খাসোগজি টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার দিনপঞ্জি
২০১৮ সালের সেরা আলোচিত ঘটনার মধ্যে জামাল খাসোগজি হত্যার ঘটনা অন্যতম হয়ে থাকবে। এই ঘটনায় তুরস্ক, সৌদি আর যুক্তরাষ্ট্র এই তিন রাষ্ট্র জড়িয়ে পড়েছিলো। জামাল খাসোগজি একজন সৌদি সাংবাদিক। তিনি সৌদি নীতি ও রাজবংশের সমালোচক ছিলেন। তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে সৌদি থেকে তুরস্কে এসে বসবাস শুরু করেন। আমরা সেই ঘটনার দিনপঞ্জি ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করবো।
২/১০- বিয়ের কাগজপত্রের জন্য ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে প্রবেশ সাংবাদিক জামাল খাসোগজির। একই দিন দুটি ব্যক্তিগত জেট বিমানে খুনিরা সৌদি থেকে ইস্তাম্বুলে আসে। ২ ও ৩ অক্টোবর তারা আবার রিয়াদে ফিরে গেছে কয়েক ধাপে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, কিলিং স্কোয়াডের ওই ১৫ জন সৌদি আরবের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সদস্য। অনেকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একান্ত আস্থাভাজন লোক।
৩/১০- ওয়াশিংটন পোস্টের সতর্কতা, কনস্যুলেটে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ খাসোগজি। তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের বিশ্বাস তিনি এখনও কনস্যুলেটের ভিতরেই আছেন।
৪/১০- সৌদি আরব জানায়, কনস্যুলেট ত্যাগ করার পর গুম হয়েছেন তিনি। তুরস্কের পররাষ্ট্র দফতরে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে তলব।
৫/১০- সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, খাসোগজি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেননি। ভবন তল্লাশি করতে তুর্কি কর্মকর্তাদের আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।
৬/১০- তুরস্কের পুলিশ জোর দিয়ে জানায়, কনস্যুলেটের ভেতরেই খাসোগজিকে হত্যা করা হয়েছে।
৭/১০- সৌদি কনস্যুলেট ভবন ও কনস্যুলেট জেনারেলের বাসভবন তল্লাশির অনুমতি চায় এবং খাসোগজি কনস্যুলেট থেকে বের হওয়ার প্রমাণ চায় তুরস্ক।
৯/১০- এরদোয়ান জানান তুরস্কের কাছে খাসোগজি হত্যার প্রমাণ (অডিও ভিডিও) আছে। তুরস্ক ১৫ খুনীর নাম প্রকাশ করেছে।
১১/১০- সৌদি আরব জানায়, ২ অক্টোবর কনস্যুলেটের সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো ছিল।
১২/১০- খাসোগজির নিখোঁজ হওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য তুরস্কে পৌঁছান সৌদি প্রতিনিধিরা।
১৩/১০- সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খাসোগজিকে হত্যা করার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ডাহা মিথ্যা। ২ অক্টোবর আতাতুর্ক বিমানবন্দরে নামে একটি জেট। ধারণা করা হয়, ওই জেটে চড়েই কিলিং স্কোয়াডের ১৫ সদস্য তুরস্কে আসেন।
১৫/১০- তুরস্কের ফরেনসিক কর্মকর্তাদের কনস্যুলেটে প্রবেশ। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে সৌদি আরব পাঠান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৬/১০- খাসোগজির গুম বিষয়ে আলোচনার জন্য সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর।
১৭/১০- তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পম্পেও। আমেরিকাকে ১০ কোটি ডলার সহায়তা দেয় সৌদি। আইএস বিরোধী লড়াইয়ের জন্য এই টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি অনেক আগে দিয়েছিলো সৌদি।
১৮/১০- ব্রিটেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের জ্যৈষ্ঠ্য মন্ত্রীরা ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভ মুচিন সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য বিনিয়োগ সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা দেন। খাসোগজির এক হত্যাকারী গাড়িচাপায় নিহত।
১৯/১০- খাসোগজি হত্যাকাণ্ড স্বীকার করে নিয়েছে সৌদি। মোহাম্মদ বিন সালমান তাকে হত্যার দায় নিজের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ জেনারেল আহমেদ আল আসিরির ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন।
২০/১০- খাসোগজির মৃতদেহ কোথায় এই ব্যাপারে এখনো কোন কথা বলছে না সৌদি। কোণঠাসা হয়ে আছে সৌদি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.