কিশোর অপরাধে পুলিশের ভূমিকা সাফল্য দেখুক
গত ৬ জানুয়ারি উত্তরায় কিশোরদের এলাকাভিত্তিক গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয় উত্তরার ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদনান কবীর। গত ১৮ জানুয়ারি ফার্মগেটের তেজকুনি পাড়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয় আব্দুল আজিজ নামের অপর এক কিশোর। এই ঘটনার পর থেকে পুলিশ নানামুখী পদক্ষেপ নেয় কিশোর অপরাধ কমাতে।
এর আগে উত্তরা সহ অভিযাত একালাগুলোতে কিশোর অপরাধ মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছিলো। গ্যাংগত অপতৎপরতা আর যাচ্ছেতাই উচ্ছন্নে যাবার প্রবনতা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাচ্ছিলো। যার পরিনতি ঐ দুই কিশোর হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়! এর আগেও রাজধানীর ধানমন্দী লেকে জুনাইদ নামের কিশোর অপরাধীর ভাইরাল ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছিলো।
পুলিশের বিষের অভিজানে উত্তরায় কিশোর অপরাধ এখন প্রায় বন্ধ হতে চলেছে বলে বলা হচ্ছে পুলিশের তরফে। কিন্তু যে শিক্ষা ও নৈতিকতার অভাবে অভিজাত কিশোররা দলীয় অপরাধী হচ্ছে তা কি পূরণ হচ্ছে? কেবল আইন করে কি তাদের রক্ষা করা সম্ভব? উত্তরার পুলিশ এ পর্যন্ত ১০০০ কিশোরকে স্কুল ড্রেস পরিধান করে বাইরে ঘোরাফেরার সময় হেফাজতে নেয়। পরে স্কুল বা অভিভাবককে বুঝিয়ে দেয়া হয়। দৃশ্যত এলাকায় স্কুল ড্রেসে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ হয়েছে। রাজধানী জুড়ে পুলিশের অভিজানের খবরও পাওয়া গেলো।
বর্তমানে সন্ধ্যার পর থেকে রাজশানীতে কিশোরদের মোটর সাইকেলে ঘুরাঘুরি অনেক কমে গেছে। পুলিশ জানাচ্ছে তারা ফেসবুকেও নজরদারি বাড়াচ্ছে! সত্যিই কি এভাবে অপরাধ দমন হয় কখনো? কিশোররা যে উন্মাদনায় আর ভুল উদ্দেশ্যে কাজগুলো করছে তা পূরণ না করে আইন করে কি দমন করা যায়? পৃথিবীর ইতিহাসে চাবি করে কোনদিন চোর ঠেকানো যায়নি, গিয়েছে নৈতিক করে। পুলিশের কাজ জোর করায় নয়, কাজ হোক নৈতিকতা নিয়েও!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১ টি