ধারাবাহিক প্রেম চলছে
ছোটবেলার কথা। আমার এক স্কুল বান্ধবীকে পাওয়ার জন্য এক ছোট ভাই গোঁ ধরল। ‘একটি মেয়েকে একটি ছেলে অফার করতেই পারে’-এই কথাটি তখন খুব চলত। তখানকার দিনে কথাটির সাথে ছিল ‘নৈতিকতা’, ‘প্রগতি’ আর এক ধরণের ‘স্মার্টনেস‘। কথাটি প্রথম শুনেছিলাম আমার এক স্কুল শিক্ষকের কাছে ক্লাসরুমে!!
তো দুষ্টু জুনিয়রটা প্রেমে তো ফানা ফানা। তার একাট্টা- ‘চাই-ই-চাই’। আমার কাছে এসে একদিন সজলে বারি ঝরাতে লাগল। দেখে তো আমার বাকশক্তি হতাহত হয়ে পড়ল। ভাবলাম এই ধারা কাঁদতে থাকলে পানি স্বল্পতায় মারা যাবে আলবৎ। কী আর কই- পাত্রের প্রোসটেকটাস বড়ই বদখত। অসম্ভব ব্যাপার! তখন তো জলিল সাহেব নায়ক হয়নি। তাই অভয় দিয়ে বললুম বড় হও বাচা- বড় হও।
শুনেছি, তার আর পড়ালেখা হয়নি। ঝরে পড়েছে। তাতে আমার বান্ধবীর কোনো যায় আসেনি। সে এখন উচ্চশিক্ষিতা। তবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আজকে যেমন ঘটে।
যেমন ধরুন সিলেটের খাদিজা। চাটগাঁওয়ের মিসফা সুলতানা। এটা আজকের বাস্তবতা। এটা বিবর্তনের রূপশোভা। সে সময়ের প্রগতি ছিল: অফার করতেই পারো- তো করো- ব্যার্থ হলে তো মজনু হয়ে যাও। কিন্তু বিলকুল সাবধান মেয়েকে আঘাত করার কোনো রীতি ছিল না। বউ করে অবশ্য তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটতো!
খাদিজার ঘটনা শেষ হতে না হতেই চাটগাঁওয়ে মিসফা সুলতানার ওপর হামলা হলো। মেয়েটি স্কুল শিক্ষিকা। দেখতে ভালো। পাশের এক ছেলে তাকে উত্যক্ত করে। হেড মাস্টার সতর্ক করেছে বারবার। কোনো লাভ হলো না। স্কুলে ঢুকে মেয়েটির (শিক্ষিকা) ওপর শাবল দিয়ে উপর্যপুরি আক্রমণ চালালো। কান্নারোল শুনে লোকে তাকে উদ্ধার করার আগেই দুটো হাত ভেঙে গেল! শরীরে যখম!
প্রেমের এই বিবর্তন ধারায় আমার সেই স্কুল শিক্ষককে আমারে এখন বলতে ইচ্ছে হয়। আপনি ছিলেন তখন শিক্ষক। যা শিখিয়েছেন- সেই প্রজন্ম- এখন তা-ই করছে।
তবে একটি পার্থক্য আছে:
আপনি বলেছিলেন, অফার করতেই পারে।
আর আপনার ছাত্র প্রজন্ম দেখাচ্ছে, চাপাতি শাবল চলতেই পারে!!
কথাটি আমার তখন খুব বাজারে মনে হতো! আজো আমি তাই মনে করি। অনেকেই করে না। আমাদের দীক্ষাহীন শিক্ষায় শিক্ষিত জনেরা যত্রতত্র অফার করা-করিতেই বিশ্বাসী!!
এভাবেই চলছে প্রেমছে প্রেম...। আমাদের উন্নয়ন! আমাদের বিবর্তন!
দেখুন না! একটি শিক্ষিত সিনিয়র সিটিজেন সোসাইটি স্কুল কলেজ, বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধারা জিইয়ে রাখতে চায়। তারা কোপাকোপির ধারায় যেন দেওয়ানা দোস্তী
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
তো দুষ্টু জুনিয়রটা প্রেমে তো ফানা ফানা। তার একাট্টা- ‘চাই-ই-চাই’। আমার কাছে এসে একদিন সজলে বারি ঝরাতে লাগল। দেখে তো আমার বাকশক্তি হতাহত হয়ে পড়ল। ভাবলাম এই ধারা কাঁদতে থাকলে পানি স্বল্পতায় মারা যাবে আলবৎ। কী আর কই- পাত্রের প্রোসটেকটাস বড়ই বদখত। অসম্ভব ব্যাপার! তখন তো জলিল সাহেব নায়ক হয়নি। তাই অভয় দিয়ে বললুম বড় হও বাচা- বড় হও।
শুনেছি, তার আর পড়ালেখা হয়নি। ঝরে পড়েছে। তাতে আমার বান্ধবীর কোনো যায় আসেনি। সে এখন উচ্চশিক্ষিতা। তবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আজকে যেমন ঘটে।
যেমন ধরুন সিলেটের খাদিজা। চাটগাঁওয়ের মিসফা সুলতানা। এটা আজকের বাস্তবতা। এটা বিবর্তনের রূপশোভা। সে সময়ের প্রগতি ছিল: অফার করতেই পারো- তো করো- ব্যার্থ হলে তো মজনু হয়ে যাও। কিন্তু বিলকুল সাবধান মেয়েকে আঘাত করার কোনো রীতি ছিল না। বউ করে অবশ্য তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটতো!
খাদিজার ঘটনা শেষ হতে না হতেই চাটগাঁওয়ে মিসফা সুলতানার ওপর হামলা হলো। মেয়েটি স্কুল শিক্ষিকা। দেখতে ভালো। পাশের এক ছেলে তাকে উত্যক্ত করে। হেড মাস্টার সতর্ক করেছে বারবার। কোনো লাভ হলো না। স্কুলে ঢুকে মেয়েটির (শিক্ষিকা) ওপর শাবল দিয়ে উপর্যপুরি আক্রমণ চালালো। কান্নারোল শুনে লোকে তাকে উদ্ধার করার আগেই দুটো হাত ভেঙে গেল! শরীরে যখম!
প্রেমের এই বিবর্তন ধারায় আমার সেই স্কুল শিক্ষককে আমারে এখন বলতে ইচ্ছে হয়। আপনি ছিলেন তখন শিক্ষক। যা শিখিয়েছেন- সেই প্রজন্ম- এখন তা-ই করছে।
তবে একটি পার্থক্য আছে:
আপনি বলেছিলেন, অফার করতেই পারে।
আর আপনার ছাত্র প্রজন্ম দেখাচ্ছে, চাপাতি শাবল চলতেই পারে!!
কথাটি আমার তখন খুব বাজারে মনে হতো! আজো আমি তাই মনে করি। অনেকেই করে না। আমাদের দীক্ষাহীন শিক্ষায় শিক্ষিত জনেরা যত্রতত্র অফার করা-করিতেই বিশ্বাসী!!
এভাবেই চলছে প্রেমছে প্রেম...। আমাদের উন্নয়ন! আমাদের বিবর্তন!
দেখুন না! একটি শিক্ষিত সিনিয়র সিটিজেন সোসাইটি স্কুল কলেজ, বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধারা জিইয়ে রাখতে চায়। তারা কোপাকোপির ধারায় যেন দেওয়ানা দোস্তী
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১ টি