সাস্থ্যখাতে বৈষম্যঃ গ্রাম ও শহর
সাস্থ্যখাত ও শিক্ষাখাতের অবস্থা প্রায় একই রকম। গ্রামে যেমন মানসম্মত শিক্ষা নাই বললেই চলেই তেমনী মানসম্মত চিকিৎসা কেন্দ্রও গ্রামে কল্পনাই করা যায়না। যাদের টাকা পয়সার অভাব নেই তাদের সামান্য পেট খারাপ হলেও শহরের চিকিৎসা কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হন। গ্রামের ইউনিয়ন পর্যায়ের যে চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে সেখানে দায়ীত্ব পালন করেন প্যারামেডিকেল থেকে পাশ করা ডাক্তার। তাদেরও আবার ভাবের কমতি নেই। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাসায় না থেকে শহরের দিকে বাসা ভাড়া করে থাকেন। এতে করে ডাক্তার চেম্বারে প্রতিদিন সময়মত না থাকার কারনে প্রাইমারী চিকিৎসা থেকেও গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। এক সপ্তাহের জন্য যে ঔষুধ তারা বরাদ্দ পান, দুই তিন দিনের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। অভিযোগ আছে এলাকার ডিসপেনসারী গুলোতে ডাক্তার মহোদয় চুপে চুপে বিক্রি করে দেন। গ্রামে এমবিবিএস ডাক্তার পাওয়া যেন,অমাবস্যার চাঁদ। সকল এমবিবিএস ডাক্তার সাহেব গণ সেবা ভূলে নিজের ভবিষ্যত রচনার জন্য শহরের দিকে চলে যায়। এমবিবিএস ডাক্তার থাকবে গ্রামে!তাই কি হয়। এখনকার ছিনেমাতেও এমবিবিএস ডাক্তার কে গ্রামে পরে থাকতে দেখা যায়না। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের অবস্থাতো আরো বেগতিক। ডাক্তারদের একটা সময়ও কাজের মুহুর্তে পাওয়া যায়না। সবাই যেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওইসব শিক্ষকদের মত হয়ে গেছেন যারা কাজে ফাকি দিয়ে প্রাইভেটে ক্লাশ নিতে বেশি আগ্রহী। জেলা সদর হাসপাতালের ডাক্তারগণও একটুকুও পিছপা পা হননা বেশি টাকার জন্য প্রাইভেট ক্লিনিকে সময় দেবার ব্যাপারে। আর যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে মাশআল্লাহ সবগুলোই অকেজো। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো যন্ত্রপাতি মেরামতের ব্যাপারে সরকারের কোন উদ্দোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা! শিশু মৃত্যুহার বা মাতৃত্বকালিন মৃত্য দুটোর অনুপাতই শহরের তুলনায় গ্রামে অনেকগুণ বেশি। এছাড়া শিশু ও মায়ের বড় বড় রোগের পরিমাণও গ্রামে অনেক বেশি। সরকার মহোদয় মুখে মুখে সাস্থ্যখাতের ডিজিটালাইজেশনের কথা বলছে যার বেশির ভাগ হচ্ছে নামিদামি শহরে, গ্রাম এখনো এ্যানালগেই পরে রয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দিন খান বাদল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এতদিন পরও স্বাস্থ্যখাতে কোন কমপিটেন্ট উন্নয়ন করতে পারি নাই। একটা উদাহরণ, আমাদের প্রেসিডেন্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাইরে যায়, আমরাও যাই, মন্ত্রীরাও যান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীও যান! আপনারাই যদি দেশের স্বাস্থ্য সেবার উপরে বিশ্বাস না করেন তাহলে জনগণ বিশ্বাস করবে কিভাবে?
কিছুদিন পুর্বে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত নিজেই সবচাইতে বেশী অসুস্থ, ওরা আবার মানুষের কি সেবা করবে। সরকারী হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনার নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। এর প্রতিকার কী? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে মন্ত্রীর কাছে ৩০০বিধিতে বিবৃতি দাবি করেন তিনি।
মইনউদ্দিন খান বাদল বলেন, দেশে যদি অনেক কিছু ব্যর্থ হয়, ধরুন দুর্নীতি নিয়ে যাদের কাজ করার কথা সেই দুদক নিয়েও যদি প্রশ্ন ওঠে। তখন আলটিমেটলি আপনি (স্পিকার) যেখানে নেতৃত্বে দিচ্ছেন মানুষ তখন সেই পার্লামেন্টের দিকেই থাকিয়ে থাকবে। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান আইএমএডি তার পর্যবেক্ষণে বলছে, দেশের হাসপাতালের ৬৫ভাগ মেশিন অকেজো। ২২টি জেলা সদরের ৪২ ভাগ এক্সওে মেশিন অচল। মেডিকেল কলেজগুলোর ৬০ভাগ এক্সরে মেশিন অচল। ৫০ভাগ আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন কাজ করে না এবং প্রয়োজন নাই এমন যন্ত্রপাতি হরহামেশাই কিনছে। ব্যবহারের অভাবে এসব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও উলেখ করেন তিনি।
মুগদা হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে লুটপাট ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে অলরেডি প্রশ্ন উঠে গেছে। ৪শ কোটি লুটপাট হয়েছে। আমাদের হৃদরোগ ইনস্টিটিউটটাই তো একটা হৃদরোগী। তার কারণ হল এই হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যন্ত্রপাতি আর ওষুধ কেনার নামে ৯৭ কোটি টাকার অনিয়ম আছে বলা হয়েছে। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। ১৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরে মহাখালীর কাছে তিনটি সরকারি মেডিকেল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা শুধু ফটোকপিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। তারা এক বছরে এক কোটি ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩২০ টাকা খরচ করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আপনি নতুন নতুন যত শ্লোগানই দেন না কেন, এতে জনগণের হৃদয় খুলবে না বলেও যোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসময় স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের শরিক দলীয় সংসদ সদস্য বলেন, প্রয়োজনে আপনার পক্ষ থেকে পার্লামেন্টের প্র্যাকটিসের মধ্য থেকে পার্লামেন্টারি অ্যাকশন বিবেচনা করুন।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
স্বাস্থ্যখাতের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দিন খান বাদল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এতদিন পরও স্বাস্থ্যখাতে কোন কমপিটেন্ট উন্নয়ন করতে পারি নাই। একটা উদাহরণ, আমাদের প্রেসিডেন্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাইরে যায়, আমরাও যাই, মন্ত্রীরাও যান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীও যান! আপনারাই যদি দেশের স্বাস্থ্য সেবার উপরে বিশ্বাস না করেন তাহলে জনগণ বিশ্বাস করবে কিভাবে?
কিছুদিন পুর্বে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত নিজেই সবচাইতে বেশী অসুস্থ, ওরা আবার মানুষের কি সেবা করবে। সরকারী হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনার নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। এর প্রতিকার কী? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে মন্ত্রীর কাছে ৩০০বিধিতে বিবৃতি দাবি করেন তিনি।
মইনউদ্দিন খান বাদল বলেন, দেশে যদি অনেক কিছু ব্যর্থ হয়, ধরুন দুর্নীতি নিয়ে যাদের কাজ করার কথা সেই দুদক নিয়েও যদি প্রশ্ন ওঠে। তখন আলটিমেটলি আপনি (স্পিকার) যেখানে নেতৃত্বে দিচ্ছেন মানুষ তখন সেই পার্লামেন্টের দিকেই থাকিয়ে থাকবে। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান আইএমএডি তার পর্যবেক্ষণে বলছে, দেশের হাসপাতালের ৬৫ভাগ মেশিন অকেজো। ২২টি জেলা সদরের ৪২ ভাগ এক্সওে মেশিন অচল। মেডিকেল কলেজগুলোর ৬০ভাগ এক্সরে মেশিন অচল। ৫০ভাগ আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন কাজ করে না এবং প্রয়োজন নাই এমন যন্ত্রপাতি হরহামেশাই কিনছে। ব্যবহারের অভাবে এসব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও উলেখ করেন তিনি।
মুগদা হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে লুটপাট ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে অলরেডি প্রশ্ন উঠে গেছে। ৪শ কোটি লুটপাট হয়েছে। আমাদের হৃদরোগ ইনস্টিটিউটটাই তো একটা হৃদরোগী। তার কারণ হল এই হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যন্ত্রপাতি আর ওষুধ কেনার নামে ৯৭ কোটি টাকার অনিয়ম আছে বলা হয়েছে। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। ১৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরে মহাখালীর কাছে তিনটি সরকারি মেডিকেল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা শুধু ফটোকপিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। তারা এক বছরে এক কোটি ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩২০ টাকা খরচ করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আপনি নতুন নতুন যত শ্লোগানই দেন না কেন, এতে জনগণের হৃদয় খুলবে না বলেও যোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসময় স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের শরিক দলীয় সংসদ সদস্য বলেন, প্রয়োজনে আপনার পক্ষ থেকে পার্লামেন্টের প্র্যাকটিসের মধ্য থেকে পার্লামেন্টারি অ্যাকশন বিবেচনা করুন।
এমপি মহোদয় যে অনিয়মের কথা বললেন তার বেশিরভাগ হচ্ছে গ্রাম পর্যায়ে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্য যেন নিয়তি হয়ে দাড়িয়েছে আবহমান কাল থেকেই। বৈষম্য দূরহোক, সাম্য কায়েম হোক গ্রাম ও শহরের প্রতিটি সেবা ও শিক্ষাখাতে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
১৮ জানুয়ারি ’১৬ রাত ০২:৫৭
দেখুন বাদল না হয়ে অন্য কেউ যদি এই কথাগুলো বলতো আমি তার কথাই লিখতাম
১৮ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:০৮
ছোট দেশের বড় বড় পেট-আলা কর্তা। মানুষ বেশি হলেও সাইজে ছোট অন্যদিকে কিছু বিশাল সাইজের মানুষ পড়ে গেছে। তাই পেট মুখ সব মিলেই একটা বৈসম্য হইছে। সত্য হইল সবাই সমান না। গণতন্ত্রের চলার জন্যও কিছু উচা লোক লাগে।
এরা খুবই সম্মানিত।