ভারত-ইরান পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা

ইরানের তেলের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ভারত। ইরান থেকে তেল আমদানি কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’ নিয়েছে তেহরান। তারা ভারতের শোধনাগারগুলোকে অপরিশোধিত তেলের দাম পরিশোধের সময় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস করার পাশাপাশি জাহাজ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান।
ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশন বা আইওসি এবং ম্যাগালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড বা এমআরপিএলের মতো ভারতীয় শোধানাগারগুলোকে তেলের মূল্য ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধের সময় দিত ইরান। কিন্তু ওই সময়ে কমিয়ে ৬০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে হিন্দু জানিয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবহন বাবদ ভারতীয় ক্রেতাদের মূল্য ছাড় ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬০ শতাংশের উপরে নিয়ে আসা হয়েছে বলে একই খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে একে দেশটির বিরুদ্ধে ইরানের 'প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য তেহরান এখনো এ বিষয়ে কিছু বলে নি।
নয়াদিল্লির একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভি জানিয়েছে, ‘ফারজাদ-বি’ গ্যাস ক্ষেত্র উন্নয়নে ইরান ভারতকে ছাড় না দিলে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানিগুলো ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ইরান থেকে তেল আমদানি এক-পঞ্চমাংশ কমিয়ে দেবে।
পারস্য উপসাগরে অবস্থিত গ্যাস ক্ষেত্র ‘ফারজাদ-বি’তে ১২.৫ ট্রিলিয়ন ঘন ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে যা ৩০ বছরের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে।
এদিকে বুধবার ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান জাঙ্গানে বলেছেন, ভারত তার দেশ থেকে তেল আমদানি কমিয়ে দেয়ার যে হুমকি দিয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন নয় তেহরান। ইরানের তেল কেনার জন্য বহু ক্রেতা অপেক্ষা করছে বলেও জানান তিনি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ২ টি
০৭ এপ্রিল ’১৭ রাত ০৮:৩৯
যেভাবে লিখছেন, ভাবলাম কোন যুদ্ধ লেগে গিয়েছে কিনা। সারা পৃথিবীর যুদ্ধের খবরের কাছে এটা নিতান্তই সাধারণ নিউজ। ব্যবসায়িক ব্যাপার স্যাপার।