চলছে গাড়ি চিচিং পুরে!-২
প্রতিপক্ষকে কখনো দূর্বল ভাবতে নেই,যারা ভাবেন তাদের মত বোকালোক আর দু-একটা আছে বলে আমার বিশ্বাস হয়না। কারন প্রতিপক্ষকে যতবার আপনি দূর্বল বলে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকবেন সে ততবারই মানষিক ও শারিরীক ভাবে শক্তি যোগাড় করতে থাকে। আপনি ক্ষমতার মসনদে বসে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে থাকেন যে,আমার ক্ষমতা কোনদিনই শেষ হবেনা অপরদিকে দূর্বলরা অবিরত পরিশ্রম করতে থাকে শক্তি যোগাড় করার জন্য। অবশেষে একদিন ঠিকই যাদের আপনি দূর্বল ভাবতেন তাদের হাতে ক্ষমতার চাবিকাঠি হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। কেন জানেন,তাদের রয়েছে মানষিক ও নৈতিক শক্তি যার কোনটাই আপনার নেই।এবার বলুনতো,যদি ক্ষমতা হাতে থাকতেই দূর্বল বিরোধীদলের ডাকে সাড়া দিয়ে অথবা নিজেদের উদ্দোগে তাদের সাথে আলোচনায় বসতেন একদিকে আপনার ভাবমূর্তি যেমন উজ্জল হতো অন্যদিকে সাধারন মানুষের ভালোবাসা ও পেতেন। এখন দু-কূলই হারালেন! এজন্যই বলা,পচে যাবার পূর্বে আলোচনায় বসাই ভালো।
না বসে আসলে ভিন্নকোন পন্থা নেই।আপনাকে বসতেই হবে! অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি আনদাজে বলছিনা! বৈদেশিক রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের দিকে যাবোনা কারন এ ধরনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশেই রয়েছে। আচ্ছা,আপনারতো মনে থাকার কথা,যখন আপনি,ম্যাডাম এবং অধ্যাপক গোলাম আজম মিলে একত্রে আন্দোলন করছিলেন অতি আবেদন ময়ী সুপুরুষ স্বৈরাচার চাচার উৎখাতের বিরুদ্ধে। চাচা কিন্তু প্রথমদিকে একটি বারের জন্যও প্রয়োজন অনুভব করেননী যে আপনাগো লগে বসা দরকার।সমগ্র বাঙ্গালী জাতি চাচার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেও চাচা সেদিকে কর্ণপাত করেননী কারন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতো তার কথায় উঠেবসে। যেদিন চাচায় পদত্যাগ করবেন তার আগের দিনও ফরিদপুরের জনসভায় কয়েকলক্ষ মানুষের সমাগম। ফরিদপুর থেকে ঢাকায় ফিরেই দেখেন লক্ষ লক্ষ মানুষ তার পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করছেন।চাচা দ্রুত তলব করেন সেনাপ্রধানকে এবং এ্যাকশন নিতে অর্ডার দিলে বিনয়ের সুরে তিনি বলেন,
আপনার মনে থাকার কথা,যখন আপনি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার জন্য আবারো রাজাকারের মাস্টার মাইনড গোলাম আজমের সাথে আন্দোলন করছিলেন। অবশ্য ততদিন নাগাদ আপনারা জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপবাদ দেননী যতটুকু মনে পড়ে। ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের কাছে নাকানী চুবানী খাওয়ার পর থেকেই যুদ্ধাপরাধী বলতে শুরু করেছেন। গোলাম আজমের উদভাবিত ফর্মুলাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আপনি মাজায় কাপড় বেধে আন্দোলন শুরু করলেন। যাইহোক কোনভাবেই আপনাদের আন্দোলনকে পাত্তা দিচ্ছিলেননা ম্যাডাম সাহেবা,এমনকি এ বলে আপনাদেরকে উপহাস করেছিলেন যে,
যদি চাচার মত অবস্থার শ্বিকার হতে না চান,যদি বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনী,পুলিশ নয় জনগণই আমার ভরসা,যদি ম্যাডামের বিরুদ্ধে আন্দোলন গুলোকে যৌক্তিক মনে করে থাকেন তাহলে আলোচনায় বসেন।শান্তিপুর্ন রাজনৈতিক এক্সিটের জন্য সময় খুবই কম। ইতিমধ্যে স্বৈরাচার ও ভোটচোর দুটো উপাধীই এখন আপনার ভেনিটি ব্যাগে ।চাচা সুযোগ পাননী,ম্যাডাম আলোচনায় বসেছিলেন,আপনার সমস্যা কোথায়।বসবেনই যখন এখনই বসেন যদি সত্যিকারার্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাস থাকে!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
না বসে আসলে ভিন্নকোন পন্থা নেই।আপনাকে বসতেই হবে! অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি আনদাজে বলছিনা! বৈদেশিক রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের দিকে যাবোনা কারন এ ধরনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশেই রয়েছে। আচ্ছা,আপনারতো মনে থাকার কথা,যখন আপনি,ম্যাডাম এবং অধ্যাপক গোলাম আজম মিলে একত্রে আন্দোলন করছিলেন অতি আবেদন ময়ী সুপুরুষ স্বৈরাচার চাচার উৎখাতের বিরুদ্ধে। চাচা কিন্তু প্রথমদিকে একটি বারের জন্যও প্রয়োজন অনুভব করেননী যে আপনাগো লগে বসা দরকার।সমগ্র বাঙ্গালী জাতি চাচার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেও চাচা সেদিকে কর্ণপাত করেননী কারন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতো তার কথায় উঠেবসে। যেদিন চাচায় পদত্যাগ করবেন তার আগের দিনও ফরিদপুরের জনসভায় কয়েকলক্ষ মানুষের সমাগম। ফরিদপুর থেকে ঢাকায় ফিরেই দেখেন লক্ষ লক্ষ মানুষ তার পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করছেন।চাচা দ্রুত তলব করেন সেনাপ্রধানকে এবং এ্যাকশন নিতে অর্ডার দিলে বিনয়ের সুরে তিনি বলেন,
রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিক ভাবেই সমাধান করুন,সেনাবাহিনীকে আর জনগণের মুখোমুখি দাড় করাবেননা।এ কথা শোনার পরপরই চাচা পদত্যাগ করেছিলেন কেন জানেন,যাকে তিনি সন্তানের মত ভালবাসতেন সেই যখন কথা শুনছেনা তখন আর ক্ষমতা আকড়ে ধরে লাভ কি?চাচায় কিন্তু আলোচনায় বসার সুযোগ টুকুও পাননি।পদত্যাগের পরে চাচার কি অবস্থাটাই না আপনি এবং ম্যাডাম দুজন মিলে করলেন,মনে আছে?
আপনার মনে থাকার কথা,যখন আপনি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার জন্য আবারো রাজাকারের মাস্টার মাইনড গোলাম আজমের সাথে আন্দোলন করছিলেন। অবশ্য ততদিন নাগাদ আপনারা জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপবাদ দেননী যতটুকু মনে পড়ে। ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের কাছে নাকানী চুবানী খাওয়ার পর থেকেই যুদ্ধাপরাধী বলতে শুরু করেছেন। গোলাম আজমের উদভাবিত ফর্মুলাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আপনি মাজায় কাপড় বেধে আন্দোলন শুরু করলেন। যাইহোক কোনভাবেই আপনাদের আন্দোলনকে পাত্তা দিচ্ছিলেননা ম্যাডাম সাহেবা,এমনকি এ বলে আপনাদেরকে উপহাস করেছিলেন যে,
একমাত্র পাগল এবং শিশু ছাড়া কেউকি নিরপেক্ষ হতে পারে!? আন্দোলনের তী্রব্রতার ফলে এক সময় স্বাধিনতাবিরোধী জামায়াত ও আপনাদের কাছে নতি শ্বিকার করতে বাধ্য হয়েছিল। যার ফলাফল তত্বাবধায়ক সরকার এবং আপনার ক্ষমতায় আরোহন দীর্ঘ ২১ বছর পরে! আপনাদের দাবি মেনে যদি তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা মেনে নিত তাহলে একতরফা নির্বাচন দিয়ে ম্যাডামকে পচতে হতোনা এবং ভোটচোর উপাধিও পেতে হতোনা।বুঝতে পারছেন আমার কথা আফা!?
যদি চাচার মত অবস্থার শ্বিকার হতে না চান,যদি বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনী,পুলিশ নয় জনগণই আমার ভরসা,যদি ম্যাডামের বিরুদ্ধে আন্দোলন গুলোকে যৌক্তিক মনে করে থাকেন তাহলে আলোচনায় বসেন।শান্তিপুর্ন রাজনৈতিক এক্সিটের জন্য সময় খুবই কম। ইতিমধ্যে স্বৈরাচার ও ভোটচোর দুটো উপাধীই এখন আপনার ভেনিটি ব্যাগে ।চাচা সুযোগ পাননী,ম্যাডাম আলোচনায় বসেছিলেন,আপনার সমস্যা কোথায়।বসবেনই যখন এখনই বসেন যদি সত্যিকারার্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাস থাকে!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
২২ ডিসেম্বর ’১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩২
আমরা কেন যেন দিনে দিনে অসহিস্নু হয়ে যাচ্ছি।
লেখকের সাথে একমত পোষণ করি।