পানি ও স্যানিটেশনে বৈষম্য।
বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের মত কোন অংশে বৈষম্য কম নয় পানি ও স্যানিটেশন খাতে। ধারনা করা হয় শহরের চেয়ে গ্রামে বিশুদ্ধ পানির পরিমান বেশি। কিন্তু আসলে কি তাই! হয়তোবা তাই কিন্তু উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের হাহাকার কি আমাদের সরকারের কানে যায়। বৃহত্তর চট্রগ্রামের অধিকাংশ অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানিই শুধু নয় অন্যন্য পানির চরম সংকট। ওসব অঞ্চলের অনেক গ্রাম আছে যেখানে বিশুদ্ধ পানির কোন টিউবওয়েল নেই, নির্ভর করতে হয় পাহাড়ী ঝরনার পানির উপর। বাড়ি থেকে অনেক দুরের ঝরনা থেকে কস্ট করে কয়েক গ্রামের মানুষেরা তাদের পানির অভাব কোনভাবে মিটিয়ে থাকে। তাদের স্যানিটেশন ব্যবস্থা আমাদের নগরের মত নয়, অধিকাংশ টয়লেটই সাস্থ্যসম্মত নয়। খোলকাশের নিচেই তারা তাদের প্রাকৃতিক কাজ সেরে থাক। অন্যন্য সমতল ভূমিতে অবষ্থিত গ্রামেও এখনো অনেক মানুষ ওয়াসার পানি পায়না। তাদের অনেকের আবার অর্থের অভাব থাকায় তারা রিং বা পাটের তৈরি টয়লেট ব্যবহার করতে পারেনা। অধিকাংশ সময় তাদের বাশের তৈরি করা টয়লেট ব্যবহার করা লাগত বা উন্মুক্ত পরিবেশে কাজ সারতো। ফলে বিভিন্ন রকম জিবাণুর আক্রমনে অসুস্থ হয়ে পড়ে গ্রামের সাধারণ মানুষজন। অথচ শহরের মানুষজন সর্বদাই সরকারী পানি মানে ওয়াসার পানি পায় এবং একশো ভাগ সাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা পেয়ে থাকে। এখনো অনেক গ্রামের সাধারণ মানুষেরা আর্সেনিক মুক্ত পানির কথা ভাবতেই পারেনা। যা তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার সাস্থ্য ঝুকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এ ব্যাপারেও আমাদের সরকার মহোদায়ের খুব একটা মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয়না। সরকার অন্যন্য ক্ষেত্রের মত পানি ও স্যানিটেশন ক্ষাতেও নানা বৈষম্য জিইয়ে রেখেছেন,যা গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য কাল হয়ে দাড়াচ্ছে দিনকে দিন।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য বিগত অর্থ বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত হাওর, উপকূল, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং চা-বাগানের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করায় মোট বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে গত অর্থবছরে প্রায় ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ থাকলেও এ বছর তা কমে ১ দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এ খাতে কর্মরত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, দাতা সংস্থা এবং নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প গ্রহণ, বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং শহর ও গ্রামের মধ্যে বিদ্যমান বিনিয়োগ বৈষম্য কমিয়ে আনুপাতিকহারে বরাদ্দ প্রদানের দাবি জানান।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে বরাদ্দ বিশ্লেষণের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন ওয়াটার এইড বাংলাদেশের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের প্রধান শামীম আহমেদ। গত ৯ বছরের জাতীয় বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ হ্রাস পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য বিগত অর্থ বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত হাওর, উপকূল, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং চা-বাগানের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করায় মোট বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে গত অর্থবছরে প্রায় ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ থাকলেও এ বছর তা কমে ১ দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এ খাতে কর্মরত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, দাতা সংস্থা এবং নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প গ্রহণ, বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং শহর ও গ্রামের মধ্যে বিদ্যমান বিনিয়োগ বৈষম্য কমিয়ে আনুপাতিকহারে বরাদ্দ প্রদানের দাবি জানান।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে বরাদ্দ বিশ্লেষণের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন ওয়াটার এইড বাংলাদেশের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের প্রধান শামীম আহমেদ। গত ৯ বছরের জাতীয় বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ হ্রাস পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে যেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে মাথাপিছু বরাদ্দ যথাক্রমে ৬১৭ টাকা এবং ৩৩৮ টাকা। সেখানে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে বরাদ্দ মাথাপিছু মাত্র ২৯৩ টাকা করে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে জাতীয় বাজেটে অঞ্চলভিত্তিক সুষম বরাদ্দ নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
১৩ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৫:২০
দূঃখজনক! বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ আমরা এখনও পেলাম না। এই সেক্টরে সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড়ে এ সমস্যা চরম!
১৪ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:১৮
সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আরও হবে দাদা। গ্রামকে শহর বানাতে একটু সময় লাগবেই।