রানা প্লাজা ট্রাজেডি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

নারী গার্মেন্টস কর্মীদের উদ্ধার করা হচ্ছে, ছবি: জাগো নিউজ
২৪ এপ্রিল ২০১৩ সাল। সকাল ৮:৪৫ এ সাভারে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ভবনটিতে পোশাক কারখানা, একটি ব্যাংক এবং একাধিক অন্যান্য দোকান ছিল, সকালে ব্যস্ত সময়ে এই ধসের ঘটনাটি ঘটে। ভবনটিতে ফাটল থাকার কারণে ভবন না ব্যবহারের সতর্কবার্তা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছিল।

গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা, রানা প্লাজার মালিক, ছবি: সোনালি নিউজ
সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই নয়তলা এই ভবনটি রানা প্লাজা হিসেবে পরিচিত এবং এর মালিক সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০০৭ সালে রানা প্লাজা নির্মাণ করার আগে জায়গাটি ছিল পরিত্যক্ত ডোবা। ভবন নির্মাণ করার আগে বালু ফেলে এটি ভরাট করা হয়। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর তথ্যমতে ভবনের উপরের চার তলা অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছিল।

রানা প্লাজা ধসের এই দৃশ্য বিশ্বের সব মানবিক হৃদয়েকে কাঁদিয়েছে, ছবি: জাগো নিউজ
আজ রানা প্লাজা ধ্বসের পাঁচ বছর। সারা দুনিয়ার কারখানার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শ্রমিক হত্যার ঘটনা ঘটলেও পাঁচ বছরে এই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়াই শুরু হয় না। ভবন নির্মাণ আইনে মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হলেও হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ রানা প্লাজায় ১১৭৫ এর অধিক শ্রমিকের জীবন হারানো কোনো দুর্ঘটনা নয়, রীতিমতো পরিকল্পিত হত্যা। ফাটল দেখা যাওয়ায় সবাই ভবন পরিত্যাগ করলেও শ্রমিকদেরকে জোর করে ঢোকানো হয়েছিল মৃত্যুকূপে। ফলে এই হত্যার দায় নিতে হবে ভবনমালিক সোহেল রানাসহ, সরকারি কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী যারা মৃত্যুকূপের পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন, কারখানার মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
বিচার প্রক্রিয়া প্রলম্বিত করার ভেতর দিয়ে প্রকারান্তে রানা প্লাজার ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.