আমাদের শিক্ষকরা ভাবেন ছাত্ররা তাকে যত বেশি ভয় পায়, শিক্ষক হিসেবে তিনি তত সফল!
"মনে করিলাম উপদেশ এবং উৎসাহ দিয়া এক-একটি ছাত্রকে ভাবী ভারতের এক-একটি সেনাপতি করিয়া তুলিব। কাজ আরম্ভ করিয়া দিলাম। দেখিলাম, ভাবী ভারতবর্ষ অপেক্ষা আসন্ন এগ্জামিনের তাড়া ঢের বেশি। ছাত্রদিগকে গ্রামার অ্যাল্জেব্রার বহির্ভূত কোনো কথা বলিলে হেড্মাস্টার রাগ করে। মাস-দুয়েকের মধ্যে আমারও উৎসাহ নিস্তেজ হইয়া আসিল।"
উপরের অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'একরাত্রি' গল্প থেকে নেয়া। গল্প কথক এখানে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির বাইরে ইতিহাস কিংবা আদর্শের পাঠ দিতে গিয়ে স্কুল প্রধান কর্তৃক প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছে। অর্থাৎ প্রধান শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীদের মানবিক মুল্যবোধ গঠনের পাঠ অপেক্ষা সিলেবাসের পড়ার গুরুত্ব বেশি। প্রকৃতপক্ষে 'একরাত্রি' গল্পের সেই হেডমাস্টার বর্তমান সময়ের বেশির ভাগ শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি।
শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তবে শিক্ষক সেই মেরুদন্ড গঠনের কারিগর, কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষকই শিক্ষা বলতে এলজেব্রার সুত্র মুখস্ত করা আর ইংরেজী ভাষার গ্রামার ঠোটস্ত করতে পারাকেই বোঝে। শিক্ষার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে এলজেব্রা কিংবা গ্রামারের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করছি না, কিন্তু এই গ্রামার, এলজেব্রার বাইরেও শিক্ষার বড় একটি উদ্দেশ্য আছে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকরা সেটা জানে না। শিক্ষকদের এই মানসিক দৈন্যতা গোটা প্রজন্মকে ভুল পথে চালিত করছে। এই ভয়াবহতা আমরা এখনো আঁচ করতে পারিনি। একজন শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব যে কেবল পাঠ্যসূচি মুখস্ত করানো নয়, তার মধ্যে মানবিক মুল্যবোধ জাগিয়ে তোলা এ সত্য অনুধাবন করতে পারার মতো শিক্ষক আজকের যুগে খুব বেশি নেই। বিষয়টির সাথে আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। তবে আমার জীবনের অধিকাংশ শিক্ষককেই আমি এরকম দেখেছি। কথাটি অপ্রিয় হতে পারে, কিন্তু অসত্য নয়।
শিক্ষকদের এই পাঠ্যসূচি ভিত্তিক শিক্ষার কারণে আমদের দেখতে হয় গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে পাস করেও একটা ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে কতটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে জানে না! বিজয় দিবস কোন মাসের কত তারিখে জানে না! লজ্জায় মরে যায় যখন শুনি একটা গোন্ডেল পাওয়া ছাত্র বলে একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের স্বাধীনতা দিবস! এ লজ্জার দায় শিক্ষকরা কিছুতেই এড়াতে পারেন না। ভয়বহতা এখানে শেষ নয়। ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তর একটা ছাত্র যখন জঙ্গীবাদের সাথে জড়িয়ে প্রশাসনের স্ট্রিম অপারেশনে প্রাণ হারায় তখন আমরা কপাল চাপড়ে সেই ছেলেটির জন্য আপসোস করি, ভৎসনা করি, কিন্তু আমরা ভুলে যায় এর গোড়াতেও আছে আমাদের ভুল শিক্ষার ভুমিকা। শিক্ষক যদি তার মধ্যে মানবিক মুল্যবোধ, নৈতিকতাবোধ, অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা, জাতীয় চেতনা জাগিয়ে তুলতে পারতেন কিংবা সর্বপোরি সঠিক ধর্মীয় মুল্যবোধও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুনে দিতে পারতেন, তাহলে জাতির এই ভাবী কর্ণধারেরা কান্ডারী না হয়ে জাতি ধ্বংসের হাতিয়ার হয়ে উঠতো না।
ভয় আর বন্ধুত্ব এক সাথে তৈরী হয় না। এটা অস্বীকার করবার জো নেই যে, শিক্ষক আর শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ না হলে সেখানে শিক্ষকের শিক্ষাদান অসাধ্য হয়ে উঠে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভীতি প্রদর্শনে প্রবল উৎসাহী। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, একজন শিক্ষক ঠিক কতটা শিক্ষক হয়ে উঠেছেন সেটা নির্ভর করে শিক্ষার্থীরা তাকে কতটা ভয় পায় সেটার উপর। আমাদের শিক্ষকরা ভাবেন ছাত্ররা তাকে যত বেশি ভয় পায়, শিক্ষক হিসেবে তিনি তত সফল! শিক্ষকদের এই মানসিকতার কারণেই ভিকারুননিসায় ছাত্রীর আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে।
একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করেছে সেটাতে শৈতল্য প্রদর্শন করতে বলছি না। শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার পরও ক্ষমা করেননি, সেটাতেও দোষ ধরছি না। কিন্তু বাবা-মাকে ডেকে এনে শিক্ষার্থীর সামনে অপমান করা কোন সভ্যতার মধ্যে পড়ে? প্রশ্নটি রয়ে গেলো। শিক্ষক তিনি, বিচারক তো নন! তাহলে এই ধৃষ্টতা কি শিক্ষকের আদর্শ পরিপন্থী নয়? এই অসভ্যতা কি ক্ষমার অযোগ্য নয়?
কোন অবস্থাতেই আত্মহনন সমর্থনযোগ্য নয়, কিন্তু আত্মহননের মধ্য দিয়ে অরিত্রি প্রমাণ করে গেছে মানবিক মুল্যবোধের জায়গা থেকে অরিত্রির শিক্ষিকাদের চেয়ে অরিত্রি বহুগুণ এগিয়ে। শিক্ষকরা যেখানে শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে সম্মানের বদলে ডেকে এনে অপমান করেন, অরিত্রি সেখানে নিজের জন্য বাবা-মাকে অপমান হতে দেখে মেনে নিতে পারেনি। নিজেকে সর্বোচ্চ পরিনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। অরিত্রি নিজ থেকে আত্মহত্যা করেনি। তাকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে। এটা খুনের নামান্তর।
একটা জনপ্রিয় ইংরেজি প্রবাদ আছে-"one child, one teacher, one book and one pen can change the world" প্রবাদানুসারে পৃথিবীকে বদলে দেয়ার উপকরণগুলোর একটি হচ্ছে 'শিক্ষক'! কিন্তু এর বিপরীত দিকটাও আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। যাদের হাতে পৃথিবীকে বদলে দেয়ার সামর্থ আছে, তাদের উদাসীনতা কিংবা অদক্ষতায় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। শিক্ষকদের নিয়ে বহুল প্রচলিত একটি কথা আছে "a good teacher is like a candle – it consumes itself to light the way for others." কিন্তু আমাদের এলজেব্রার সুত্র আর ইংরেজী গ্রামার ভিত্তিক শিক্ষকদের জন্য বলতে হয়- the lamps that are not lighted by itself, can never light up the other lamps. যে প্রদীপ নিজে প্রজ্জ্বলিত নয়, সে প্রদীপ অন্য প্রদীপে আলো জ্বালাতে পারে না।
আমাদের পাঠ্যবই কেন্দ্রিক প্রজন্ম তৈরী হচ্ছে পাঠ্যবই কেন্দ্রিক শিক্ষকদের কারণে। শিক্ষার্থী তো বটেই, বেশিরভাগ শিক্ষকেরই জ্ঞানের গন্ডি পাঠ্য বই অতিক্রম করতে পারেনি। এরা বীজগণিতের সুত্র মুখস্ত করা শিক্ষক। এর বেশি দেয়ার ক্ষমতা এদের নেই। বাংলাদেশের বিজয় দিবস বলতে না পারা শিক্ষার্থী যেমন আছে, তেমনি এমন অসংখ্য শিক্ষক আছে যারা বলতে পারবে না সক্রেটিস কি জন্য বিখ্যাত!
(পুনশ্চঃ ব্যতিক্রমী শিক্ষকরা ক্ষমার দৃষ্টি প্রদর্শন করবেন।)
রহমান বর্ণিল।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
উপরের অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'একরাত্রি' গল্প থেকে নেয়া। গল্প কথক এখানে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির বাইরে ইতিহাস কিংবা আদর্শের পাঠ দিতে গিয়ে স্কুল প্রধান কর্তৃক প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছে। অর্থাৎ প্রধান শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীদের মানবিক মুল্যবোধ গঠনের পাঠ অপেক্ষা সিলেবাসের পড়ার গুরুত্ব বেশি। প্রকৃতপক্ষে 'একরাত্রি' গল্পের সেই হেডমাস্টার বর্তমান সময়ের বেশির ভাগ শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি।
শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তবে শিক্ষক সেই মেরুদন্ড গঠনের কারিগর, কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষকই শিক্ষা বলতে এলজেব্রার সুত্র মুখস্ত করা আর ইংরেজী ভাষার গ্রামার ঠোটস্ত করতে পারাকেই বোঝে। শিক্ষার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে এলজেব্রা কিংবা গ্রামারের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করছি না, কিন্তু এই গ্রামার, এলজেব্রার বাইরেও শিক্ষার বড় একটি উদ্দেশ্য আছে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকরা সেটা জানে না। শিক্ষকদের এই মানসিক দৈন্যতা গোটা প্রজন্মকে ভুল পথে চালিত করছে। এই ভয়াবহতা আমরা এখনো আঁচ করতে পারিনি। একজন শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব যে কেবল পাঠ্যসূচি মুখস্ত করানো নয়, তার মধ্যে মানবিক মুল্যবোধ জাগিয়ে তোলা এ সত্য অনুধাবন করতে পারার মতো শিক্ষক আজকের যুগে খুব বেশি নেই। বিষয়টির সাথে আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। তবে আমার জীবনের অধিকাংশ শিক্ষককেই আমি এরকম দেখেছি। কথাটি অপ্রিয় হতে পারে, কিন্তু অসত্য নয়।
শিক্ষকদের এই পাঠ্যসূচি ভিত্তিক শিক্ষার কারণে আমদের দেখতে হয় গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে পাস করেও একটা ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে কতটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে জানে না! বিজয় দিবস কোন মাসের কত তারিখে জানে না! লজ্জায় মরে যায় যখন শুনি একটা গোন্ডেল পাওয়া ছাত্র বলে একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের স্বাধীনতা দিবস! এ লজ্জার দায় শিক্ষকরা কিছুতেই এড়াতে পারেন না। ভয়বহতা এখানে শেষ নয়। ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তর একটা ছাত্র যখন জঙ্গীবাদের সাথে জড়িয়ে প্রশাসনের স্ট্রিম অপারেশনে প্রাণ হারায় তখন আমরা কপাল চাপড়ে সেই ছেলেটির জন্য আপসোস করি, ভৎসনা করি, কিন্তু আমরা ভুলে যায় এর গোড়াতেও আছে আমাদের ভুল শিক্ষার ভুমিকা। শিক্ষক যদি তার মধ্যে মানবিক মুল্যবোধ, নৈতিকতাবোধ, অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা, জাতীয় চেতনা জাগিয়ে তুলতে পারতেন কিংবা সর্বপোরি সঠিক ধর্মীয় মুল্যবোধও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুনে দিতে পারতেন, তাহলে জাতির এই ভাবী কর্ণধারেরা কান্ডারী না হয়ে জাতি ধ্বংসের হাতিয়ার হয়ে উঠতো না।
ভয় আর বন্ধুত্ব এক সাথে তৈরী হয় না। এটা অস্বীকার করবার জো নেই যে, শিক্ষক আর শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ না হলে সেখানে শিক্ষকের শিক্ষাদান অসাধ্য হয়ে উঠে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভীতি প্রদর্শনে প্রবল উৎসাহী। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, একজন শিক্ষক ঠিক কতটা শিক্ষক হয়ে উঠেছেন সেটা নির্ভর করে শিক্ষার্থীরা তাকে কতটা ভয় পায় সেটার উপর। আমাদের শিক্ষকরা ভাবেন ছাত্ররা তাকে যত বেশি ভয় পায়, শিক্ষক হিসেবে তিনি তত সফল! শিক্ষকদের এই মানসিকতার কারণেই ভিকারুননিসায় ছাত্রীর আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে।
একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করেছে সেটাতে শৈতল্য প্রদর্শন করতে বলছি না। শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার পরও ক্ষমা করেননি, সেটাতেও দোষ ধরছি না। কিন্তু বাবা-মাকে ডেকে এনে শিক্ষার্থীর সামনে অপমান করা কোন সভ্যতার মধ্যে পড়ে? প্রশ্নটি রয়ে গেলো। শিক্ষক তিনি, বিচারক তো নন! তাহলে এই ধৃষ্টতা কি শিক্ষকের আদর্শ পরিপন্থী নয়? এই অসভ্যতা কি ক্ষমার অযোগ্য নয়?
কোন অবস্থাতেই আত্মহনন সমর্থনযোগ্য নয়, কিন্তু আত্মহননের মধ্য দিয়ে অরিত্রি প্রমাণ করে গেছে মানবিক মুল্যবোধের জায়গা থেকে অরিত্রির শিক্ষিকাদের চেয়ে অরিত্রি বহুগুণ এগিয়ে। শিক্ষকরা যেখানে শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে সম্মানের বদলে ডেকে এনে অপমান করেন, অরিত্রি সেখানে নিজের জন্য বাবা-মাকে অপমান হতে দেখে মেনে নিতে পারেনি। নিজেকে সর্বোচ্চ পরিনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। অরিত্রি নিজ থেকে আত্মহত্যা করেনি। তাকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে। এটা খুনের নামান্তর।
একটা জনপ্রিয় ইংরেজি প্রবাদ আছে-"one child, one teacher, one book and one pen can change the world" প্রবাদানুসারে পৃথিবীকে বদলে দেয়ার উপকরণগুলোর একটি হচ্ছে 'শিক্ষক'! কিন্তু এর বিপরীত দিকটাও আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। যাদের হাতে পৃথিবীকে বদলে দেয়ার সামর্থ আছে, তাদের উদাসীনতা কিংবা অদক্ষতায় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। শিক্ষকদের নিয়ে বহুল প্রচলিত একটি কথা আছে "a good teacher is like a candle – it consumes itself to light the way for others." কিন্তু আমাদের এলজেব্রার সুত্র আর ইংরেজী গ্রামার ভিত্তিক শিক্ষকদের জন্য বলতে হয়- the lamps that are not lighted by itself, can never light up the other lamps. যে প্রদীপ নিজে প্রজ্জ্বলিত নয়, সে প্রদীপ অন্য প্রদীপে আলো জ্বালাতে পারে না।
আমাদের পাঠ্যবই কেন্দ্রিক প্রজন্ম তৈরী হচ্ছে পাঠ্যবই কেন্দ্রিক শিক্ষকদের কারণে। শিক্ষার্থী তো বটেই, বেশিরভাগ শিক্ষকেরই জ্ঞানের গন্ডি পাঠ্য বই অতিক্রম করতে পারেনি। এরা বীজগণিতের সুত্র মুখস্ত করা শিক্ষক। এর বেশি দেয়ার ক্ষমতা এদের নেই। বাংলাদেশের বিজয় দিবস বলতে না পারা শিক্ষার্থী যেমন আছে, তেমনি এমন অসংখ্য শিক্ষক আছে যারা বলতে পারবে না সক্রেটিস কি জন্য বিখ্যাত!
(পুনশ্চঃ ব্যতিক্রমী শিক্ষকরা ক্ষমার দৃষ্টি প্রদর্শন করবেন।)
রহমান বর্ণিল।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১ টি