দেশের ৯৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী শিবির(!)
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ‘শিবির সমর্থক’ বলে অভিহিত করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। তার এই দাবীর মধ্য দিয়ে তিনি মূলত বুঝাতে চান এদেশের বেশিরভাগ বলতে গেলে ৯৭% ছাত্রছাত্রী শিবির সমর্থক।
মেহেদীদের দাবি, এই আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করছে বা প্রলোভিত করে স্বার্থ হাসিল করছে শিবিরের নেতারা। গত শনিবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। ‘বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা-তাদের পরিবার নিয়ে কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে’ এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী বললো, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর আগেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শিবিরের কর্মীরা আন্দোলন করেছিল। সেই সময়েও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করেছিলো। যেহেতু তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ, তাই তারা কৌশল পরিবর্তন করেছে। প্রকৃতপক্ষে এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের নীল নকশা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ডের এমন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এনিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করছেন।
এটা স্বৈরাচারের দেশের নমুনা। প্রথম কথা শিবির করা আইনত অপরাধ না। যদি শিবির ভালো কিছু নিয়ে আন্দোলনে নামে তবে সেই আন্দোলনে আমরা থাকবো। আমাদের কী দাবী? আপনার কী যুক্তি? সেটা না বলে আন্দোলনকারীরা শিবির একথা বলে মেহেদী কী বুঝাতে চায়? মেহেদী যেটা চায় সেটা অবশ্য স্পষ্ট। শিবির আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীদের গুলির মুখে ফেলতে চায়। এভাবে আপনারা আর কত দেশটাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবেন?
যদিও আমি শিবির না, তবে আজ শিবির হলে খুশিই হতাম। কারণ দেশের ৯৭% ছাত্রছাত্রী, শিক্ষিত বেকার আজ শিবির বলে আখ্যায়িত হল। এটা তো শিবিরের বিরাট এচিভমেন্ট। মেহেদী সাহেব একটু খেয়াল করুন আপনি শিবিরের কত বড় উপকারটা করলেন। আপনিই নিজে একটু নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন আপনার সাথে কতজন মানুষ আছে? কতজন মানুষ কোটা সংস্কারের পক্ষে?
আর কত বাপ দাদার জিনিস খাবেন। একটু স্বাবলম্বী হোন মেহেদী সাহেব! লজ্জা করে না কমিশনে চাকরী পেতে? আপনি যোগ্য না তারপরেও সেই স্থান দখল করতে একটুও লজ্জা হয় না? লজ্জা হবে কীভাবে? লজ্জা থাকলে পড়ালেখা করতেন! বাপের সার্টিফিকেট বেচতেন না। বাপ দাদারা ভালো কাজ করেছে। দেশের জন্য কাজ করেছে। আর আপনারা? আপনারা দেশকে পঙ্গু বানিয়ে ছাড়ছেন। আপনাদের জন্য ঘৃণা।
আরে ভাই আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করলে না জানি কি করতেন। দাদা,বাবা,কাকা করছে তাতেই দেশ আপনাদের। তারা ত্যাগ করেছেন স্বপ্নের বাংলাদেশ এর জন্যে, আর আপনারা? বাংলাদেশকে পঙ্গু করতে চান ভোগ করে। কারন দেশটি তো আপনাদের। আমরা তো অতিথি পাখি। শিবির!
কতটুকু পাগল হলে মানুষ এসব বলে। ৭ লক্ষ ছাত্র নাকি শিবির। হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা শুরু হচ্ছে।
আরো কিছু মানুষের ফেসবুক মন্তব্য জুড়ে দিচ্ছি, দেখুন। বিবেচনা করুন। বিবেক নষ্ট করবেন না।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.