তোমাকে থুতু দিতে গিয়ে গলা শুকিয়ে গেলো!
হে ম হা ন রা ষ্ট্র:
শুনেছি মহল্লার মোড়ে চা দোকানীকেও চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হয় তাহলে মাদকের কোটি টাকার ব্যবসার চাঁদা তোলে কোন ফিরিশতারা। শ্রেনী,পেশা নির্বিশেষে সকলকে বিচারের অাওতায় অানা হোক। বিনা বিচারে হত্যাকান্ড কখনোও সমর্থনযোগ্য নয়।
মানুষ রাষ্ট্রকে কর দিচ্ছে সেই টাকায় চলছে রাষ্ট্র,বিচার বিভাগ চলছে রাষ্ট্রের টাকায়। এই টাকা জোগান দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিচার বিভাগ অাছে বিচার করার জন্য। এহেন একটি বিচারিক রাষ্ট্রীয় সংস্থা থাকার পরেও কেনো বিনা বিচারে মানুষকে ক্যাপিটাল পানিসমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশ্নটি উদয় হওয়াটা স্বাভাবিক।
সম্প্রতি একরামুল হত্যাকান্ডের অডিও ক্লিপ থেকে যা বোঝা যায় তা হলো বন্দুক যুদ্ধের নামে যা চলছে তা ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ড। একরামুলের মেয়ে ও স্ত্রীর বিচার পাওয়ার অধিকার খর্ব করা হয়েছে।
একজন বাবা মেয়েকে কথা দিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারবেনা, অাজীবন মেয়েটি বাবার জন্য অপেক্ষা করবে কিন্তু বাবা অাসবেনা এমন তো হবার কথা ছিলনা। গুলির শব্দ, নিজ পিতার মৃত্যুযন্ত্রণা নিজের কানে শুনতে হবে তা কি চিন্তা করেছিলো একরামুলের ছোট্ট মেয়েটি।অভিশাপে অভিশাপে ভারী হবে রাষ্ট্রের পাপ।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্রীরা রীতিমত সাধারণ মানুষকে মানুষ মনে করছেননা। একজন অর্থমন্ত্রী, তার কাছে চার হাজার কোটি টাকা কিছুইনা। একজন খাদ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছিলো "অাপনারা কম করে খান" অার অারেক জন ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এরকম অভিযানে দু'একটা ভুল হতেই পারে। বাহ কি চমৎকার, মানুষের জীবন কি স্কুলের ক্লাস টেস্টের অংক খাতা যে, দু একটা ভুল হলে ব্যাপারনা! নাকি ক্ষমতার কালো চশমার কাঁচ দিয়ে তিনি এর বেশী দেখতে পাননা।
রাষ্ট্রকে পরিণত করা হচ্ছে বৃত্তবান ও ক্ষমতাধর দের অারাম কেদারায়। কি অাজব রাজার দেশ বাবারে। মন্ত্রী এম পি দের পঁচাত্তর হাজার টাকার মোবাইল লাগবে, সচিবদের বত্রিশ হাজার টাকা বেতনের বুয়া লাগবে। এ কেমন বুয়া বি সি এস কেডারের চেয়েও বেতন বেশী নাকি বুয়ার অাড়ালে অন্যকিছু। লক্ষ বেকারের কথা এখন বলবোনা।
এবার সৌদি থেকে ফেরত অাসা নারী শ্রমিকদের নিয়ে "নমিতা হালদার" নামক একজন সচিবের মন্তব্য অালোচিত হয়েছে। তিনি বলেছেন " সৌদি ফেরত এসব নারীরা মিথ্যা গল্প বানায়। অাগুনের ছ্যাকায় যাদের শরীর ঝলছে দেওয়া হয়েছে তাদের কথায় যে অামলাদের বিশ্বাস নেই সেই অামলারা কি মানুষ হতে পারে! অামার সন্দেহ উনি মানুষ নাকি প্রতিটি বাংলা সিনেমার কুটনি বুড়ি।
"ওপেন সিক্রেট" বলে একটি কথা অাছে। যে সত্যটা বললে জীবন বিপন্ন হওয়ার অাশঙ্কা অাছে সেই সত্যই ওপেন সিক্রেট। ঘুষ এখন "ওপেন সিক্রেট"। টাকা ছাড়া চাকরি নাই। চাকরি পেয়েই শুরু করছে ধান্দা যা টাকা দিয়েছে তাতো তুলতে হবে যে। এখন প্রশ্ন হলো নিম্নবিত্ত মানুষের টাকা নাই তাই কি তারা চাকরি পাবেনা। তবে কি মেধার জায়গাটা টাকা দখল করে নিয়েছে?
বর্তমান অবস্থা এমন হয়েছে যে তরুণ প্রজন্মকে হতাশাগ্রস্ত হতে হচ্ছে। এই এবড়ো থেবড়ো অবস্থায় মধ্য যারা অর্থ- টাকা কড়ির মানুষ হচ্ছে, যোগত্যা না থেকেও চাকরি পাচ্ছে তাদের হাতে চলে যাচ্ছে রাষ্ট্র ও সমাজকে পেটানোর চাবুক। তবে কি এই ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগীরা সমাজ পরিবর্তন করবেন নাকি পরিবর্তনকামী মানুষকে চেতনা অথবা অনুভূতির জিগির তুলে চাবুক মেরে সমূলে উৎপাটন করবে? প্রশ্ন রইলো উত্তর চাই হে মহান রাষ্ট্র।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
শুনেছি মহল্লার মোড়ে চা দোকানীকেও চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হয় তাহলে মাদকের কোটি টাকার ব্যবসার চাঁদা তোলে কোন ফিরিশতারা। শ্রেনী,পেশা নির্বিশেষে সকলকে বিচারের অাওতায় অানা হোক। বিনা বিচারে হত্যাকান্ড কখনোও সমর্থনযোগ্য নয়।
মানুষ রাষ্ট্রকে কর দিচ্ছে সেই টাকায় চলছে রাষ্ট্র,বিচার বিভাগ চলছে রাষ্ট্রের টাকায়। এই টাকা জোগান দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিচার বিভাগ অাছে বিচার করার জন্য। এহেন একটি বিচারিক রাষ্ট্রীয় সংস্থা থাকার পরেও কেনো বিনা বিচারে মানুষকে ক্যাপিটাল পানিসমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশ্নটি উদয় হওয়াটা স্বাভাবিক।
সম্প্রতি একরামুল হত্যাকান্ডের অডিও ক্লিপ থেকে যা বোঝা যায় তা হলো বন্দুক যুদ্ধের নামে যা চলছে তা ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ড। একরামুলের মেয়ে ও স্ত্রীর বিচার পাওয়ার অধিকার খর্ব করা হয়েছে।
একজন বাবা মেয়েকে কথা দিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারবেনা, অাজীবন মেয়েটি বাবার জন্য অপেক্ষা করবে কিন্তু বাবা অাসবেনা এমন তো হবার কথা ছিলনা। গুলির শব্দ, নিজ পিতার মৃত্যুযন্ত্রণা নিজের কানে শুনতে হবে তা কি চিন্তা করেছিলো একরামুলের ছোট্ট মেয়েটি।অভিশাপে অভিশাপে ভারী হবে রাষ্ট্রের পাপ।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্রীরা রীতিমত সাধারণ মানুষকে মানুষ মনে করছেননা। একজন অর্থমন্ত্রী, তার কাছে চার হাজার কোটি টাকা কিছুইনা। একজন খাদ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছিলো "অাপনারা কম করে খান" অার অারেক জন ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এরকম অভিযানে দু'একটা ভুল হতেই পারে। বাহ কি চমৎকার, মানুষের জীবন কি স্কুলের ক্লাস টেস্টের অংক খাতা যে, দু একটা ভুল হলে ব্যাপারনা! নাকি ক্ষমতার কালো চশমার কাঁচ দিয়ে তিনি এর বেশী দেখতে পাননা।
রাষ্ট্রকে পরিণত করা হচ্ছে বৃত্তবান ও ক্ষমতাধর দের অারাম কেদারায়। কি অাজব রাজার দেশ বাবারে। মন্ত্রী এম পি দের পঁচাত্তর হাজার টাকার মোবাইল লাগবে, সচিবদের বত্রিশ হাজার টাকা বেতনের বুয়া লাগবে। এ কেমন বুয়া বি সি এস কেডারের চেয়েও বেতন বেশী নাকি বুয়ার অাড়ালে অন্যকিছু। লক্ষ বেকারের কথা এখন বলবোনা।
এবার সৌদি থেকে ফেরত অাসা নারী শ্রমিকদের নিয়ে "নমিতা হালদার" নামক একজন সচিবের মন্তব্য অালোচিত হয়েছে। তিনি বলেছেন " সৌদি ফেরত এসব নারীরা মিথ্যা গল্প বানায়। অাগুনের ছ্যাকায় যাদের শরীর ঝলছে দেওয়া হয়েছে তাদের কথায় যে অামলাদের বিশ্বাস নেই সেই অামলারা কি মানুষ হতে পারে! অামার সন্দেহ উনি মানুষ নাকি প্রতিটি বাংলা সিনেমার কুটনি বুড়ি।
"ওপেন সিক্রেট" বলে একটি কথা অাছে। যে সত্যটা বললে জীবন বিপন্ন হওয়ার অাশঙ্কা অাছে সেই সত্যই ওপেন সিক্রেট। ঘুষ এখন "ওপেন সিক্রেট"। টাকা ছাড়া চাকরি নাই। চাকরি পেয়েই শুরু করছে ধান্দা যা টাকা দিয়েছে তাতো তুলতে হবে যে। এখন প্রশ্ন হলো নিম্নবিত্ত মানুষের টাকা নাই তাই কি তারা চাকরি পাবেনা। তবে কি মেধার জায়গাটা টাকা দখল করে নিয়েছে?
বর্তমান অবস্থা এমন হয়েছে যে তরুণ প্রজন্মকে হতাশাগ্রস্ত হতে হচ্ছে। এই এবড়ো থেবড়ো অবস্থায় মধ্য যারা অর্থ- টাকা কড়ির মানুষ হচ্ছে, যোগত্যা না থেকেও চাকরি পাচ্ছে তাদের হাতে চলে যাচ্ছে রাষ্ট্র ও সমাজকে পেটানোর চাবুক। তবে কি এই ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগীরা সমাজ পরিবর্তন করবেন নাকি পরিবর্তনকামী মানুষকে চেতনা অথবা অনুভূতির জিগির তুলে চাবুক মেরে সমূলে উৎপাটন করবে? প্রশ্ন রইলো উত্তর চাই হে মহান রাষ্ট্র।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.