ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক সরকারকেই নিরসন করতে হবে
‘বাংলাদেশ কবে ভ্যাকসিন পাবে?’ এই প্রশ্নের এখনো কোনো ‘যথাযথ’ উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাবে। কিন্তু, সরাসরি ভারতের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তা নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। চুক্তিটা বাণিজ্যিক নাকি জিটুজি (সরকার থেকে সরকার), এ নিয়েও রয়েছে বিপরীত বক্তব্য।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে জিটুজি বলছে, বেক্সিমকো বলছে বাণিজ্যিক, এটা আসলে কী? আর সবমিলিয়ে গতকাল অনেক বিভ্রান্তি ছিল। বেক্সিমকোর এমডি নাজমুল হাসান পাপন তো বলেছেন যে, তারা যে চুক্তি করেছেন, সেই অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন দিতে বাধ্য। এখন চুক্তির পর যদি সেরামের সিইও বলেন যে, তারা এখন দিতে পারবে না, তাহলে তো তাদের বিরুদ্ধে কেস করা যাবে। আর বেক্সিমকো তো বলেছেই যে, ভ্যাকসিনটা আমরা সময় মতোই পাব।’
আগে ভ্যাকসিন আসা নিয়ে নানা ধরনের কথা বললেও গতকাল বলা হয়েছে ‘আমরা চুক্তি অনুযায়ী পাব’। কিন্তু, চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। চুক্তিটা কী?, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন যে, চুক্তিটা আসলে কী? সেটা আমাদেরকে জানানো যাবে কি না। অনেক সময় চুক্তিটা প্রকাশ করে না।’
কিন্তু, যেহেতু এটা একটা জাতীয় সংকট, তাই চুক্তিটার বিষয়ে পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল। আরেকটা বিষয়, ডব্লিউএইচও এটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে কি না। যতদূর জানি সেটা এখনো পায়নি। এগুলো কিছু বিষয় আছে। এ নিয়ে সরকার কিন্তু কিছু বলেনি। ডব্লিউএইচওর স্বীকৃতি দরকার হবে, সেটা কিন্তু সরকার বলছে না। অনেক কথাই সরকার বলছে না। সরকারকে প্রশ্ন করে বিষয়গুলো পরিষ্কার করতে হবে। আমাদের দেশে ওষুধ প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু, ডব্লিউএইচও অনুমোদন না দিলে তো হবে না। কারণ, তাদের অনুমোদন ছাড়া ওই ভ্যাকসিন কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তি মোচনে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত বলে মনে করেন এম হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কিছুই শুনছি। এখানে যেটা হয়েছে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটা হচ্ছে স্পিরিট। কিন্তু, ফাংশানালি চুক্তিটা হয়েছে দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে (সেরাম ও বেক্সিমকো)। এক্ষেত্রে বলা যায়, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আওতায় এই দুই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টি হচ্ছে। এ কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
কিন্তু, আমি মনে করি, দুই সরকারের বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত। অন্যথায়, বিভ্রান্তি আরও বাড়তে পারে। যা উদ্বেগের বিষয় হবে। আমরা জানি যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন ইস্যুটি পলিটিসাইজড করা হয়েছে। আমি ভারতের টেলিভিশনে দেখলাম যে, তাদের নিজস্ব যে ভ্যাকসিনটি (কোভ্যাক্সিন), সেটার মানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, আমার মনে হয়, দুই সরকারের পক্ষ থেকেই বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত। অন্যথায় ভ্যাকসিন নিয়ে জনমনে অনাস্থা তৈরি হতে পারে। আমি মনে করি, ভ্যাকসিনের মান, ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মনে বিশ্বাস রাখা খুব জরুরি।’
সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখাটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, ভ্যাকসিন নিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্বে অনেক ধরনের পলিটিসাইজেশন হয়ে আছে। ভ্যাকসিন ইস্যু নিয়ে যাতে কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি না হয়, এর জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে জিটুজি বলছে, বেক্সিমকো বলছে বাণিজ্যিক, এটা আসলে কী? আর সবমিলিয়ে গতকাল অনেক বিভ্রান্তি ছিল। বেক্সিমকোর এমডি নাজমুল হাসান পাপন তো বলেছেন যে, তারা যে চুক্তি করেছেন, সেই অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন দিতে বাধ্য। এখন চুক্তির পর যদি সেরামের সিইও বলেন যে, তারা এখন দিতে পারবে না, তাহলে তো তাদের বিরুদ্ধে কেস করা যাবে। আর বেক্সিমকো তো বলেছেই যে, ভ্যাকসিনটা আমরা সময় মতোই পাব।’
আগে ভ্যাকসিন আসা নিয়ে নানা ধরনের কথা বললেও গতকাল বলা হয়েছে ‘আমরা চুক্তি অনুযায়ী পাব’। কিন্তু, চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। চুক্তিটা কী?, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন যে, চুক্তিটা আসলে কী? সেটা আমাদেরকে জানানো যাবে কি না। অনেক সময় চুক্তিটা প্রকাশ করে না।’
কিন্তু, যেহেতু এটা একটা জাতীয় সংকট, তাই চুক্তিটার বিষয়ে পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল। আরেকটা বিষয়, ডব্লিউএইচও এটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে কি না। যতদূর জানি সেটা এখনো পায়নি। এগুলো কিছু বিষয় আছে। এ নিয়ে সরকার কিন্তু কিছু বলেনি। ডব্লিউএইচওর স্বীকৃতি দরকার হবে, সেটা কিন্তু সরকার বলছে না। অনেক কথাই সরকার বলছে না। সরকারকে প্রশ্ন করে বিষয়গুলো পরিষ্কার করতে হবে। আমাদের দেশে ওষুধ প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু, ডব্লিউএইচও অনুমোদন না দিলে তো হবে না। কারণ, তাদের অনুমোদন ছাড়া ওই ভ্যাকসিন কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তি মোচনে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত বলে মনে করেন এম হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কিছুই শুনছি। এখানে যেটা হয়েছে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটা হচ্ছে স্পিরিট। কিন্তু, ফাংশানালি চুক্তিটা হয়েছে দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে (সেরাম ও বেক্সিমকো)। এক্ষেত্রে বলা যায়, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আওতায় এই দুই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টি হচ্ছে। এ কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
কিন্তু, আমি মনে করি, দুই সরকারের বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত। অন্যথায়, বিভ্রান্তি আরও বাড়তে পারে। যা উদ্বেগের বিষয় হবে। আমরা জানি যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন ইস্যুটি পলিটিসাইজড করা হয়েছে। আমি ভারতের টেলিভিশনে দেখলাম যে, তাদের নিজস্ব যে ভ্যাকসিনটি (কোভ্যাক্সিন), সেটার মানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, আমার মনে হয়, দুই সরকারের পক্ষ থেকেই বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত। অন্যথায় ভ্যাকসিন নিয়ে জনমনে অনাস্থা তৈরি হতে পারে। আমি মনে করি, ভ্যাকসিনের মান, ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মনে বিশ্বাস রাখা খুব জরুরি।’
সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখাটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, ভ্যাকসিন নিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্বে অনেক ধরনের পলিটিসাইজেশন হয়ে আছে। ভ্যাকসিন ইস্যু নিয়ে যাতে কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি না হয়, এর জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.