নির্বাচন স্থগিত করে আওয়ামীলীগ কী বার্তা দিতে চায়?
বহুল আলোচিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার সকালে পৃথক দুটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
হঠাৎ করে আদালতের এই স্থগিতাদেশে হতবাক হয়েছেন নির্বাচনের প্রার্থীসহ রাজনৈতিক দলগুলো।
আমার মনে হয় সরকার নিজেই ডিএনসিসিতে নির্বাচন চায় না। তাই আদালতকে ব্যবহার করে এই নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি করানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের মনে এই ধারণা জন্ম নিয়েছে ডিএনসিসি উপনির্বাচনে তারা কোনোভাবেই জয়ী হতে পারবে না। ঢাকাতে কখনোই তাদের অবস্থা ভালো ছিলো না, এখনো নেই। গত ২০১৫ সালের ঢাকা সিটি নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, কারচুপি আর জালিয়াতি করে নিজ দলের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করলেও এবার আর সেরকম কিছু করতে চাইছে না বা করতে পারছেনা সরকার।
সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে চাইছে না কোনো বিতর্কিত নির্বাচন করতে। সরকার চাচ্ছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে রংপুর সিটির মত কিছু সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে জনগনকে আশ্বস্ত করতে যে তারা ক্ষমতায় থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। এটা শুধু দেশের মানুষকেই দেখাতে চাচ্ছেনা, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলকেও আস্বস্ত করতে চাচ্ছে সরকার।
সুষ্ঠু নির্বাচন দেখানোর পাশাপাশি সরকার কোনোভাবেই রাজধানী ঢাকাকে তাদের হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। কারণ, আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দলের আন্দোলনে রাজধানী ঢাকাকে এখনো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় সরকার। ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হলে রাজধানীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের পক্ষে সহজ নাও হতে পারে।
বিরোধী দলের বিগত সব আন্দোলন সংগ্রামে সারাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা গেলেও রাজধানী ছিলো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সভা সমাবেশ তো দূরের কথা বিরোধী দলগুলোকে মিছিলটুকু পর্যন্ত করতে দেয়নি সরকার। ঢাকার রাজপথে বিরোধী নেতাকর্মীরা পা ফেললেই গুলি করেছে পুলিশ।
সরকার ভেবে নিয়েছে রাজধানীকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে পুরো দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও সরকারের কিছুই হবে না। এবং হয়েছেও তাই। ২০১৪ সালের কলঙ্কিত অগ্রহনযোগ্য নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন না পেলেও আওয়ামী লীগ সরকার পুরো সময় ক্ষমতায় থাকতে পেরেছে।
গত ৯ বছরে সরকারের গুম, খুন, অপহরণ, হামলা-মামলা এবং আর্থিক খাতে বিশেষ করে শেয়ার বাজার ও ব্যাংকগুলোতে লুটপাটের কারনে সরকারের ভাবমূর্তি এখন যেকোনো সময়ের চাইতে খারাপ অবস্থায় আছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) মতে, ২০১৭ সালটি বাংলাদেশে ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
এছাড়া হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও গুম অপহরণের ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশকে অনিরাপদ দেশ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহলকে খুশি করতে হলেও জাতীয় নির্বাচনের আগের স্থানীয় নির্বাচনগুলোকে সরকার কোনোভাবেই বিতর্কিত করতে চায় না।
এক্ষেত্রে রাজধানীর বাইরে হলে নিজেরা পরাজিত হলেও তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে রাজধানী গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তারা রাজধানীতে নিজেরা পরাজিত হতে চায়না, আবার বিতর্কিত নির্বাচনও করতে চায় না। এজন্যই বহুল আলোচিত ও ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক তা সরকার চায় না। তার ফলশ্রুতিতেই আদালতের এই স্থগিতাদেশ মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
হঠাৎ করে আদালতের এই স্থগিতাদেশে হতবাক হয়েছেন নির্বাচনের প্রার্থীসহ রাজনৈতিক দলগুলো।
আমার মনে হয় সরকার নিজেই ডিএনসিসিতে নির্বাচন চায় না। তাই আদালতকে ব্যবহার করে এই নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি করানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের মনে এই ধারণা জন্ম নিয়েছে ডিএনসিসি উপনির্বাচনে তারা কোনোভাবেই জয়ী হতে পারবে না। ঢাকাতে কখনোই তাদের অবস্থা ভালো ছিলো না, এখনো নেই। গত ২০১৫ সালের ঢাকা সিটি নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, কারচুপি আর জালিয়াতি করে নিজ দলের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করলেও এবার আর সেরকম কিছু করতে চাইছে না বা করতে পারছেনা সরকার।
সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে চাইছে না কোনো বিতর্কিত নির্বাচন করতে। সরকার চাচ্ছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে রংপুর সিটির মত কিছু সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে জনগনকে আশ্বস্ত করতে যে তারা ক্ষমতায় থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। এটা শুধু দেশের মানুষকেই দেখাতে চাচ্ছেনা, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলকেও আস্বস্ত করতে চাচ্ছে সরকার।
সুষ্ঠু নির্বাচন দেখানোর পাশাপাশি সরকার কোনোভাবেই রাজধানী ঢাকাকে তাদের হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। কারণ, আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দলের আন্দোলনে রাজধানী ঢাকাকে এখনো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় সরকার। ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হলে রাজধানীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের পক্ষে সহজ নাও হতে পারে।
বিরোধী দলের বিগত সব আন্দোলন সংগ্রামে সারাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা গেলেও রাজধানী ছিলো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সভা সমাবেশ তো দূরের কথা বিরোধী দলগুলোকে মিছিলটুকু পর্যন্ত করতে দেয়নি সরকার। ঢাকার রাজপথে বিরোধী নেতাকর্মীরা পা ফেললেই গুলি করেছে পুলিশ।
সরকার ভেবে নিয়েছে রাজধানীকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে পুরো দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও সরকারের কিছুই হবে না। এবং হয়েছেও তাই। ২০১৪ সালের কলঙ্কিত অগ্রহনযোগ্য নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন না পেলেও আওয়ামী লীগ সরকার পুরো সময় ক্ষমতায় থাকতে পেরেছে।
গত ৯ বছরে সরকারের গুম, খুন, অপহরণ, হামলা-মামলা এবং আর্থিক খাতে বিশেষ করে শেয়ার বাজার ও ব্যাংকগুলোতে লুটপাটের কারনে সরকারের ভাবমূর্তি এখন যেকোনো সময়ের চাইতে খারাপ অবস্থায় আছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) মতে, ২০১৭ সালটি বাংলাদেশে ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
এছাড়া হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও গুম অপহরণের ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশকে অনিরাপদ দেশ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহলকে খুশি করতে হলেও জাতীয় নির্বাচনের আগের স্থানীয় নির্বাচনগুলোকে সরকার কোনোভাবেই বিতর্কিত করতে চায় না।
এক্ষেত্রে রাজধানীর বাইরে হলে নিজেরা পরাজিত হলেও তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে রাজধানী গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তারা রাজধানীতে নিজেরা পরাজিত হতে চায়না, আবার বিতর্কিত নির্বাচনও করতে চায় না। এজন্যই বহুল আলোচিত ও ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক তা সরকার চায় না। তার ফলশ্রুতিতেই আদালতের এই স্থগিতাদেশ মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.