খুব সকাল এখন। যাকে বলে কাক ডাকা ভোর। সারাজীবন কাকডাকা ভোর বলে একটি কথা শুধু শুনেই এসেছি। বাস্তবতা অবলোকন করা হয়নি। কিন্তু আজ বুঝতে পারলাম। সত্যি সত্যিই কাক ডাকছে। কিন্তু ডাকটা কী কর্কশ! ওহ, আসলে সেজন্যই তো কারো কন্ঠ ভালো না হলে এবং সে গান গাইলে আমরা বলে উঠি কাকের মত কর্কশ কন্ঠ। ঠিকই তো। ওর কন্ঠটা আসলেও ভালো লাগছে না। কিন্তু যদি কোকিল ডাকতো, কী মধুরই না লাগত। সেখানেও তো প্রবাদ আছে। কোকিল কন্ঠী! আসলেই নানান প্রবাদের পেছনে বাস্তবতা রয়েছেই।

এ সাতসকালে উঠে আজ কেন যেন অনলাইনে বসেছি। যদিও পড়তে বসার ইচ্ছে থেকেই টেবিলে বসেছি। আর পড়ার স্বার্থেই ল্যাপটপটা চালু করা। কিন্তু ল্যাপটপে রাখা আমার সাধের পড়ার ম্যাটেরিয়াল খোলার আগেই যে ফেসবুকের দিকে তীর যায়! এটা একটা কঠিন ব্যাপার হয়ে গেছে বৈকি! ফেসবুক থেকে কত কিছুর যে সন্ধান মেলে তার কি কোন ইয়ত্তা আছে! আর সেসব সন্ধান পাওয়া লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করলেই তার পেছনে আরো কিছুটা সময় করে যেতেই থাকে। সব মিলিয়ে সময় এভাবেই গড়িয়ে যায়। কী এক সমস্যা!

আজ ফেবুতে বসতেই এ ব্লগের লিঙ্ক পেলাম। সাধারণত ব্লগে ঢোকা হয়ে ওঠে না। কিন্তু আজ হঠাৎই নতুন ব্লগের নাম দেখে, আর সেটা একাত্তর দেখে ঢুকে গেলাম। না, এতো সত্যিই নতুন দেখছি! এখনও পোস্ট সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকটি। ওহ এ যে গত কালই শুরু হয়েছে! তাহলে একটা কিছু পোস্ট করে দিলে আমিও তো শুরুর সাক্ষি হয়ে যাব। সে লোভটা সামলাতে পারলাম না। একটা ব্লগ লিখতে চাইলামই। কিন্তু কী লিখব সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। তারপরও লিখব যখন ভেবেছি তখন লিখবই। তাই যথারীতি শুরু করা। কিন্তু কীবোর্ডে হাত রাখতেই "খুব সকাল এখন" কথাটি লিখার সঙ্গে সঙ্গে কাকের ডাক কানে এলো। সেটা লিখতে গিয়ে প্রবাদের কথা মনে পড়ল। সেখান থেকেই কয়েক কলম হয়ে গেল। হা হা।। আমার ব্লগ লিখা এগিয়ে গেল কিছুটা।

যাহোক, সাত সকালে উঠেই যখন ব্লগ একাত্তর নামক এ নতুন ব্লগের সাক্ষাত পেলাম, এর জন্য একটু আশির্বাদ করতে আর দেরি করব না। সমৃদ্ধ হও 'ব্লগ একাত্তর'। একাত্তরের চেতনায় সমৃদ্ধ হও। হয়ত তোমাকে দেখতে আসতে গিয়েই ব্লগে নিয়মিত হব। আমার জন্যও শুভ কামনা কইরো...


ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ