সব ফুলে অঞ্জলি হয় না, কিছু ফুল শ্মশানেও যায়।
ছাত্রলীগের একজন হল সভাপতি এশার কর্মকান্ডে প্রথমে একবার লজ্জিত হয়েছিলাম। পরে নিজেকে বোঝালাম একটা বৃহৎ সংগঠনের একজন সদস্যের উসৃঙ্খলতার জন্য আমারই বা লজ্জিত হবার কি! সংগঠনেরই বা কি! কিন্তু ঘটনার একদিন পর যখন দেখলাম সারা বাংলাদেশের ছাত্রলীগের কাছে এশা 'জাতীয় বোন' হয়ে গেছে, লজ্জাটা তখন সত্যি সত্যিই পেয়েছিলাম।
এশা মোর্শেদার পায়ের রগ কেটেছে, কি কাটেনি সে প্রশ্ন এখন অবান্তর! কারণ ঘটনা পরবর্তী সময়ে এটা পরিস্কার প্রমাণ হয়ে গেছে যে, এশা একটা চরম বেয়াদব মেয়ে। হলের অনেক মেয়েই জবানবন্দী দিয়েছে- কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন সময় আন্দোলনে অংশ নেয়া হলের মেয়েদের প্রতিদিন এশা মারধর করতো। এর বাইরেও এমন কোন দিন যায় না যেদিন এশা হলের সাধারন ছাত্রীদের মারধর করে না। আপনি এশাকে বোন বলছেন! অথচ কি আশ্চর্য! আমি প্রার্থনা করছি আমার চরম শত্রুরও যেন এমন বোন না থাকে। এশার মতো মেয়েরা জন্মের নিয়মে কারো বোন হয়তো হয়, কিন্তু কেউ এমন বোনের প্রত্যাশা করে না।
"জাস্টিস ফর এশা" কিংবা "এশা আমার বোন" বলা ছাত্রলীগদের বলতে চাই সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা আপনার বোনের প্রতি যে ইজাস্টিস করেছে, নিচের স্কিনশর্টটি আপনার সেই নিরীহ, ভদ্র, সাদাসিধে বোনের ফেসবুক ফেইজ থেকে নেয়া। আপনার নম্র ভদ্র বোনটি একজন মেয়ে হয়ে পাবলিক প্ল্যাসে নির্দিধায় যেরকম অশ্লিল বাক্য উচ্চারন করতে পারে, নুন্যতম ভদ্রতাবোধ থাকা এবং ভদ্র ঘরে জন্ম নেয়া একটা ছেলেও এমন কথা বলতে পারে এরকম আমি কখনোই ভাবতে পারি না।
সারাদেশের ছাত্রলীগ যে ভাবে একটা অন্যায়ের পক্ষ নিয়েছে, এতে করে মনে হচ্ছে ছাত্রলীগ আসলেই নৈতিকভাবে দিন দিন দেউলিয়া হয়ে পরছে। আমার আজ ভাবতে সত্যিই লজ্জা লাগছে যে, এই সংগঠনের হয়ে আমিও কখনো লেখালেখি করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বলে মন থেকে ভালোও বেসে ছিলাম। প্রিয় সংগঠনের এই নৈতিক দৈন্যতা মানা যায় না। আজ যখন ছাত্রলীগ কর্তৃক এশাকে পুষ্পমাল্য দিয়ে বরণ করতে দেখি, তখন এই সত্যটি বারবার কর্ণকুহরে প্রতিধ্বনিত হয়- সব ফুলে অঞ্জলী হয় না, কিছু ফুল শ্মশানেও যায়!
আমার একটা বিষয় কিছুতেই মাথায় আসে না, একটা সংগঠনের একজন মানুষ খারাপ হতেই পারে। আর এর সমস্ত দায়ভার সেই খারাপ মানুষটির। সংগঠনের নয়। এটা সংগঠনের দোষও নয়। তাহলে সংগঠন বা এর উচ্চ পদস্থরা তাকে শাস্তির ব্যবস্থা করার পরিবর্তে তার পক্ষে কোমর বেঁধে নামার প্রয়োজন কি ছিলো? আমরা ভুলে গেছি শফিউল আলম প্রধানদের কথা। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া শফিউল আলম প্রধানকে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে দল থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো। শফিউল আলম প্রধান গেছে, কিন্তু তার পেতাত্মা এখনো এশাদের মধ্যে রয়ে গেছে!
শরীরের কোন একটি অংশে পঁচন ধরলে গোটা শরীরটা রক্ষা করার জন্য পঁচা অংশটি কেটে ফেলে দিতে হয়। এশারা সংগঠনের সেই পঁচন ধরা অংশ। এটাকে কেটে বাদ দেয়া জরুরী। অন্তত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে গড়া সংগঠনে এরকম বিষফোঁড়া থাকতে দেয়া যায় না। শফিউল আলম প্রধান তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলো, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত সেভেন মার্ডারের এই পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীকে বঙ্গবন্ধু সংগঠনের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে ভেবেছিলেন। তার পদ কিংবা অতিতে সংগঠনের জন্য কি অবদান রেখেছে সেটাকে বিবেচনা করেননি। আর এশা তো মাত্র একজন হল সভাপতি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এমন হোমরা চোমরা গোচের কেউ নয়। তাহলে তার জন্য গোটা ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে পদদলিত করে এমন আদা-জল খেয়ে নামার কারণ কি?
ফেসবুকে কিছু মানুষ আছে চরম মেরুদন্ডহীন! এদের নিজেস্বতা বলতে কিছু নেই। এরা যখন যা শোনে, তখন সেটা নিয়েই মেতে উঠে। একটা ঘটনার অদ্যান্ত জেনে, বুঝে, বিচার বিশ্লেষণ করে নিজের স্বাতন্ত্র্য মত ব্যক্ত করার মতো জ্ঞান পরমেশ্বর তো এদের দেয়ইনি, এরা নিজেরাও সেটা অর্জনের চেষ্টা করে না। কোথাও দেখেছে "এশা আমার বোন"! ব্যাস! শুরু হয়ে গেলো! "বোনরে! ও বোন? আমাকে ক্ষমা করিস! আমি একটা বলদ! তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না"! টাইপের ছাগলামি!
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে আমরাও আপাদমস্তক সমর্থন জুগিয়েছিলাম, কিন্তু পরে যখন সংস্কারপন্থীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে, গায়ে টি-শার্টে "আমি রাজাকার" টাইপের লেখা দেখলাম, তখন নিজেকে চরম অসহায়বস্থায় আবিস্কার করলাম। মতিয়া চৌধুরী কি বলেছে সেটার জন্য আসলে তারা এই কাজটি করেনি, বরং নিজেদের রাজাকার পিতাদের পরিচয়টাকে বৈধতা দিতে এরা এরকম লেখা সংবলিত টি-শার্ট ধারন করেছিলো। কোটা সংস্কার আন্দোলনে কিছু শুয়োরের বাচ্চা ঢুকে পরেছিলো এ কথা এখন প্রমাণীত সত্য!
মতিয়া চৌধিরী কে? সে কি দেশের প্রধানমন্ত্রী? বোল পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগার হয়ে যাওয়া একজন বিতর্কিত মহিলার আগোচালো কিছু কথায় যারা আমাদের জন্মযুদ্ধের চরম শত্রুদের পদবী অঙ্গে ধারন করতে পারে, তাদের শুধু মেধা নিয়েই প্রশ্ন উঠে না, দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন হলে এরা যে গোটা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী একটা দেশে পরিনত করতে তৎপর হতে পারবে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একটা সরকারী চাকুরী নয় শুধু, মৃত্যু মুখে পতিত হলেও আমি এই 'রাজাকার' শব্দটির সাথে আপোষ করতে পারবো না। দেশটা মতিয়া চৌধুরীর নয়, কোন এমপি, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীরও নয়। দেশ আমার। মুক্তিযুদ্ধ আমার। রাজাকার শব্দটি আমি আজন্ম ঘৃণার সাথে উচ্চারন করি।
স্বাধীনতার জন্য যখন বাংলা মায়ের প্রসব বেদনা উঠেছিলো, তখন ধাত্রী ভুমিকায় এগিয়ে এসেছিলো এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করার অপরাধে কি অবর্ননীয় নির্যাতন নেমে এসেছিলো ধৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের উপর সেটা বর্ননা করার মতো শব্দ বাংলা অভিধানে এখনো অপ্রতুল। একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন শান্তি কমিটির সদস্যদের হাতে পড়ে যেতো, সেই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকজন তাদের পায়ে ধরে মিনতি করতো- "আমার ছেলেটিকে মিলিটারিদের হাতে তুলে দিন!" এই কথার অর্থ বোঝেন? শান্তিকমিটির লোকদের নির্যাতন পাক-মিলিটারিদের নির্যাতনের চেয়ে ভয়াবহ ছিলো! এই সেই রাজাকার! যেই শব্দটি আজ আপনি বুকে তুলে নিয়েছেন। আপনার লজ্জা হওয়া উচিৎ। আপনি গলায় ফাঁস দিয়ে মরুন। বিশ্বাস করুন আপনার মতো একজন কুলাঙ্গারের মৃত্যু হওয়া এই দেশের জন্য ভিষন জরুরী!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
এশা মোর্শেদার পায়ের রগ কেটেছে, কি কাটেনি সে প্রশ্ন এখন অবান্তর! কারণ ঘটনা পরবর্তী সময়ে এটা পরিস্কার প্রমাণ হয়ে গেছে যে, এশা একটা চরম বেয়াদব মেয়ে। হলের অনেক মেয়েই জবানবন্দী দিয়েছে- কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন সময় আন্দোলনে অংশ নেয়া হলের মেয়েদের প্রতিদিন এশা মারধর করতো। এর বাইরেও এমন কোন দিন যায় না যেদিন এশা হলের সাধারন ছাত্রীদের মারধর করে না। আপনি এশাকে বোন বলছেন! অথচ কি আশ্চর্য! আমি প্রার্থনা করছি আমার চরম শত্রুরও যেন এমন বোন না থাকে। এশার মতো মেয়েরা জন্মের নিয়মে কারো বোন হয়তো হয়, কিন্তু কেউ এমন বোনের প্রত্যাশা করে না।
"জাস্টিস ফর এশা" কিংবা "এশা আমার বোন" বলা ছাত্রলীগদের বলতে চাই সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা আপনার বোনের প্রতি যে ইজাস্টিস করেছে, নিচের স্কিনশর্টটি আপনার সেই নিরীহ, ভদ্র, সাদাসিধে বোনের ফেসবুক ফেইজ থেকে নেয়া। আপনার নম্র ভদ্র বোনটি একজন মেয়ে হয়ে পাবলিক প্ল্যাসে নির্দিধায় যেরকম অশ্লিল বাক্য উচ্চারন করতে পারে, নুন্যতম ভদ্রতাবোধ থাকা এবং ভদ্র ঘরে জন্ম নেয়া একটা ছেলেও এমন কথা বলতে পারে এরকম আমি কখনোই ভাবতে পারি না।
সারাদেশের ছাত্রলীগ যে ভাবে একটা অন্যায়ের পক্ষ নিয়েছে, এতে করে মনে হচ্ছে ছাত্রলীগ আসলেই নৈতিকভাবে দিন দিন দেউলিয়া হয়ে পরছে। আমার আজ ভাবতে সত্যিই লজ্জা লাগছে যে, এই সংগঠনের হয়ে আমিও কখনো লেখালেখি করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বলে মন থেকে ভালোও বেসে ছিলাম। প্রিয় সংগঠনের এই নৈতিক দৈন্যতা মানা যায় না। আজ যখন ছাত্রলীগ কর্তৃক এশাকে পুষ্পমাল্য দিয়ে বরণ করতে দেখি, তখন এই সত্যটি বারবার কর্ণকুহরে প্রতিধ্বনিত হয়- সব ফুলে অঞ্জলী হয় না, কিছু ফুল শ্মশানেও যায়!
আমার একটা বিষয় কিছুতেই মাথায় আসে না, একটা সংগঠনের একজন মানুষ খারাপ হতেই পারে। আর এর সমস্ত দায়ভার সেই খারাপ মানুষটির। সংগঠনের নয়। এটা সংগঠনের দোষও নয়। তাহলে সংগঠন বা এর উচ্চ পদস্থরা তাকে শাস্তির ব্যবস্থা করার পরিবর্তে তার পক্ষে কোমর বেঁধে নামার প্রয়োজন কি ছিলো? আমরা ভুলে গেছি শফিউল আলম প্রধানদের কথা। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া শফিউল আলম প্রধানকে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে দল থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো। শফিউল আলম প্রধান গেছে, কিন্তু তার পেতাত্মা এখনো এশাদের মধ্যে রয়ে গেছে!
শরীরের কোন একটি অংশে পঁচন ধরলে গোটা শরীরটা রক্ষা করার জন্য পঁচা অংশটি কেটে ফেলে দিতে হয়। এশারা সংগঠনের সেই পঁচন ধরা অংশ। এটাকে কেটে বাদ দেয়া জরুরী। অন্তত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে গড়া সংগঠনে এরকম বিষফোঁড়া থাকতে দেয়া যায় না। শফিউল আলম প্রধান তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলো, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত সেভেন মার্ডারের এই পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীকে বঙ্গবন্ধু সংগঠনের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে ভেবেছিলেন। তার পদ কিংবা অতিতে সংগঠনের জন্য কি অবদান রেখেছে সেটাকে বিবেচনা করেননি। আর এশা তো মাত্র একজন হল সভাপতি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এমন হোমরা চোমরা গোচের কেউ নয়। তাহলে তার জন্য গোটা ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে পদদলিত করে এমন আদা-জল খেয়ে নামার কারণ কি?
ফেসবুকে কিছু মানুষ আছে চরম মেরুদন্ডহীন! এদের নিজেস্বতা বলতে কিছু নেই। এরা যখন যা শোনে, তখন সেটা নিয়েই মেতে উঠে। একটা ঘটনার অদ্যান্ত জেনে, বুঝে, বিচার বিশ্লেষণ করে নিজের স্বাতন্ত্র্য মত ব্যক্ত করার মতো জ্ঞান পরমেশ্বর তো এদের দেয়ইনি, এরা নিজেরাও সেটা অর্জনের চেষ্টা করে না। কোথাও দেখেছে "এশা আমার বোন"! ব্যাস! শুরু হয়ে গেলো! "বোনরে! ও বোন? আমাকে ক্ষমা করিস! আমি একটা বলদ! তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না"! টাইপের ছাগলামি!
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে আমরাও আপাদমস্তক সমর্থন জুগিয়েছিলাম, কিন্তু পরে যখন সংস্কারপন্থীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে, গায়ে টি-শার্টে "আমি রাজাকার" টাইপের লেখা দেখলাম, তখন নিজেকে চরম অসহায়বস্থায় আবিস্কার করলাম। মতিয়া চৌধুরী কি বলেছে সেটার জন্য আসলে তারা এই কাজটি করেনি, বরং নিজেদের রাজাকার পিতাদের পরিচয়টাকে বৈধতা দিতে এরা এরকম লেখা সংবলিত টি-শার্ট ধারন করেছিলো। কোটা সংস্কার আন্দোলনে কিছু শুয়োরের বাচ্চা ঢুকে পরেছিলো এ কথা এখন প্রমাণীত সত্য!
মতিয়া চৌধিরী কে? সে কি দেশের প্রধানমন্ত্রী? বোল পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগার হয়ে যাওয়া একজন বিতর্কিত মহিলার আগোচালো কিছু কথায় যারা আমাদের জন্মযুদ্ধের চরম শত্রুদের পদবী অঙ্গে ধারন করতে পারে, তাদের শুধু মেধা নিয়েই প্রশ্ন উঠে না, দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন হলে এরা যে গোটা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী একটা দেশে পরিনত করতে তৎপর হতে পারবে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একটা সরকারী চাকুরী নয় শুধু, মৃত্যু মুখে পতিত হলেও আমি এই 'রাজাকার' শব্দটির সাথে আপোষ করতে পারবো না। দেশটা মতিয়া চৌধুরীর নয়, কোন এমপি, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীরও নয়। দেশ আমার। মুক্তিযুদ্ধ আমার। রাজাকার শব্দটি আমি আজন্ম ঘৃণার সাথে উচ্চারন করি।
স্বাধীনতার জন্য যখন বাংলা মায়ের প্রসব বেদনা উঠেছিলো, তখন ধাত্রী ভুমিকায় এগিয়ে এসেছিলো এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করার অপরাধে কি অবর্ননীয় নির্যাতন নেমে এসেছিলো ধৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের উপর সেটা বর্ননা করার মতো শব্দ বাংলা অভিধানে এখনো অপ্রতুল। একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন শান্তি কমিটির সদস্যদের হাতে পড়ে যেতো, সেই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকজন তাদের পায়ে ধরে মিনতি করতো- "আমার ছেলেটিকে মিলিটারিদের হাতে তুলে দিন!" এই কথার অর্থ বোঝেন? শান্তিকমিটির লোকদের নির্যাতন পাক-মিলিটারিদের নির্যাতনের চেয়ে ভয়াবহ ছিলো! এই সেই রাজাকার! যেই শব্দটি আজ আপনি বুকে তুলে নিয়েছেন। আপনার লজ্জা হওয়া উচিৎ। আপনি গলায় ফাঁস দিয়ে মরুন। বিশ্বাস করুন আপনার মতো একজন কুলাঙ্গারের মৃত্যু হওয়া এই দেশের জন্য ভিষন জরুরী!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.