হায়েনার কু-দৃষ্টিতে প্রিয় বাংলাদেশ!!

কখনো ভাবিনি বাংলাদেশেও দেখতে হবে আত্মঘাতি বোমা হামলার দৃশ্য। ভাবিনি বাংলাদেশেও রক্তাক্ত হবে মসজিদ। ছিন্নভিন্ন হবে আত্মঘাতি হামলাকারীর দেহ!!
কিন্তু আজ আমাকে ভাবনাতীত সেই দৃশ্যটাই দেখতে হলো।
ভেবেছিলাম আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে সেকুলার বানাতে চাচ্ছে বিধায় পশ্চিমাদের কুনজর পড়বেনা আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে। কারন তারা চায় সব মুসলিম দেশ সেকুলার হয়ে যাক। ইসলাম বলে চিল্লানোর লোক না থাকুক। মুসলমানরা সব ইসলাম কোরআন এসব ভুলে যাক। হাসিনা সরকার সেটা বাস্তবায়নও করতেছে।
কিন্তু পশ্চিমা শক্তি হাসিনার এসব কাজেও সন্তুষ্ট হতে পারছে না। তারা দেশের উদীয়মান ইসলামী শক্তিকে তাদের জন্য আতঙ্ক হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। বিশেষ করে জামায়াতের উত্থানে তারা আতঙ্কিত।
এজন্য চক্রান্ত করে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের বিভিন্ন গ্রুপের মাঝে দ্ধন্দ্ব লাগিয়ে দিতে প্রথমবার শিয়াদের উপর এবার কাদিয়ানিদের উপর বোমা হামলা চালিয়েছে। হঠাৎ করে এমন হামলা বেড়ে যাওয়া সুষ্পষ্ট ইহুদী আর পশ্চিমাদের চক্রান্ত।
কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনা মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন, বাংলাদেশে আইএস আছে এটার স্বীকার করতে পশ্চিমাদের চাপ আছে। তার মানে আইএস আছে স্বীকার করলেই আইএস দমনের নামে তারা দলবল নিয়ে বাংলাদেশে এসে ঘাঁটি গাড়তে পারে। বাংলাদেশটাতে সিরিয়া ইরাক বানাতে পারে।
রাতেই কিংবা কালকেই হয়তো কাদিয়ানি মসজিদের হামলা আইএস স্বীকার করেছে বলে জানাবে ইহুদী নিয়ন্ত্রীত তথাকথিত সেই ‘সাইট’ !!
আমার প্রিয় বাংলাদেশে শকুনের নজর পড়েছে। আল্লাহ তুমি শকুনের হাত থেকে বাংলাদেশকে হেফাযত করো।।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২৬ ডিসেম্বর ’১৫ সকাল ১১:০৬
ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করে তারাই বাংলাদেশের শত্রু। একই সাথে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির জনকের শত্রু। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সত্য কথাটা বলেও জননেত্রী খারাপ!
২৬ ডিসেম্বর ’১৫ সকাল ১১:০৮
কিসের সাথে কি মিলালেন ভাই? পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র কি শুধু বাংলাদেশেই হয়েছে? সব দেশেই কি কথিত 'উদীয়মান ইসলামী শক্তি' ছিলো?
২৬ ডিসেম্বর ’১৫ রাত ০১:৪৬
বাংলাদেশে রাজাকারের ভাবনার মূল্য নাই। সামরাজ্যবাদ বিরোধী একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কেও নিয়েও রাজাকারি শুরু করছে।
২৬ ডিসেম্বর ’১৫ রাত ০২:০০
এসব মুসলিম বিশ্বের সমস্যা। আর এখানে রাজনীতি মেশানো খুবই খারাপ কাজ। ইসল্কলামের নামে পেট্রোল বোমা যারা মারে তারাই বোমা হামলাও করতে পারে। মূলত ইসলামের নামেই ইসলামের শত্রুরা কাজ করে। ইহুদিদের চেয়ে মুসলিম নাম ধারীরাই ইসলামের বড় শত্রু।