিলা যে মান-সম্মান নিয়ে শান্তিতে-আরামে স্বচ্ছলভাবে থাকতে পারছেন, দেশে এসে অতটুকু “Odd Job ও তার কপালে মিলবে কিনা তাতে গুরুতর শক্ত সন্দেহ আছে; মান-সম্মান আর স্বচ্ছলতা তো অনেক দূরের কথা!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
খুব দুঃখ নিয়ে কমেন্ট করা হয়,
‘অমুকে এত ট্যালেন্টেড, অথচ বিদেশে “Odd Job” করে’। ভাবখানা এমন যেন দেশে অনেক ভাল ভাল জব তার পায়ে পায়ে ঘুরছে!!
কমেন্টটার আবার শেষ হয় একটু স্যাটায়ার মিশিয়ে, ‘বিদেশে কী এমন সুখ বুঝিনা’!
“Odd Job” শব্দটা আমি কখনো বিদেশীদের মুখে শুনিনি বা তাদের লেখালেখিতে পড়িনি। আমার ধারনা শব্দটা আমাদের নিজস্ব আবিষ্কার। আমাদের রক্তে-বিশ্বাসে-চলনে-ধারনায় যে মারাত্মক গভীর ক্লাস-কনসার্ণ মিশে আছে, আমার ধারণা, এই “Odd Job” শব্দটা সেই ভয়ংকর রকম সংক্রমক ক্লাস-কনসার্ণের ফসল। এই ক্লাস-কনসার্ণের খুব কমন উদাহরণ হতে পারে, মা’র বয়সী বাসার কাজের মহিলাকে ডাক দেয়া, ‘এই বুয়া, এদিকে আসোতো’!
কেনোরে বাবা, সেইম কথাটাই ‘এই খালাম্মা, একটু এদিকে আসতে পারবেন?’ বলতে কী খুব বেশী কষ্ট হয়? সে যেহেতু আপনার বাসায় কর্মচারী (অবশ্য বেশীরভাগ মানুষ তাদেরকে কোনো “জাত”র মানুষ বলেই মনে করেন না, তাই এই বুয়াদেরকে ‘কর্মচারী’ মনে করাটাও কষ্টকর হতে পারে), আপনি তাকে যেভবেই বলেন না কেনো, তিনি তো আসবেনই। কিন্তু কীভাবে বলবেন, ঐ যে আপনার ভিতরের ক্লাস-কনসার্ণ!
কথার মধ্যে যদি বুঝায়েই দেয়া না গেলো যে তুই ছোটলোক, তুই আমার বাসায় কাজ করস, তোকে অর্ডার দিয়ে কথা বলবো, এটাইতো স্বাভাবিক, তোর বয়স এবার আমার মা-খালার সমান হোক, তাহলে আমার আধিপত্যবাদী মানসিকতার প্রকাশ ঘটানো যায়?
আপনি করে সম্বোধন করা, শ্রদ্ধা করা, এসব তো অনেক দূরের কথা, কাজের মানুষদেরকে যেভাবে গালিগালাজ করা হয়, এবং তা এতটাই কমন প্র্যাকটিস যে, মাঝে মাঝে ভাবতে গেলে হতভম্ভ লাগে। যেসব স্বচ্ছল/উচ্চবিত্তদের বাসায় ড্রাইভার-দারোয়ান থাকে, তাদের বেশীরভাগেরতো আরো দূরাবস্থা। বাসার এডাল্টরাতো আছেই, বাচ্চারা পর্যন্ত ড্রাইভারদেরকে/দারোয়ানদেরকে নাম ধরে ডাকে। কথার স্টাইলে/ব্যবহারে মনে হবে যেন এই ড্রাইভার/দারোয়ানরা কেনা গোলাম, নোংরা কোনো ধরনের প্রাণী। এদেরকে আবার ভাই বা চাচা ডাকা, আপনি করে কথা বলার কী আছে?
আর রাস্তায় বেরুলেই অহরহ চারপাশে শোনা যায়, ‘এই রিকশা, যাবা? আরে বাবা, আপনি একটা জলজ্যান্ত মানুষকে কীভাবে রিকশা বানিয়ে দিলেন?! রিকশার ড্রাইভার ‘রিকশা’ হয় কী করে?!
তাকে ভাই বা চাচা বলতে আপত্তি থাকলে অন্তত ‘ড্রাইভার’ ডাকেন, তাও তো কিছুটা হয়।
আর অপরিচিত মানুষ, বড় হোক বা ছোট, তাকে ‘আপনি’ করে বলতে শেখায়নি আপনার বাবা মা? সে রিকশা চালায় বলেই তাকে ‘তুমি’ করে বলার অধিকার কে দিয়েছে আপনাকে?
আমার কথাগুলো, জানি, অনেকের কাছে গালভরা মনে হবে। মনে হবেই। কারন ঐ যে, আপনি নিজেও জানেন না, আপনার ভিতরে ক্লাস-কনসার্ণ কতটা গভীরে।
দেশে, আমাদের সমাজে, আশেপাশে যত শত শত মানুষ দেখি-মিশি, এমন মানুষ খুব খুব খুবই রেয়ার, হয়তো হাতে গুনে খুব কষ্ট করে দুই বা তিনজন পেতে পারি, যাদেরকে চিনি, যারা এই ক্লাস-কনসার্ণকে ডিংগিয়ে মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখে নিয়েছেন এবং তা প্র্যাকটিস করেন।
শুনতে যতই ওয়েষ্টের চামচামী টাইপ শোনাক না কেনো, কথাটা না বলে পারছিনা, ওয়েষ্টের সাধারন মানুষের মধ্যে ক্লাস-কনসার্ণটা অনেকটাই ইনভিজিবল। আমি বলছিনা ‘একদম নাই’। আমি বলছি, টের পাওয়া যায় না।
তারা তাদের দেশের ভৌগোলিক সীমানার বাইরের মানুষদের সাথে যতই হিপোক্র্যাটিক আচরণ করুক না কেনো, দেশের ভিতরে, তাদের সমাজের-জীবনের-চিন্তার দর্শনের ভিতরে তারা সাম্যতা আনতে চেষ্টা করে। প্র্যাকটিস করে যতটা সম্ভব।
আর তাই মন্ত্রী-মিনিষ্টারও রাস্তায় গাড়ির স্পীডিং করলে ট্রাফিক বিভাগ থেকে ফাইন খায়।
এজন্যেই মিলিয়নিয়ারও নিজে ক্লিনিং’র কাজ করে, অফিসে অফিসে গিয়ে অফিস পরিষ্কার করে (যদিও যে গাড়ীটা চালিয়ে ক্লিনিং’র কাজ করতে যায়, সে গাড়ী বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ হয়তো কখনো চোখেও দেখেনি)।
এজন্যেই ইউনিভার্সিটির বড় প্রফেসারও টেক্সি চালায়। টেক্সিতে যাত্রী তোলার সময় লেডিস-যাত্রীর সাথে মাল-পত্র থাকলে নিজে নেমে এসে হাত লাগায়।
এজন্যেই যে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে তার বেতন একজন নামী দামী হোমড়া চোমড়া কর্মকর্তার বেতনের চেয়েও অনেক সময় বেশী হয়।
এজন্যেই সামান্য কিছু সরকারী ট্যাক্সি-ভাউচার নিজের ব্যক্তিগত খাতে খরচ করায় মন্ত্রী-মিনিষ্টারের পদ চলে যায়।
এজন্যেই ব্লা ব্লা ব্লা...
উদাহরন দিলে অনেক উদাহরনই দেয়া যায়।
মোদ্দাকথা হলো, এজন্যেই বিদেশীদের কথা-বার্তায় বা লেখালেখিতে কখনো “Odd Job” শব্দটা শুনিনি।
আর তাই যখনই এই কমেন্টটা শুনি বা কোথাও পড়ি ‘অমুক এত ট্যালেন্টেড, অথচ ঐ দেশে এখন “Odd Job” করে’, তখন সত্যি বলছি, দুঃখ লাগে।
আপনাদের জন্য, আমাদের সবার জন্য দুঃখ লাগে। কারন, আপনাদের ভিতরের যে ক্লাস-কনসার্ণ, সে ক্লাস-কনসার্ণের বাইরে এসে ক্লিনিং’র কাজও যে একটা “কাজ” এবং সমাজের কোনো কাজই/প্রফেশানই একটার চেয়ে আরেকটা কম ভ্যালুয়েবল/গুরুত্বপূর্ণ না; আর তাই পৃথিবীতে এমন সমাজও আছে যে সমাজে মানুষ এই শিক্ষাটা প্র্যাকটিস করতে মোটামুটি চেষ্টা করে, এটা বুঝা এবং মানা আপনাদের পক্ষে সম্ভব না।
কারন আপনারা-আমরা এমন দেশে মানুষ যে দেশ দুইশ বছর নিজে গোলামী করতে করতে নিজেদের রক্তের ভিতর সাহেব-গোলামীর ক্লাস-কনসার্ণ এমনভাবে ঢুকিয়েছে, সার্ফ-এক্সেল বা এরিয়াল বা এগুলো সব দিয়ে ধুয়ে ফেললেও এই মানসিকতা যাবেনা।
আর তাই, আপনি-আপনারা-আমরা যখন দুঃখ করছি ‘আহা, অমুকে এত ট্যালেন্টেড, অমুক দেশে “Odd Job” করে, সেই অমুক তখন খুব সুখেই সে দেশে অড জব করে যাচ্ছে এবং যাবে।
কারন কী জানেন?
কারন, ঐ “Odd Job’ করে ঐ ভদ্রলোক বা ভদ্রমহিলা যে মান-সম্মান নিয়ে শান্তিতে-আরামে স্বচ্ছলভাবে থাকতে পারছেন, দেশে এসে অতটুকু “Odd Job ও তার কপালে মিলবে কিনা তাতে গুরুতর শক্ত সন্দেহ আছে; মান-সম্মান আর স্বচ্ছলতা তো অনেক দূরের কথা!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি
২৮ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:১৮
কাজকে যারা সম্মান করতে জানেনা তারা কখনো ফার্ষ্টওয়ার্ল্ডের নাগরিক হবার যোগ্যতা কোনদিনই অর্জন করতে পারবেনা
৩১ জানুয়ারি ’১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৮
বাঙ্গালী শব্দের সাথে 'বাবু' শব্দ খুব যায়। কিন্তু কাজের মানুষ শব্দটি মোটেই যায় না। তাই বাঙ্গালীর ধুতি দিন দিন মলিন হচ্ছে।