রাশিয়ার আগবাড়িয়ে সিরিয়া আক্রমনের নেপথ্য কারণ
আইএসের ক্রমাগত আক্রমনে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য যখন বেগতিক,সিরিয়া রাষ্ট্রটি যখন ধ্বংসের একদম দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই সিরিয়ার পাশে এসে দাড়ালেন রাশিয়াযুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক সহায়তায় যাদের সৃষ্টি সেই আইএসকে সাড়াশি হামলায় নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছে রাশিয়া ও আসাদ সরকারএকের পর এক হারানো রাজ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছেন আসাদ সরকার,যা আমেরিকার মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়াচ্ছেআর রাশিয়াও জানান দিতে সক্ষম হচ্ছেযে,যুক্তরাষ্ট্রের দিন ক্রমন্বয়ে শেষ হয়ে আসছেমধ্যপ্রাচ্য এখন আর শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কথায় চলবেনা,রাশিয়াকেও মাথায় রাখতে হবেইউক্রেনের পরে সিরিয়ায় আক্রমন নতুন করে পশ্চিমা বিশ্বকে ভাবিয়ে তুলছেতাহলে কি বিশ্বব্যবস্থা নব্বইয়ের পূর্বর্তী সময়ে ফিরে যাচ্ছে!নাকি সিরিয়া আক্রমনের পেছনে রাশিয়ার অন্য কোন কারন রয়েছে?
সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে এখন কারো পৌষ মাস,কারো সর্বনাশের কারন হয়ে দাড়িয়েছেআইএসের উথ্থানের পর থেকে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জিবন যাত্রার মান ও নিরাপত্তার ভয়াবহ অবনতি ঘটলেও আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলো এখান থেকে লাভবানই হচ্ছেআইএস এর উথ্থানের পর থেকেই বিশ্বজারে তেলের দাম কমতে থাকেঅব্যাহত সংকটের কারনে ইরাক ও সিরয়ার আন্তঃবিপণন ও বানিজ্য ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়েছেবেগতিক অবস্থা সামাল দিতে অধিকাংশ রাষ্ট্রই তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছেএছাড়া বিভিন্ন পক্ষের অধিকৃত এলাকা থেকে নির্বিঘ্নে তেল পাচারেরও অভিযোগ রয়েছেএসবই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমাতে ভূমিকা রখেছেএত করে একমাত্র রাশিয়া বাদে বাদবাকি বৃহৎ রাষ্ট্রগলো সবাই কমবেশি লাভবান হয়েছে
আইএস কেন্দ্রিক মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা সমগ্র রাষ্ট্রের স্নায়ূচাপ বাড়িয়ে দিয়েছেফলে অধিকাংশ রাষ্ট্রই তাদের নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছেঅস্ত্র বিক্রি করে অধিক মাত্রায় লাভবান হচ্ছে উন্নত রাষ্ট্রগুলোসন্ত্রাসি হামলার আশংখায় প্রযক্তি ক্রয় ও গবেষণা খাতেও বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছেএর মাধ্যমেও লাভবান হচ্ছে আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলোমদ্যাকথা,মধ্যপ্রাচ্য সংকট সেখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে করেছে দেশ ছাড়া২০১৪ সাল থেকে এ পরযন্ত সেখানে প্রায় দুই লাখের মত মানুষ মারা গেছে।যদি ২০০৪ সাল থেকে হিসাব করা যায় তাহলে দেখো যাবে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ মারা গেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এমনই রিপোর্ট দিয়েছেকিন্তু এমতাবস্থাতেও নানা তৎপরতার মাধ্যমে আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলো এ তেকে মুনাফা লুটেছে।যারা কিছু পায়নি,তারাও অল্প দামের তেল পেয়েছে
আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর স্বার্থ একতাই এহেন লুটপাটকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ হওয়াটা স্বাভাবিকএরপরেও যখন বৃহৎ একটি শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ারই কথা রাশিয়া পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশতেলের অব্যাহত দরপতনের কারনে রাশিয়ার অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছেমধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার একান্ত বন্ধু ইরান কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেঅন্যদিকে সিরিয়া সরকার,রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনী কার্যকত অবরুদ্ধতাদের একান্ত আস্থাভাজন আসাদ সরকারও পতনের দ্বারপ্রান্তেএ অবস্থায় কৃষ্ণসাগরে দখল টিকিয়ে রাখা এবং সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্য সংকটে রাশিয়াকে হাত গুটিয়ে থাকলে চলেনা
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে এখন কারো পৌষ মাস,কারো সর্বনাশের কারন হয়ে দাড়িয়েছেআইএসের উথ্থানের পর থেকে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জিবন যাত্রার মান ও নিরাপত্তার ভয়াবহ অবনতি ঘটলেও আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলো এখান থেকে লাভবানই হচ্ছেআইএস এর উথ্থানের পর থেকেই বিশ্বজারে তেলের দাম কমতে থাকেঅব্যাহত সংকটের কারনে ইরাক ও সিরয়ার আন্তঃবিপণন ও বানিজ্য ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়েছেবেগতিক অবস্থা সামাল দিতে অধিকাংশ রাষ্ট্রই তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছেএছাড়া বিভিন্ন পক্ষের অধিকৃত এলাকা থেকে নির্বিঘ্নে তেল পাচারেরও অভিযোগ রয়েছেএসবই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমাতে ভূমিকা রখেছেএত করে একমাত্র রাশিয়া বাদে বাদবাকি বৃহৎ রাষ্ট্রগলো সবাই কমবেশি লাভবান হয়েছে
আইএস কেন্দ্রিক মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা সমগ্র রাষ্ট্রের স্নায়ূচাপ বাড়িয়ে দিয়েছেফলে অধিকাংশ রাষ্ট্রই তাদের নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছেঅস্ত্র বিক্রি করে অধিক মাত্রায় লাভবান হচ্ছে উন্নত রাষ্ট্রগুলোসন্ত্রাসি হামলার আশংখায় প্রযক্তি ক্রয় ও গবেষণা খাতেও বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছেএর মাধ্যমেও লাভবান হচ্ছে আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলোমদ্যাকথা,মধ্যপ্রাচ্য সংকট সেখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে করেছে দেশ ছাড়া২০১৪ সাল থেকে এ পরযন্ত সেখানে প্রায় দুই লাখের মত মানুষ মারা গেছে।যদি ২০০৪ সাল থেকে হিসাব করা যায় তাহলে দেখো যাবে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ মারা গেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এমনই রিপোর্ট দিয়েছেকিন্তু এমতাবস্থাতেও নানা তৎপরতার মাধ্যমে আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলো এ তেকে মুনাফা লুটেছে।যারা কিছু পায়নি,তারাও অল্প দামের তেল পেয়েছে
আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর স্বার্থ একতাই এহেন লুটপাটকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ হওয়াটা স্বাভাবিকএরপরেও যখন বৃহৎ একটি শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ারই কথা রাশিয়া পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশতেলের অব্যাহত দরপতনের কারনে রাশিয়ার অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছেমধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার একান্ত বন্ধু ইরান কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেঅন্যদিকে সিরিয়া সরকার,রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনী কার্যকত অবরুদ্ধতাদের একান্ত আস্থাভাজন আসাদ সরকারও পতনের দ্বারপ্রান্তেএ অবস্থায় কৃষ্ণসাগরে দখল টিকিয়ে রাখা এবং সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্য সংকটে রাশিয়াকে হাত গুটিয়ে থাকলে চলেনা
রাশিয়া এখন পৃথিবীর অষ্টম বৃহৎ অর্থনীতির দেশভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে রাষ্ট্রটি বিভিন্ন খাতে একটু একটু করে অগ্রসর লাভ করেছেবিশাল কাঠামোর একটি দেশ অর্থনীতিতে অগ্রসর হওয়ার বিরাট তাৎপরয রয়েছেএই অগ্রসরের মানেই বিরাট উৎপাদনযা বিক্রির জন্য অবস্যই তাকে নতুন বাজার খুজতে হবেঅথচ মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে বর্তমান বিশ্ববাজারের প্রায় পুরোটাই চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রনেএমতাবস্থায় তেল থেকে আয় কমে যাওয়া যেমন রাশিয়ার কাম্য নয় তেমনি নিজেদের পণ্য বিক্রির জন্যও তাকে বাজার দখল করতে হবেসুতরাং পরিস্থিতি নিজের পক্ষে আনতে গেলে রক্তপাত ও ধ্বংসযজ্ঞে নামতেই হতো,যার ফলাফল আসাদ সরকারকে রক্ষা এবং আইএসকে ধ্বংসের নামে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানো তাছাড়া ভূমধ্য সাগরে একটি স্থায়ী ঘাটি গাড়তে পারলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ঘিরে ফেলতে পারে রাশিয়াএকদিকে কৃষ্ণ সাগর অন্যদিকে ক্যাস্পিয়ান সাগরে রাশিয়ার রয়েছে স্থায়ী সামরিক ঘাটিশুধু ভূমধ্য সাগরে নেই অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকই রয়েছেকাজেই ভূমধ্য সাগরে স্থায়ী ঘাটি স্থাপনের মতলবে রাশিয়ার সিরিয়া আক্রমন বললে অতিরজ্ঞিত হওয়ার কোন কারণ নেই! জিও পলিটিক্স সেটাই ইঙ্গিত দেয়।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.