এখন কি দেশজুড়ে উদযাপন হবে না?
বাংলাদেশে বিগত নয় বছর কেমন স্বৈরাচারী যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই স্বৈরাচারের ভুক্তভোগী সারা বাংলাদেশ। অনেক আওয়ামী কর্মীরা এর আওতার বাইরে যেতে পারেনি। সারাদেশে অরাজক পরিস্থিতি চলছে। সরকার যাকেই হুমকি মনে করছে তাকেই সরিয়ে দিচ্ছে। এর থেকে বাঁচতে পারছে না হাসিনার নিজের লোকও। শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুও সেরকম একটা ব্যাপার। নীরবে নিভৃতে চলে গেলো ক্ষমতাধর একজন মানুষ।
আর বিরোধী দলের হিসাব তো দিয়ে শেষ করা যাবে না। ইলিয়াস আলী, ব্রিগেডিয়ার আযমীসহ হাজার হাজার মানুষ আজ নিখোঁজ। খুন হচ্ছে প্রতিদিন। ধারণা করা হয় গত পাঁচবছরে রাজনৈতিক খুন ১২ হাজার ছাড়িয়েছে বাংলাদেশে। এই হলো বাংলাদেশের অবস্থা। কেউ সরকারের বিরুদ্ধে বলে না। কোন মিডিয়াও বলে না।
বলবে কেন? বলে কি নিজেদের পেটে নিজেরাই লাথি মারবে? দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, পিস টিভি, আমার দেশ, একুশে টিভি এগুলো সাক্ষী হয়ে আছে অবাধ(!) সাংবাদিকতার।
যাক আজকের প্রসঙ্গে আসি। আজ বিবিসে দেখলাম একটি সংবাদ। বিশ্বের ১২৯ টি দেশে গণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি এবং সুশাসনের অবস্থা নিয়ে এক সমীক্ষার পর জার্মান প্রতিষ্ঠান 'বেরটেলসম্যান স্টিফটুং' তাদের রিপোর্টে এই মন্তব্য করে। রিপোর্টটি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে।
রিপোর্টে ১২৯ টি দেশের মধ্যে ৫৮ টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং ৭১ টি দেশকে গণতান্ত্রিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে তাদের আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিশ্বের ৭৪টি দেশে গণতান্ত্রিক এবং ৫৫টি দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে।
এর মধ্যে স্বৈরশাসনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পাঁচটি। উত্তরণ হয়েছে দুইটি দেশের। নতুন যুক্ত হওয়া পাঁচটি দেশ হলো বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডা।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই পাঁচটি দেশ এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদন্ড পর্যন্ত মানছে না। এসব দেশে বহু বছর ধরেই গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছিল। এসব দেশের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই এটা ঘটেছে বলে মন্তব্য করা হয় রিপোর্টে।
গতকালই শুধু শুধু উন্নয়নশীল দেশ হয়ে গেছি বলে উদযাপন করা হয়েছে। সারাদেশে জ্যাম লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। অথচ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হতে কমসে কম ছয় বছর লাগবে।
আজও কি উদযাপন হবে? স্বৈরাচারী তকমা পাওয়ার উদযাপন। নাকি বিবিসি আর
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.