ইস্টিশন ব্লগ ও বাংলাদেশের ভয়
সম্প্রতি "ইস্টিশন" ব্লগের বাংলাদেশি ব্যাবহারকারীদের জন্য ব্লগে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে "ইস্টিশন" ব্লগের কয়েকজন বাংলাদেশি ব্লগার/লেখক অভিযোগ করেছেন ব্লগের এডমিন প্যানেলের কাছে। এবং এডমিন প্যানেলের ধারণা মতে বাংলাদেশ সরকার "ইস্টিশন" ব্লগটির বাংলাদেশি ব্যাবহারকারীদের ক্ষেত্রে ব্লগটি ব্যাবহারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কেন বা কি কারণে ব্লগটি ব্যাবহারে বাংলাদেশি ব্যাবহারকারীদের ক্ষেত্রে সরকার এমন স্বীদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন তার কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
ব্যক্তিগত মতামত
বাংলাদেশ সম্পর্কিত যে সমস্ত সত্যগুলো ইস্টিশন ব্লগের ব্লগার/লেখকদের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বা লেখালেখী করা হয় তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভয়ের, আতংকের। তার কারণ ন্যায়ের পক্ষালম্বনে সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব একেবারেই নগন্য। গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক চর্চা থেকে শুরু করে সার্বভৌমত্ব ক্ষমতার অপব্যাবহার, সাংবিধানিক অসচ্ছলতা, সংখ্যালুঘু নির্যাতন সহ নানাবিধ ন্যায়নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত বাংলাদেশ। দেশে(বাংলাদেশ) নরপশু ধর্ষকদের হাতে অজস্র নারী ধর্ষিত হয়! ধর্ষনের পর কখনো শ্বাসরোধ করে কিংবা গলা কেটে কিংবা যৌনাঙ্গে গাছের গুড়ি ঢুকিয়ে দিয়ে নারী ও শিশু হত্যা করা হয়! কিন্তু বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ অতিক্রান্ত হলেও ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে যথাযোগ্য শাস্তি দেওয়া হয়না। আমরা সমতলের তনু, খাদিজা, রূপাদের ধর্ষিত হওয়ার খবর কমবেশি সবাই জানি। তাদের ধর্ষণ কখনো ধর্ষণ এবং ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে প্রসাশনিক ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায়, আবার কখনো চলন্তবাসে! আমরা আরো জানি যে পাহাড়ে সেটেলার বাঙালী কতৃক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হওয়া ছবি মার্মা, তুমাচিং, সুজাতা, কৃত্তিকা ত্রিপুরা সহ অহরহ আদিবাসী নারী ও শিশুর নৃশংস ইতিহাসকে। পাহাড়ের জুমে গিয়ে একা পেয়ে সেটেলার বাঙালী নরপশু কতৃক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার স্বীকার হয়েছেন ছবি মার্মা! একইভাবে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তুমাচিং ও সুজাতাকেও! ১০ বছর বয়সী ছোট্ট শিশু কৃত্তিকা ত্রিপুরা ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার ইতিহাস অনেকটা বেদনাদায়ক। বাড়িতে একা পেয়েও খাগড়াছড়ি জেলার কয়েকজন সেটেলার বাঙালী নরপশু কৃত্তিকাকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের পর বিভৎস্যভাবে যৌনাঙ্গে গাছের গুড়ি ঢুকিয়ে দিয়ে হত্যা করে! পাহাড় এবং সমতল যাদের কোন ধর্ষকের এখনো আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হয়নি। যার ফলে নারী ও শিশু ধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষকদের উৎসাহ আরো বেড়ে যাচ্ছে বিস্তরভাবে। ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মিটিং, মিছিল, সমাবেশ করা হলে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে সেটা হয় দেশদ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী!!! গণতন্ত্রবিরোধী, সংবিধান বিরোধী!!!
এছারাও এদেশে(বাংলাদেশে) সাগড়/রুনি, নিলয়, অভিজিৎ, রিফাতদের নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কিন্তু খুনিদের বিচার হয়না। বিচারের দাবিতে রাজপথে মিছিল করা হলে বিক্ষোভকারীদের উপর তীব্রভাবে হামলা করা হয় দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কতৃক। যারা অন্যায়ের প্রতিকূলে এবং ন্যায়ের অনুকূলে অবস্থান করে সত্য তুলে ধরার পক্ষে থাকে সবসময় তাদের রাস্তা ঘাটে যেখানে সেখানে প্রকাশ্য হত্যা করে মূখ বন্ধ করে দেয়া হয়!
সংখ্যালূঘুদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। সমতল থেকে শুরু করে পাহাড় পর্যন্ত দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হিন্দু এবং ৪৫টির অধিক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে ৭১এর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন চেতনা থেকে বাকবন্ধি করে রাখা হয়েছে। যাদের স্বাতন্ত্র স্বকীয়তা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি থাকা সত্বেও জোরপূর্বকভাবে চাঁপিয়ে দেয়া হচ্ছে অন্য আরেকটি সংস্কৃতি। যে জাতিগোষ্ঠীগুলোর নিজস্ব পরিচয়ে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার বিন্দু পরিমান অস্তিত্ব নেই।
উপরোন্ত সত্য এবং আরো অলিখিত সত্য ও নাস্তিকবাদী সত্য নিয়ে "ইস্টিশন" ব্লগে বাংলাদেশি ব্যাবহারকারীরা লেখালেখী করে বলেই বাংলাদেশের যত ভয়, আতংক এবং চুলকানী। কারণ সত্যকে সত্য হিসেবে স্বীকার করা কিংবা সত্য বলার সাহস বাংলাদেশ সরকারের নেই।
পরিশেষে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে "ইস্টিশন" ব্লগ ব্যাবহারের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশি ব্যাবহারকারীদের সুবিধার্থে উত্তোরন করা হোক।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
ব্যক্তিগত মতামত
বাংলাদেশ সম্পর্কিত যে সমস্ত সত্যগুলো ইস্টিশন ব্লগের ব্লগার/লেখকদের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বা লেখালেখী করা হয় তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভয়ের, আতংকের। তার কারণ ন্যায়ের পক্ষালম্বনে সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব একেবারেই নগন্য। গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক চর্চা থেকে শুরু করে সার্বভৌমত্ব ক্ষমতার অপব্যাবহার, সাংবিধানিক অসচ্ছলতা, সংখ্যালুঘু নির্যাতন সহ নানাবিধ ন্যায়নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত বাংলাদেশ। দেশে(বাংলাদেশ) নরপশু ধর্ষকদের হাতে অজস্র নারী ধর্ষিত হয়! ধর্ষনের পর কখনো শ্বাসরোধ করে কিংবা গলা কেটে কিংবা যৌনাঙ্গে গাছের গুড়ি ঢুকিয়ে দিয়ে নারী ও শিশু হত্যা করা হয়! কিন্তু বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ অতিক্রান্ত হলেও ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে যথাযোগ্য শাস্তি দেওয়া হয়না। আমরা সমতলের তনু, খাদিজা, রূপাদের ধর্ষিত হওয়ার খবর কমবেশি সবাই জানি। তাদের ধর্ষণ কখনো ধর্ষণ এবং ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে প্রসাশনিক ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায়, আবার কখনো চলন্তবাসে! আমরা আরো জানি যে পাহাড়ে সেটেলার বাঙালী কতৃক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হওয়া ছবি মার্মা, তুমাচিং, সুজাতা, কৃত্তিকা ত্রিপুরা সহ অহরহ আদিবাসী নারী ও শিশুর নৃশংস ইতিহাসকে। পাহাড়ের জুমে গিয়ে একা পেয়ে সেটেলার বাঙালী নরপশু কতৃক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার স্বীকার হয়েছেন ছবি মার্মা! একইভাবে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তুমাচিং ও সুজাতাকেও! ১০ বছর বয়সী ছোট্ট শিশু কৃত্তিকা ত্রিপুরা ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার ইতিহাস অনেকটা বেদনাদায়ক। বাড়িতে একা পেয়েও খাগড়াছড়ি জেলার কয়েকজন সেটেলার বাঙালী নরপশু কৃত্তিকাকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের পর বিভৎস্যভাবে যৌনাঙ্গে গাছের গুড়ি ঢুকিয়ে দিয়ে হত্যা করে! পাহাড় এবং সমতল যাদের কোন ধর্ষকের এখনো আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হয়নি। যার ফলে নারী ও শিশু ধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষকদের উৎসাহ আরো বেড়ে যাচ্ছে বিস্তরভাবে। ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মিটিং, মিছিল, সমাবেশ করা হলে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে সেটা হয় দেশদ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী!!! গণতন্ত্রবিরোধী, সংবিধান বিরোধী!!!
এছারাও এদেশে(বাংলাদেশে) সাগড়/রুনি, নিলয়, অভিজিৎ, রিফাতদের নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কিন্তু খুনিদের বিচার হয়না। বিচারের দাবিতে রাজপথে মিছিল করা হলে বিক্ষোভকারীদের উপর তীব্রভাবে হামলা করা হয় দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কতৃক। যারা অন্যায়ের প্রতিকূলে এবং ন্যায়ের অনুকূলে অবস্থান করে সত্য তুলে ধরার পক্ষে থাকে সবসময় তাদের রাস্তা ঘাটে যেখানে সেখানে প্রকাশ্য হত্যা করে মূখ বন্ধ করে দেয়া হয়!
সংখ্যালূঘুদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। সমতল থেকে শুরু করে পাহাড় পর্যন্ত দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হিন্দু এবং ৪৫টির অধিক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে ৭১এর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন চেতনা থেকে বাকবন্ধি করে রাখা হয়েছে। যাদের স্বাতন্ত্র স্বকীয়তা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি থাকা সত্বেও জোরপূর্বকভাবে চাঁপিয়ে দেয়া হচ্ছে অন্য আরেকটি সংস্কৃতি। যে জাতিগোষ্ঠীগুলোর নিজস্ব পরিচয়ে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার বিন্দু পরিমান অস্তিত্ব নেই।
উপরোন্ত সত্য এবং আরো অলিখিত সত্য ও নাস্তিকবাদী সত্য নিয়ে "ইস্টিশন" ব্লগে বাংলাদেশি ব্যাবহারকারীরা লেখালেখী করে বলেই বাংলাদেশের যত ভয়, আতংক এবং চুলকানী। কারণ সত্যকে সত্য হিসেবে স্বীকার করা কিংবা সত্য বলার সাহস বাংলাদেশ সরকারের নেই।
পরিশেষে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে "ইস্টিশন" ব্লগ ব্যাবহারের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশি ব্যাবহারকারীদের সুবিধার্থে উত্তোরন করা হোক।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি