বেশি না, মাত্র ২২ হাজার ২২১ কোটি টাকা
হদিস পাওয়া যাচ্ছে না ২২২২১ কোটি টাকার। এটা অবশ্য তেমন বেশি না। কারণ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ, মধ্যম আয়ের দেশ। এখন মাত্র ২২২২১ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না এই নিয়ে নিশ্চয়ই সরকার মহলে বেশি তোলপাড় তৈরি হবে না। হবেই বা কেন। এই টাকাতো আর সরকার বাহাদুরদের দিতে হবেনা। দিতে হবে জনগণকে। তাই জনগণ হিসেবে একটু পোড়ায় আমাদের।
বছরের পর বছর ধরে নানা কৌশলে সাধারণ মানুষের মোটা অঙ্কের এ অর্থ নির্বিঘ্নে পকেটস্থ করেছে শীর্ষ ২০ খেলাপি। এ অর্থের পুরোটাই এখন অবলোপন। বিধান অনুযায়ী অবলোপন করার পর থেকেই এ টাকা আদায়ের কথা ছিল। কিন্তু গত এক বছরে অবলোপনকৃত অর্থের এক টাকাও আদায় করতে পারেনি এবি, আইসিবি ইসলামিক, স্ট্যান্ডার্ড এবং এনসিসি ব্যাংক। এছাড়া প্রায় একই চিত্র বিরাজ করছে অন্য ব্যাংকগুলোতেও।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অবলোপনের টাকা আদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১৫ মার্চ বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘শীর্ষ ২০ অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায় সন্তোষজনক নয়। যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও ফলপ্রসূ নয়। বিশেষ করে উল্লিখিত চার ব্যাংকের আদায় শূন্য। এ বিষয়ে আদায় নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে আপনাদের সতর্ক করা যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, খেলাপি অবস্থায় পাঁচ বছর পর্যন্ত কোনো ঋণ আদায় করতে না পারলে তা ব্যাংকের মূল হিসাব থেকে বাদ দিয়ে ভিন্ন খাতায় হিসাব রাখা হয়। তখন এই ঋণকে অবলোপন বলা হয়। তবে অবলোপন করার আগে অর্থঋণ আদালতে একটি মামলা করতে হয়। পাশাপাশি ওই খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়।
জানতে চাইলে এবি ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মহাদেব সরকার বলেন, ‘দীর্ঘদিন খেলাপি থাকার পর ইলিয়ার্স ব্রাদার্স, মোস্তাফা গ্র“পসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। কিন্তু এরা টাকা দিচ্ছে না। ছলে-বলে-কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু কুলিয়ে উঠতে পারছি না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে আটকা পড়েছে ৩২ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। এ অর্থের হদিস-নেই-২২-হাজার-২২১-কোটি-টাকার অবলোপন করা হয়েছে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
বছরের পর বছর ধরে নানা কৌশলে সাধারণ মানুষের মোটা অঙ্কের এ অর্থ নির্বিঘ্নে পকেটস্থ করেছে শীর্ষ ২০ খেলাপি। এ অর্থের পুরোটাই এখন অবলোপন। বিধান অনুযায়ী অবলোপন করার পর থেকেই এ টাকা আদায়ের কথা ছিল। কিন্তু গত এক বছরে অবলোপনকৃত অর্থের এক টাকাও আদায় করতে পারেনি এবি, আইসিবি ইসলামিক, স্ট্যান্ডার্ড এবং এনসিসি ব্যাংক। এছাড়া প্রায় একই চিত্র বিরাজ করছে অন্য ব্যাংকগুলোতেও।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অবলোপনের টাকা আদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১৫ মার্চ বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘শীর্ষ ২০ অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায় সন্তোষজনক নয়। যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও ফলপ্রসূ নয়। বিশেষ করে উল্লিখিত চার ব্যাংকের আদায় শূন্য। এ বিষয়ে আদায় নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে আপনাদের সতর্ক করা যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, খেলাপি অবস্থায় পাঁচ বছর পর্যন্ত কোনো ঋণ আদায় করতে না পারলে তা ব্যাংকের মূল হিসাব থেকে বাদ দিয়ে ভিন্ন খাতায় হিসাব রাখা হয়। তখন এই ঋণকে অবলোপন বলা হয়। তবে অবলোপন করার আগে অর্থঋণ আদালতে একটি মামলা করতে হয়। পাশাপাশি ওই খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়।
জানতে চাইলে এবি ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মহাদেব সরকার বলেন, ‘দীর্ঘদিন খেলাপি থাকার পর ইলিয়ার্স ব্রাদার্স, মোস্তাফা গ্র“পসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। কিন্তু এরা টাকা দিচ্ছে না। ছলে-বলে-কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু কুলিয়ে উঠতে পারছি না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে আটকা পড়েছে ৩২ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। এ অর্থের হদিস-নেই-২২-হাজার-২২১-কোটি-টাকার অবলোপন করা হয়েছে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.