আরিফুল মরলো কেন?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা আরিফুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বুড়িগঙ্গা থেকে। কেন তাকে মরতে হলো? এটা কি ছিল? কোন দুর্ঘটনা? নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড?
আরিফুল নৌকা ভ্রমনে বের হয়নি। সে বের হয়েছে টিউশনি করতে। কেন সে হারিয়ে যাবে? কেন তার লাশ উদ্ধার হবে বুড়িগঙ্গা থেকে? এদেশে কোন কিছুর দাবী করাই কি পাপ? এজন্য যে কাউকে মরতে হবে?
এত যে প্রশ্ন করছি এর উত্তর কে দিবে? কেউ কি আছে দায়িত্ববান যে নাগরিকদের প্রশ্নের জবাব দিবে?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেধাবী ছাত্র নিহত আরিফুল ইসলামের (২২) গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মারুফদহে চলছে শোকের মাতম। আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় আরিফুলের মরদেহ মারুফদহ মাঝপাড়া করবস্থানে দাফন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার শ্যামপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নৌপুলিশ আরিফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে।
আরিফুলের মৃত্যুর কারণ পানিতে ডুবে, না পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—এ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে। তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরাও পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারছেন না। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে গতকাল রাতে মারুফদহ গ্রামে লাশ পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। আরিফুল ওই গ্রামের মাঝপাড়ার মো. মঈনদ্দীনের ছোট ছেলে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ইস্পাহানি এলাকার মেস থেকে বের হন তিনি। ঢাকার সূত্রাপুর থানার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় টিউশনির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
একটা রাষ্ট্র কতটা পঁচে গেলে এমন হয়। অন্যদিকে শাজাহান খানের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া ড্রাইভিং একের পর এক লাশ ফেলছে ড্রাইভাররা। স্কুল বাচ্চাদের বিক্ষোভে পুলিশ পিটিয়ে রক্তাক্ত করছে। গত দশ বছরে প্রত্যেক শ্রেণিগোষ্ঠীর ও পেশাজীবী মানুষকে রাস্তায় নামতে হয়েছে, মার খেতে হয়েছে। শিক্ষকরা পিপার স্প্রের সম্মুখিন হয়েছে।
আমরা মুক্তি চাই, আমরা বাঁচতে চাই। আরিফুলের খুনীদের বিচার চাই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.