মন্ত্রী মোশাররফ নিজেই মারলেন লাথি!
পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পণ্ড হয়ে গেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে।
সম্মেলন মঞ্চে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন প্রমুখ।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তখনই শুরু হয় উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি স্লোগান। তাদের থামাতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন জাকির। এই উত্তেজনার মাঝেই বক্তৃতা দিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাকিব হাসান। এসময় প্রথমে চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং পরে সম্মেলন কক্ষের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণায় আকস্মিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে সম্মেলনের বাইরে রাউজানকেন্দ্রিক এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের উপর হামলা চালায়।
ককটেল বিস্ফোরণে দুজনসহ এই ঘটনায় অন্তত ১৫ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন- রবিউল ইসলাম (১৭), সবুজ আহমেদ (১৯), নিপু হাওলাদার (১৮), সাজ্জাদুর রহমান (২০) ও মোহাম্মদ রিফাত (১৭)। ককটেল বিস্ফোরণে আহত আহত দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁজাকোলা করে তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে সম্মেলনের বাইরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। সংঘর্ষের কারণে পন্ড হয়ে যায় ছাত্রলীগের সম্মেলন। বেলা সাড়ে ১২টায় দিকে পুলিশের কড়া প্রহরায় অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে গেছেন। এর পর সম্মেলনস্থলে রাউজান ছাত্রলীগের একটি অংশ মঞ্চ দখল করে এবিএম ফজলে করিমের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন নয়া দিগন্তকে জানান, দু’পক্ষের মারামারির কারণে সম্মেলন বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। বড় কিছু হয়নি। তবে তিনি ফাঁকা গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ছাত্রলীগের রাউজানকেন্দ্রিক বিবদমান দুটি উপগ্রুপের মারামারি, ককটেল বিস্ফোরণে পন্ড হওয়া সম্মেলন থেকে দুপুর পৌনে ১টার দিকে বেরিয়ে যান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবিএম ফজলে করিম এমপি। এরপর বের হন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পথরোধ করে দাঁড়ায় এক ছাত্রলীগ নেতা। রাগতস্বরে কিছু বলে উঠতেই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাকে সজোরে মারেন এক লাথি। ছাত্রলীগের ওই নেতা উঠে দাঁড়াতেই ক্ষিপ্ত মন্ত্রী আবারও উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সম্মেলনস্থলে। এই উত্তেজনা বিস্তৃত হয় চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে লালখানবাজার মোড় পর্যন্ত। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
এদিকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নগরীর লালদীঘি মাঠে সাবেক চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি স্লোগান এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ির মধ্যে শোকসভা দ্রুত শেষ করতে বাধ্য হন নেতৃবৃন্দ।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে।
সম্মেলন মঞ্চে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন প্রমুখ।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তখনই শুরু হয় উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি স্লোগান। তাদের থামাতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন জাকির। এই উত্তেজনার মাঝেই বক্তৃতা দিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাকিব হাসান। এসময় প্রথমে চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং পরে সম্মেলন কক্ষের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণায় আকস্মিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে সম্মেলনের বাইরে রাউজানকেন্দ্রিক এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের উপর হামলা চালায়।
ককটেল বিস্ফোরণে দুজনসহ এই ঘটনায় অন্তত ১৫ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন- রবিউল ইসলাম (১৭), সবুজ আহমেদ (১৯), নিপু হাওলাদার (১৮), সাজ্জাদুর রহমান (২০) ও মোহাম্মদ রিফাত (১৭)। ককটেল বিস্ফোরণে আহত আহত দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁজাকোলা করে তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে সম্মেলনের বাইরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। সংঘর্ষের কারণে পন্ড হয়ে যায় ছাত্রলীগের সম্মেলন। বেলা সাড়ে ১২টায় দিকে পুলিশের কড়া প্রহরায় অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে গেছেন। এর পর সম্মেলনস্থলে রাউজান ছাত্রলীগের একটি অংশ মঞ্চ দখল করে এবিএম ফজলে করিমের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন নয়া দিগন্তকে জানান, দু’পক্ষের মারামারির কারণে সম্মেলন বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। বড় কিছু হয়নি। তবে তিনি ফাঁকা গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ছাত্রলীগের রাউজানকেন্দ্রিক বিবদমান দুটি উপগ্রুপের মারামারি, ককটেল বিস্ফোরণে পন্ড হওয়া সম্মেলন থেকে দুপুর পৌনে ১টার দিকে বেরিয়ে যান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবিএম ফজলে করিম এমপি। এরপর বের হন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পথরোধ করে দাঁড়ায় এক ছাত্রলীগ নেতা। রাগতস্বরে কিছু বলে উঠতেই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাকে সজোরে মারেন এক লাথি। ছাত্রলীগের ওই নেতা উঠে দাঁড়াতেই ক্ষিপ্ত মন্ত্রী আবারও উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সম্মেলনস্থলে। এই উত্তেজনা বিস্তৃত হয় চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে লালখানবাজার মোড় পর্যন্ত। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
এদিকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নগরীর লালদীঘি মাঠে সাবেক চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি স্লোগান এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ির মধ্যে শোকসভা দ্রুত শেষ করতে বাধ্য হন নেতৃবৃন্দ।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.