নারী ধর্ষণের প্রতিকার চাই,এবং ধর্ষণ শাস্তি করা হোক মৃত্যুদণ্ড

সমতল কিংবা পাহাড়, দেশের কোন অংশে বা প্রান্তে নারীরা নিরাপদ নয়।নরপিশাচ পশুত্ববাদী নরপশুদের দ্ধারা কোননা কোনভাবে প্রতিনিয়ত শ্লীলতাহানির শিকার সহ ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর নৃসংশভাবে হত্যার শিকার হচ্ছে নারীরা,তুলনামূলকভাবে সমতলের চেয়ে পাহাড়ে শ্লীলতাহানি,ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর নৃসংশভাবে হত্যার পরিসংখ্যান বেশি।এমনকি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া নিষ্পাপ কোমল পাহাড়ী শিশুরাও নিষ্ঠার পাইনি ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার দানবীয় থাবা থেকে।
আমরা সমতলের সোহাগী জাহান তনুর কথা শুনেছি,শুনেছি খাদিজা বেগম সহ চলন্ত বাসে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর নৃসংশভাবে হত্যার শিকার হওয়া রূপাদের কথা।এরকম নাম না জানা আরো অনেক নারী ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা অতীতের খাটায় লিপিবদ্ধ অহরহ।দেশের অলিতে গলিতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ধর্ষণ নামক দানবীয় ঘটনা।ঐসব দানবদের হচ্ছেনা কোন সু-বিচার ফলে দানবরা পার পেয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন,উৎসাহিত হচ্ছে ধর্ষণ নামের দানবীয় খেলায়।হচ্ছেনা কোন প্রতিকার ব্যাবস্থা প্রনয়ন।
পাহাড়েও কিন্তু সমতলের ন্যায় ব্যাতিক্রম কিছু নয়।সমতলে যেমনি সমতলী নারীরা নরপিশাচ, নরপশুদের হাতে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হচ্ছে তার অধিক হচ্ছে পাহাড়ের নারীরাও।প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে পাহাড়ের জুম্ম নারীরা নিরাপত্তাহীনতার একটা গোলকবৃত্তে বাধা থাকে,যতেষ্ট সংকিতও বটে।সংকিত হবেনা কেন(?) হ্যাঁ অবশ্যই হওয়ারই কথা(!) কারণ পাহাড়ের জুম্ম নারীরা সমতলের চাইতে অধিকহারে পাহাড়ে বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী সেটেলার বাঙালী কতৃক ধর্ষণ, ধর্ষণের পর নৃসংশ হত্যার শিকার হচ্ছে,সম্পূর্ণ বিচার বহিঃর্ভূত এ্যাঙ্গেল থেকে।

সুতরাং পাহাড় সমতল সহ দেশের সর্ব কোন কোনান্তে ধর্ষণের প্রতিকার আবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে।একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য বিচার বহিঃর্ভূত নারী ধর্ষণ,ধর্ষণের পর হত্যা খুবই লজ্জাজনক।স্বাধীন সার্বভৌম দেশে এমন দানবীয় ঘটনা ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লক্ষ বাপ-ভাইয়ের তাঁজা রক্ত ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত বিসর্জনের বীরত্বকে অসম্মান করে সহসায়।অতি শীঘ্রই ধর্ষণ আইন প্রনয়ন করে ধর্ষণের প্রতিকার করা হোক এবং আইন অনুযায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হোক।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.