ধর্মীয় উস্কানী সংখ্যালঘুর আতঙ্ক
অবাক হয়ে যাই যখন দেখি হঠাত আমার প্রতিবেশীরা আমার রক্ত চেয়ে মিছিল করে!
বাবা সংখ্যালঘু। তার পরিবারে জন্মসূত্রে আমিও সংখ্যালঘু। তা কি আমার অপরাধ? আমার এতদিনের সখ্যতা ভুলে আমারই বন্ধু আমার সাথে দূর্ব্যবহার করাকে পূণ্যের কাজ মনে করছে! আমি কখনই দাবি করিনি যে, একটা ধর্মে সবাই ভালো লোক। তাইতো তালেবানের পাপের বোঝা আমি আমার বন্ধুর মাথায় চাপাইনি। আমি তাকে বন্ধু ভেবে এসেছি। কিন্তু কেন তার দিক থেকে আজ অনিষ্টের আশংকা?
যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তার সাজা আছে। সেজন্য আইন আছে, প্রশাসন আছে, বিচার আছে। কিন্তু সে অপরাধের বোঝা আমার মাথায় চাপানো হচ্ছে কেন? কেন আমাকে অপরাধী ভেবে আমার বন্ধু আমার সাথে অভিমান করবে? ঐ অপরাধের সাথে আমার সম্পর্ক কী?
অনেক সময় সারাদেশের অনেক হিন্দু গ্রামে এক যোগে আক্রমণ পরিচালিত হয়! এটা কি সঠিক কাজ? আমি যতদূর জানি- ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। তাহলে কেন আতঙ্ক সৃষ্টিকারী মানুষগুলো ধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করতে স্বক্ষম হচ্ছে? বিবেকবান মুসলিম নেতারা কেন তাদের আটকে দিতে পারছেন না?
আজও যদি এদেশে হিন্দু হওয়া অপরাধ বলে গণ্য হয়, তাহলে আমার আর কোন কথা নেই। আমি আমার অপরাধের সাজা মাথা পেতে নেব। কিন্তু আমার কথাগুলো বিবেকবান মানুষের কাছে রেখে যাচ্ছি। হিন্দু হওয়া অপরাধ না হলে কেন আমাকে হুমকি মাথায় নিয়ে চলতে হবে?
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
১২ জানুয়ারি ’১৬ সন্ধ্যা ০৬:২২
প্রথম কথা হল, আপনার সাথে আমি একমত।
দ্বিতীয় কথা হল, একটা পরামর্শ। আপনার বন্ধুকে আস্বস্ত করুন আপনি কুরান পোড়ানো সাপোর্ট করেন না। বরং এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। আসলে এমন সময় বিশ্বাসের ঘাটতি আসা খুবই স্বাভাবিক। ঠিক যেমন সারাদেশে হিন্দুঘরে আক্রমনের জন্য আমাকে জবাবদিহি করতে হয় তেমন করে কুরান পোড়ানো হলে একটা জবাবদিহি স্বাভাবিক ভাবে আপনাকেও করতে হয়। যে এলাকায় খুন হয় সেই এলাকায় একটা তদন্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই তদন্তে এমন লোকজনই হ্যারাজ হন যারা খুনী নন। এটা স্বাভাবিক।
আমার মনে হয় ধর্মীয় সম্প্রিতীর জন্য সবার আগাতে হবে। কুরান পোড়ানোর প্রতিবাদে যদি হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান পরিষদ একটা মানববন্ধন করে দোষীদের বিচারের দাবি করত তাহলে বিষয়টা খুবই ভালো হত।
ভালো থাকুন দাদা।
১২ জানুয়ারি ’১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় আপনি কি নিন্দা জানিয়েছেন? আপনাদের ঐক্য পরিষদ কি নিন্দা জানিয়েছে?