"স্রোতের কবলে যুগের পর যুগ দেখা কি মিলবে শ্রেষ্ঠ যুগ?"
লেখকঃ
Moksedul Lim
আমি যখন গল্পটা পোস্ট করেছি তখন অনেকেই অনেক কিছু করছে। কেউ মোবাইল,ল্যাপটপ,কম্পিউটারের সামনে বসে গেম খেলছে,কেউ খবরের কাগজ পড়ছে,কেউ বার্সেলোনা vs রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখছে,কেউবা আবার ইউটিউবিং করছে।অনেকে চ্যাটিং নিয়ে ব্যস্ত, এছাড়াও আরও কত কি করছে।অনেকে আবার এ সব কিছুই করছে। এর ভিতর থেকে সামান্য কিছু প্রাণি আমার লেখাটা পড়ছে।অনেকে হয়ত পড়ছে না,পড়লেও ধৈর্য্যের পরিচয় দিচ্ছে না।এর মধ্যে অনেকেই না পড়েই লাইক দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিবে। কারণ তাদের রয়েছে অনেক ব্যস্ততা,তাদের কাছে লাইকের অর্থ হচ্ছে নিজের এক্সজিসটেন্স কে প্রকাশ করা। তারা যে সেই সময় অনলাইন এ ছিলো এটা জানানো। তারা ব্যস্ত কারণ তখন তার কাছে sms সাহেব এসে বসে আছে।তাকে কি বসে রাখা যায় যদিও মেসেঞ্জার এ head chat অন আছে। একটু ভেবে দেখুন কিছুদিন আগে কি এরকম ছিলো?তখন কি ব্যস্ততা ছিলো না।অবশ্যই ছিলো কিন্তু ধরনটা ভিন্ন ছিলো। এই ধরুন খবর পড়তে হতো খবরের কাগজে,যদিও এখনো এই খবরের কাগজেই পড়া হয়৷ কিন্তু সূদুর ভবিষ্যতে এমনটা দেখা যাবে কি না, তার একটা সম্ভাবনা কিন্তু রয়েই যায়। তারপর ধরুন ওপেরা মিনি দিয়ে ফেসবুক চালানো। যেখানে ছিলো না কোনো head chat,ছিলো না একসাথে সব কিছু ব্যবহার করার সুবর্ন সুযোগ। এখন আমরা sms এর যুগকে অতিক্রম করে পেছনে গেলে দেখতে পারব কলম খাতার যুগ।অর্থাৎ এই যুগে কেউ যদি কারও শুভাকাঙ্খী র সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে চাইতো তাহলে ব্যবহার করা লাগত কলম-খাতা। এর মানে এই নয় যে সেই সময় কেউ কথা বলত না। আসলে সেই সময়টা ছিলো conservative society এর শেষের পর্যায়। যদিও বিশ্বের অনেক দেশে এখনো এমনটা রয়েছে। যেমন : টেক্সাস। যতই দিন যাচ্ছে আমরা ঐ সোসাইটি থেকে বেরিয়ে আসছি।যেমমটা ডিম ফুটে মুরগির বাচ্চা বের হয় এবং বের হয়ে এর কুফল গুলো পেতে শুরু করেছি। যেমনঃধর্ষন, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন ইত্যাদি। ভবিষ্যৎ এ এর পরিনতি যে কি ভয়াবহ হবে তা ভাবা যায় না। কারণ আমারা যে সেই সোসাইটি থেকে বের হয়ে এসেছি। আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটা ক্রমবর্ধমান একটা প্রোসেস।এটা দিন দিন আউট অফ রেঞ্জ এ যেমন চলে যাচ্ছে ঠিক তেমনি আউট অফ কন্ট্রোলেও যাচ্ছে। কোথায় যেন ছিলাম। ও মনে পড়েছে, কাগজ-কলমের যুগ।কি কিছু মনে আছে??থাকলে ভালো না থাকলে.......৷ সেই যুগে কাগজের চিঠির মাধ্যমে মনের মানুষের কাছে মনের ভাব প্রকাশ করার একটা সুযোগ ছিলো।জানিনা এর মাধ্যমেই হয়তো তাদের হাতের লেখা প্রাকটিস হতো।আর এখন হয় কি-বোর্ডের টাইপিং স্পিড। কারণ এটা তো আর কাগজ কলমের যুগ না।এটা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক,ইনস্ট্রা
গ্রাম এর যুগ।
এমনকি আগে যেখানে শিশুদের সেখানো হতো A ফর এ্যপল,B ফর বল।সেখানে এখন শেখানো হয় A ফর এনড্রোয়েড,B ফর ব্লুটুথ।
বাংলায় যেখানে "অ" তে অজগরটি আসতে তেড়ে সেখানে "অ" তে অন-লাইনে আসছি তেড়ে। অবশ্য আমার কাছে পরের টার গ্রহনযোগ্যতাই বেশি মনে হয়। কারণ একটি শিশু যখন কিছুই বোঝে না, ঠিক তখন থেকে তাকে ভয় দেখানো হয়।যেমন অজগর টি আসছে তেড়ে। ভয় দিয়ে আর যা কিছু করানো যাক না কেন সঠিকভাবে কোনো কিছু শেখানো যায় না। তাহলে প্রশ্ন আসে আমরা কি সঠিকভাবে বাংলা শিখি নি।। হ্যা, তার যথাযথ উত্তর আমার কাছে আছে। এর জন্যই তো "বাংলিশ " নামে নতুন এক ধরনের ভাষা আবিষ্কার করেছি। অবশ্য আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই। এখন কি-বোর্ডে প্রভাত অথবা ইউনিজয় ব্যবহারের পরিবর্তে অভ্র কিবোর্ডকেই কমফরটেবল করে নিয়েছি।
এই যখন বর্তমান অবস্থা তখন চলুন একবার মঙ্গলগ্রহ থেকে ঘুরে আসি।দেখে আসি সেখানে কোন যুগের প্রচলন শুরু হতে যাচ্ছে!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
Moksedul Lim
আমি যখন গল্পটা পোস্ট করেছি তখন অনেকেই অনেক কিছু করছে। কেউ মোবাইল,ল্যাপটপ,কম্পিউটারের সামনে বসে গেম খেলছে,কেউ খবরের কাগজ পড়ছে,কেউ বার্সেলোনা vs রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখছে,কেউবা আবার ইউটিউবিং করছে।অনেকে চ্যাটিং নিয়ে ব্যস্ত, এছাড়াও আরও কত কি করছে।অনেকে আবার এ সব কিছুই করছে। এর ভিতর থেকে সামান্য কিছু প্রাণি আমার লেখাটা পড়ছে।অনেকে হয়ত পড়ছে না,পড়লেও ধৈর্য্যের পরিচয় দিচ্ছে না।এর মধ্যে অনেকেই না পড়েই লাইক দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিবে। কারণ তাদের রয়েছে অনেক ব্যস্ততা,তাদের কাছে লাইকের অর্থ হচ্ছে নিজের এক্সজিসটেন্স কে প্রকাশ করা। তারা যে সেই সময় অনলাইন এ ছিলো এটা জানানো। তারা ব্যস্ত কারণ তখন তার কাছে sms সাহেব এসে বসে আছে।তাকে কি বসে রাখা যায় যদিও মেসেঞ্জার এ head chat অন আছে। একটু ভেবে দেখুন কিছুদিন আগে কি এরকম ছিলো?তখন কি ব্যস্ততা ছিলো না।অবশ্যই ছিলো কিন্তু ধরনটা ভিন্ন ছিলো। এই ধরুন খবর পড়তে হতো খবরের কাগজে,যদিও এখনো এই খবরের কাগজেই পড়া হয়৷ কিন্তু সূদুর ভবিষ্যতে এমনটা দেখা যাবে কি না, তার একটা সম্ভাবনা কিন্তু রয়েই যায়। তারপর ধরুন ওপেরা মিনি দিয়ে ফেসবুক চালানো। যেখানে ছিলো না কোনো head chat,ছিলো না একসাথে সব কিছু ব্যবহার করার সুবর্ন সুযোগ। এখন আমরা sms এর যুগকে অতিক্রম করে পেছনে গেলে দেখতে পারব কলম খাতার যুগ।অর্থাৎ এই যুগে কেউ যদি কারও শুভাকাঙ্খী র সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে চাইতো তাহলে ব্যবহার করা লাগত কলম-খাতা। এর মানে এই নয় যে সেই সময় কেউ কথা বলত না। আসলে সেই সময়টা ছিলো conservative society এর শেষের পর্যায়। যদিও বিশ্বের অনেক দেশে এখনো এমনটা রয়েছে। যেমন : টেক্সাস। যতই দিন যাচ্ছে আমরা ঐ সোসাইটি থেকে বেরিয়ে আসছি।যেমমটা ডিম ফুটে মুরগির বাচ্চা বের হয় এবং বের হয়ে এর কুফল গুলো পেতে শুরু করেছি। যেমনঃধর্ষন, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন ইত্যাদি। ভবিষ্যৎ এ এর পরিনতি যে কি ভয়াবহ হবে তা ভাবা যায় না। কারণ আমারা যে সেই সোসাইটি থেকে বের হয়ে এসেছি। আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটা ক্রমবর্ধমান একটা প্রোসেস।এটা দিন দিন আউট অফ রেঞ্জ এ যেমন চলে যাচ্ছে ঠিক তেমনি আউট অফ কন্ট্রোলেও যাচ্ছে। কোথায় যেন ছিলাম। ও মনে পড়েছে, কাগজ-কলমের যুগ।কি কিছু মনে আছে??থাকলে ভালো না থাকলে.......৷ সেই যুগে কাগজের চিঠির মাধ্যমে মনের মানুষের কাছে মনের ভাব প্রকাশ করার একটা সুযোগ ছিলো।জানিনা এর মাধ্যমেই হয়তো তাদের হাতের লেখা প্রাকটিস হতো।আর এখন হয় কি-বোর্ডের টাইপিং স্পিড। কারণ এটা তো আর কাগজ কলমের যুগ না।এটা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক,ইনস্ট্রা
গ্রাম এর যুগ।
এমনকি আগে যেখানে শিশুদের সেখানো হতো A ফর এ্যপল,B ফর বল।সেখানে এখন শেখানো হয় A ফর এনড্রোয়েড,B ফর ব্লুটুথ।
বাংলায় যেখানে "অ" তে অজগরটি আসতে তেড়ে সেখানে "অ" তে অন-লাইনে আসছি তেড়ে। অবশ্য আমার কাছে পরের টার গ্রহনযোগ্যতাই বেশি মনে হয়। কারণ একটি শিশু যখন কিছুই বোঝে না, ঠিক তখন থেকে তাকে ভয় দেখানো হয়।যেমন অজগর টি আসছে তেড়ে। ভয় দিয়ে আর যা কিছু করানো যাক না কেন সঠিকভাবে কোনো কিছু শেখানো যায় না। তাহলে প্রশ্ন আসে আমরা কি সঠিকভাবে বাংলা শিখি নি।। হ্যা, তার যথাযথ উত্তর আমার কাছে আছে। এর জন্যই তো "বাংলিশ " নামে নতুন এক ধরনের ভাষা আবিষ্কার করেছি। অবশ্য আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই। এখন কি-বোর্ডে প্রভাত অথবা ইউনিজয় ব্যবহারের পরিবর্তে অভ্র কিবোর্ডকেই কমফরটেবল করে নিয়েছি।
এই যখন বর্তমান অবস্থা তখন চলুন একবার মঙ্গলগ্রহ থেকে ঘুরে আসি।দেখে আসি সেখানে কোন যুগের প্রচলন শুরু হতে যাচ্ছে!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.